আগামী ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে শহরের ময়েজ মঞ্জিলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এসময় নির্বাচনের পরিবেশসহ দলীয় প্রস্তুতি নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।
চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর আছে। তবে গত মঙ্গলবার যুবদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী থেকে নয়জনকে আটক করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হলেও পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে পৌর নির্বাচন চানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এতে আরো অজ্ঞাত ২১০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এটি কোন অশুভ বার্তা কিনা সেটিও ভাবনার বিষয়।
তিনি বলেন, জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে। একজন যোগ্য ও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য তারা উম্মুখ হয়ে আছেন। অতীতে যারা ক্ষতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করেছে তারা এখন বিতাড়িত। আশাকরি এখন যারা আছেন তারা এ থেকে শিক্ষা নিবেন। নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে বিএনপি প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ফরিদপুর পৌরসভার পরিধি যতোটা বেড়েছে নাগরিকগণ ততোটাই সেবা হতে বঞ্চিত হয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনের করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে পৌরবাসীর উপর। অপরিকল্পিত নগরায়ণে জনগণ দুর্ভোগের শিকার। নির্বাচিত হলে সবধরনের দুর্ভোগ নিরসণে কাজ করবো। শিঘ্রই আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে এসব পরিকল্পনা জানানো।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একে কিবরিয়া স্বপন ও মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জাফর হোসেন বিশ্বাস, কোতয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী রঞ্জন, শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় নেতৃবৃন্দ জানান, ফরিদপুর পৌর নির্বাচনে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ব্যতিত বিএনপির অন্যান্য যারা মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা সকলেই সোমবারের (২৩ নভেম্বর) মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিবেন।