ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে গাজা উপত্যকার ‘সেফ জোন’ লক্ষ্য করে আবারও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, ‘পুড়ে ছাই’ নারী-শিশুসহ ২০ জন পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগে তিনজনকে আটক এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ আজকের নামাজের সময়সূচি ৫ ডিসেম্বর আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা যড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা এখনো সজাগ আছি, ঐক্যবদ্ধ আছি: প্রধান উপদেষ্টা ‘আমাদের এখানে ভয়ঙ্কর একটা কাণ্ড ঘটে গিয়েছে, এটা থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে’ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ আমরা সবাই: ডা. শফিকুর রহমান

সেন্টমার্টিন পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, পর্যটন কেন্দ্র উম্মুক্ত করার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ১০ Time View
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, পর্যটন কেন্দ্র উম্মুক্ত করার দাবিতে  কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ করেছেন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাসহ কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে সড়কে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছেন কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে কলাতলী ডলফিন মোড়ে জড়ো হতে থাকে শত শত সেন্টমার্টিন,টেকনাফের বাসিন্দা ও কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তারা মিছিল সহকারে কলাতলী ডলফিন মোড়ে এসে সড়ক অবরোধ করেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, পর্যটক যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্তে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপটির ১০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অর্থের অভাবে দ্বীপের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছেনা। সেন্টমার্টিনের হাজার মানুষ পর্যটক নির্ভর। পর্যটক আসলে তারা আয় ইনকাম করতে পারেন, না হলে উপোস থাকতে হয়৷
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ফয়েজ আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপদেষ্টা নিয়েছে সেটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের মতো পর্যটক যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। এছাড়া টেকনাফ থেকে চালু করা হোক জাহাজ। আমাদের সেন্টমার্টিনের মানুষ না হয় মারা যাবে।
আন্দোলনকারী আব্দুল মালেক বলেন, পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিনবাসীকে মেরে ফেলার ফাঁদ পাতা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেবে না আমরা ততক্ষণ কক্সবাজার ছাড়ব না।
সুফিয়া নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমার ঘরে রান্না করার মতো কিছু নেই। তাই আজ সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজারে এসে আন্দোলন করছি। আমাদের বাঁচান।
আব্দুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, পর্যটক যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্তে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপটির ১০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আমরা পড়াশোনা করতে পারছি না অর্থের অভাবে। সেন্টমার্টিনের মানুষ পর্যটকদের টাকায় চলে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (টুয়াক) সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, পরিবেশের প্রতি আমাদের কোন বিরোধ নেই। আমরা চাই পরিবেশ ঠিক রেখে পর্যটনকে বাঁচিয়ে রাখা হোক। সিজন বাদ দিয়ে সারা বছর উন্নত মানের নৌযান ব্যবস্থা করে পর্যটকের চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে পর্যটকের চাপ কমবে।
Tag :
জনপ্রিয়

বাংলাদেশি রোগী বয়কট না করার সিদ্ধান্ত ভারতের চিকিৎসকদের

সেন্টমার্টিন পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, পর্যটন কেন্দ্র উম্মুক্ত করার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ

Update Time : ১১:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, পর্যটন কেন্দ্র উম্মুক্ত করার দাবিতে  কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ করেছেন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাসহ কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে সড়কে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছেন কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে কলাতলী ডলফিন মোড়ে জড়ো হতে থাকে শত শত সেন্টমার্টিন,টেকনাফের বাসিন্দা ও কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তারা মিছিল সহকারে কলাতলী ডলফিন মোড়ে এসে সড়ক অবরোধ করেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, পর্যটক যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্তে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপটির ১০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অর্থের অভাবে দ্বীপের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছেনা। সেন্টমার্টিনের হাজার মানুষ পর্যটক নির্ভর। পর্যটক আসলে তারা আয় ইনকাম করতে পারেন, না হলে উপোস থাকতে হয়৷
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ফয়েজ আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপদেষ্টা নিয়েছে সেটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের মতো পর্যটক যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। এছাড়া টেকনাফ থেকে চালু করা হোক জাহাজ। আমাদের সেন্টমার্টিনের মানুষ না হয় মারা যাবে।
আন্দোলনকারী আব্দুল মালেক বলেন, পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিনবাসীকে মেরে ফেলার ফাঁদ পাতা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেবে না আমরা ততক্ষণ কক্সবাজার ছাড়ব না।
সুফিয়া নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমার ঘরে রান্না করার মতো কিছু নেই। তাই আজ সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজারে এসে আন্দোলন করছি। আমাদের বাঁচান।
আব্দুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, পর্যটক যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্তে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপটির ১০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আমরা পড়াশোনা করতে পারছি না অর্থের অভাবে। সেন্টমার্টিনের মানুষ পর্যটকদের টাকায় চলে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (টুয়াক) সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, পরিবেশের প্রতি আমাদের কোন বিরোধ নেই। আমরা চাই পরিবেশ ঠিক রেখে পর্যটনকে বাঁচিয়ে রাখা হোক। সিজন বাদ দিয়ে সারা বছর উন্নত মানের নৌযান ব্যবস্থা করে পর্যটকের চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে পর্যটকের চাপ কমবে।