রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
৯ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শরৎকাল, ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
ব্রেকিং নিউজ

সেরামের সঙ্গে চুক্তি জি টু জি না, বাণিজ্যিক: বেক্সিমকো এমডি নাজমুল হাসান পাপন

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২১
  • ১৬৫ Time View

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সেই টিকা সেরামের কাছ থেকে বাংলাদেশে সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস; অর্থাৎ একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি। এ প্রসঙ্গে দেশে টিকা দ্রুত আসা না আসা নিয়ে আলোচনার মধ্যে কথা বলেছেন বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন।

তিনি বলেছেন আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। চুক্তিতে স্পষ্ট বলা আছে, আমাদের দেশে অনুমোদন দেওয়ার এক মাসের মধ্যে তাদের টিকা দিতে হবে। এটা একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। টিকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসচিবের বক্তব্য টেনে নাজমুল হাসান বলেন, এখানে জি টু জির (বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের সরকার) কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মানে আমার জানা নেই। আপনারা যে জি টু জির কথা বলছেন, স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন, উনি কোন টিকার কথা বলছেন, আমি জানি না। এটা হতে পারে অন্য টিকা।

তিনি বলেন, সরকারের অন্য কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি থাকতেই পারে। এটা আমার জানা নেই। তবে এটি একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি। …ব্যাংক গ্যারান্টি সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।

‘সরকারের এটা পৌঁছে দিতে হবে। এখন বাকি আছে রেজিস্ট্রেশন। দেশে রেজিস্ট্রেশন কবে পাবে। আমরা ডকুমেন্ট আগেই জমা দিয়েছি। সোমবার আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে। এখন অনুমোদন কখন দেবে, তাদের ব্যাপার। এখন বাকি যেটা আছে সরকারের পক্ষ থেকে।’

নাজমুল হাসান বলেন, চুক্তি যেহেতু হয়ে গেছে, এটাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কারণ নেই। এটা নিয়ে আজও সেরামের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এমন কোনো ইঙ্গিত দেয়নি যে করোনার টিকা আসতে দেরি হতে পারে। সরকার যদি নিয়মকানুন মেনে দিয়ে দেয়, এক মাসের মধ্যে টিকা আসবে। এর নিয়ন্ত্রণের দিকটা বাংলাদেশ সরকারের ওপর নির্ভর করছে।

অনুমোদন পাওয়ার পর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে করোনা টিকা দেওয়া যাবে উল্লেখ করে নাজমুল হাসান জানান, এলসি বা অ্যাগ্রিমেন্ট যা হয়েছে, তা দিতেই হবে। ভারত সরকার যা বলেছে, তা লজিক্যাল, ওদের দেশের মানুষকে না দিয়ে রপ্তানি করা যাবে না। কিন্তু ভারত সরকার যা অ্যাপ্রুভাল দিয়েছে, ইমারজেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন ফর ডমেস্টিক মার্কেট। এটা সব দেশে তাই লেখে। আমার ধারণা, ইট কুড বি ওয়ান ইন্টারপ্রিটেশন, এটা কেউ ভুল করছে। ওখানে কোথাও লেখা নেই যে এক্সপোর্ট করতে পারবে কি পারবে না। তবে এক্সপোর্টের ওপর একটি বার দিতেই পারে।

পাপন বলেন, লজিক্যালি আমরা যে ব্যবসা করে আসছি, সেভাবে বলছি। এটা বাণিজ্যিক চুক্তি। আমরা শুধু সরকারকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। এত দিনে এটা বুঝে যাওয়া উচিত, বেক্সিমকো যদি বুকিং না দিত, তাহলে কী হতো। কোন কোম্পানি বা সরকার কোথায় বুকিং দিয়েছে। কোন টিকা এনেছে বা আনতে পারবে। আর যে দাম বলছি, এর ডাবল দামে যদি কেউ দিতে পারে, আমি চ্যালেঞ্জ করে দিলাম প্রশ্নই ওঠে না।

বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ও সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় অনুমোদনের পর (বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন) সেরাম ইনস্টিটিউট এক মাসের মধ্যেই প্রথম ধাপের টিকা সরবরাহ করবে।

অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা সেরাম তৈরি করবে ‘কোভিশিল্ড’ নামে। ওই টিকা কেনার জন্য সরকার গত ১৩ ডিসেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট তিন কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।

ভারত সরকারের ওষুধখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্প্রতি কোভিশিল্ডের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের দ্রুত টিকা প্রাপ্তিতেও আশা দেখায়।

তবে রোববার ও সোমবার রয়টার্স, এপিসহ বিভিন্ন বার্তা সংস্থা ও একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে সেরামের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালার সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর বাংলাদেশের দ্রুত টিকা পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেরাম ইনস্টিটিউট বলেছে, তারা আগামী দুই মাস ভারতে টিকার স্থানীয় চাহিদা পূরণ করবে। এরপরই রপ্তানির উদ্যোগ নেবে।

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themesba-lates1749691102