ঢাকা ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

হতে পারে স্বপ্নের বাস্তবায়ন,পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসতে পারে কাল

পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান উঠতে পারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। আজ বুধবার ভাসমান বড় ক্রেনে স্প্যানটি উঠিয়ে যেখানে স্থাপন করা হবে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেখানে স্প্যানটি রাখা হবে। আগামীকাল সুবিধাজনক সময়ে স্প্যানটি ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটিতে (পিলার) স্থাপন করা হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্প্যান ‘টু-এফ’
১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটি

সর্বশেষ স্প্যানটি স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মার দুই পাড় মাওয়া ও জাজিরা যুক্ত হয়ে যাবে। এরপর সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হলে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সরকার আগামী বছর ডিসেম্বরে সেতুটি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।

১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটিতে (পিলার) স্থাপন করা হলে মাওয়া ও জাজিরা যুক্ত হয়ে যাবে
বুধবার সন্ধ্যায় স্প্যানটি ভাসমান ক্রেনে করে নির্ধারিত পিয়ারের কাছাকাছি এনে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
ভাসমান ক্রেন
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৪১তম স্প্যানটি পিয়ারে বসানোর জন্য প্রস্ততি সম্পূর্ণ হয়েছে। কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইর্য়াড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে স্প্যানটি বহন করে ভাসমান ক্রেনে তিয়ান-ই নির্ধারিত পিয়ারের কাছে নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এখন শুধু উপরে তোলার কাজ বাকী রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পিয়ারের উপর তোলা হবে।

শেষ স্প্যান বসানোর ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদ্‌যাপনের বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছিল সেতু বিভাগ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আগামীকাল অনেকটাই অনাড়ম্বরভাবেই স্প্যান তোলার কাজ সম্পন্ন হবে।

আগামী শুক্রবার সেতু ভবনে প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানেই তিনি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন। এর আগে স্প্যান তোলার মুহূর্তটি সেতু ভবন থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করার কথা ছিল সেতুমন্ত্রীর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শেষ মুহূর্তে সেটি বাতিল করা হয়েছে বলে সেতু বিভাগ সূত্র জানায়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে।
Tag :

বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলে ০৯টি পদে ২১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে

হতে পারে স্বপ্নের বাস্তবায়ন,পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসতে পারে কাল

Update Time : ০৬:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০

পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান উঠতে পারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। আজ বুধবার ভাসমান বড় ক্রেনে স্প্যানটি উঠিয়ে যেখানে স্থাপন করা হবে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেখানে স্প্যানটি রাখা হবে। আগামীকাল সুবিধাজনক সময়ে স্প্যানটি ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটিতে (পিলার) স্থাপন করা হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্প্যান ‘টু-এফ’
১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটি

সর্বশেষ স্প্যানটি স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মার দুই পাড় মাওয়া ও জাজিরা যুক্ত হয়ে যাবে। এরপর সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হলে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সরকার আগামী বছর ডিসেম্বরে সেতুটি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।

১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটিতে (পিলার) স্থাপন করা হলে মাওয়া ও জাজিরা যুক্ত হয়ে যাবে
বুধবার সন্ধ্যায় স্প্যানটি ভাসমান ক্রেনে করে নির্ধারিত পিয়ারের কাছাকাছি এনে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
ভাসমান ক্রেন
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৪১তম স্প্যানটি পিয়ারে বসানোর জন্য প্রস্ততি সম্পূর্ণ হয়েছে। কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইর্য়াড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে স্প্যানটি বহন করে ভাসমান ক্রেনে তিয়ান-ই নির্ধারিত পিয়ারের কাছে নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে। এখন শুধু উপরে তোলার কাজ বাকী রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পিয়ারের উপর তোলা হবে।

শেষ স্প্যান বসানোর ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদ্‌যাপনের বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছিল সেতু বিভাগ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আগামীকাল অনেকটাই অনাড়ম্বরভাবেই স্প্যান তোলার কাজ সম্পন্ন হবে।

আগামী শুক্রবার সেতু ভবনে প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানেই তিনি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন। এর আগে স্প্যান তোলার মুহূর্তটি সেতু ভবন থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করার কথা ছিল সেতুমন্ত্রীর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শেষ মুহূর্তে সেটি বাতিল করা হয়েছে বলে সেতু বিভাগ সূত্র জানায়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে।