ইতালিতে প্রাণঘাতী করোনার তাণ্ডব কমছেই না। দ্বিতীয় ধাপের আক্রমণে করোনা আরও চেপে বসেছে দেশটির ওপর। ইতোমধ্যে দেশটির ৪০ শতাংশের বেশি জনগোষ্ঠীকে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে পুরো দেশবাসী এখন তাকিয়ে আছে করোনার টিকার দিকে। এক্ষেত্রে আশার আলো দেখাচ্ছে সরকার।
রোববার ইতালির স্বাস্থ্যবিভাগ এবং স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইতালিতে প্রায় ১৯ লাখ করোনার ভ্যাকসিন এসে পৌঁছবে। প্রথম ধাপে আসা এসব ভ্যাকসিন দেশটির ২১টি বিভাগীয় শহরে প্রয়োগ করা হবে। সরকারের লক্ষ্য, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইতালির সকল নাগরিককে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, দেশটিতে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৩২৩টি ভ্যাকসিন প্রথম পর্যায়ে আসবে। দেশের ২১টি বিভাগীয় শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভ্যাকসিন পাবে রাজধানী রোমসহ লাছিও বিভাগ ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮২৪টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভ্যাকসিন পাবে উহানখ্যাত ক্ষতিগ্রস্ত বিভাগ লোম্বার্দিয়া। এভাবে এমিলিয়া রোমানিয়া বিভাগ পাবে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৬টি, কাম্পানিয়ায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৬টি, ভেনেতো বিভাগে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪৩টি, পিয়েমন্তে বিভাগে ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৩০টি, সিসিলিয়ায় ১ লাখ ১১ হাজার ৪৪৯টি, লিগুরিয়ায় ৭২ হাজার ১৭১টি, কালাব্রিয়ায় ৫৮ হাজার ৬৮টি, ফ্রিউল্লি ভেনেচ্ছিয়া জুলিয়ায় ৫৬ হাজার ৭১৩টি, তোসকানায় ৫১ হাজার ৬২১টি, পুলিয়ায় ৪৯ হাজার ৩০২টি, সার্দিনিয়ায় ৪০ হাজার ৫০টি, মার্কে বিভাগে ৩৯ হাজার ৩৩৪ টি, আবরুচ্ছোতে ৩৪ হাজার ৭৪৮টি, বোলজানো বিভাগে ২৬ হাজার ১৯০টি, ত্রেনতো বিভাগে ২০ হাজার ৬৫৩টি, উমব্রিয়া বিভাগে ১৬ হাজার ২৮৫টি, বাসিলিকাতা’তে ১১ হাজার ৪২৫টি, মলিসে বিভাগ পাবে ১০ হাজার ৮৫৩টি এবং সবচেয়ে কম ভ্যাকসিন পাবে ভাল্লে ডি’অস্তা বিভাগ ৪ হাজার ৪১৯টি।
ইতালির নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৭২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭১২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৬৪ হাজার ৫২০ জনের এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে ১০ লাখ ৯৩ হাজার ১৬১ জন।