স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটি। অন্যথায় নিজেদের দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দিতে চান সংগঠনটি। আর স্কুল খুলে দেয়ার বিষয়ে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতাও কামনা করেন। এসময় নেতারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেও উল্লেখ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটি। তারা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কিন্ডারগার্টেন খুলে দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৪ ফেব্রুয়ারির পর এক দিনও আর ছুটি না বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান; অন্যথায় নিজেদের দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন সংগঠনের সদস্য সচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির রানা। আর এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতাও কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ইস্কান্দার আলী হাওলাদার, উপদেষ্টা নুরুজ্জামান কায়েস, প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, সদস্য রেজাউল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ বাদল, শান্তা ফারজানা, এম এ মান্নান মনির ও লায়ন তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জয়নুল আবেদীন জয়।
লিখিত বক্তব্যে জিএম জাহাঙ্গীর কবির রানা বলেন, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। প্রাথমিক শিক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে সাফল্য, তার প্রায় অর্ধেক অবদান কিন্ডারগার্টেনের। করোনা মহামারির কারণে সরকারি সিদ্ধান্তে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১১ মাস ধরে বন্ধ। সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেলেও কিন্ডারগার্টেনের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী তাদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এক বছর টানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অপূরণীয় ক্ষতি এবং চরম মানসিক অবক্ষয় হয়েছে। ইউনিসেফের ভাষায়, ‘এ ক্ষতির ভার শিক্ষার্থীরা বইতে পারবে না।’ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও চান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়া হোক।