জানা গেছে, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে রাজধানীতে ঝাজঝমক ভাবে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব পালন করে। করোনা পরিস্থিতির কারণে কারণে এবার এ উৎসব বাতিল করা হয়েছে। তবে প্রতি বছরের মতো ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে (আমাই) নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তক বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। আমাইয়ে
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই মন্ত্রী ও সচিব, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।
এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা আজকালের খবরকে বলেন, বই উৎসব না হলেও ১ জানুয়ারি বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। যথারীতি অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো আগের দিন ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নতুন বছরের বই বিতরণের উদ্ধোধন ঘোষণা করবেন। করোনার কারণে এবার সীমিত পরিসরে সেটি হবে। ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি নতুন বই উদ্বোধন করবেন।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য সাড়ে ৩৪ কোটি বই ছাপানো হচ্ছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮৪ হাজার ও প্রাথমিক স্তরে ১০ কোটি ৫৪ লাখ। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত মাধ্যমিকের ১৩ কোটি ও প্রাথমিকের আট কোটি বই পৌছানো সম্ভব হয়েছে। বাকি বই ছাপা বাকি ।
এনসিটিবি আশা করছে ৩১ ডিসেম্বরের আগে মাঠ পর্যায়ে মাধ্যমিকের ৯০ শতাংশ বই পৌছে যাবে। আর প্রাথমিকের বই পৌছানো যাবে শতভাগ । সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বইয়ের কভারের ভেতরের অংশে জাতীয় ব্যক্তিত্বদের ছবি সংযুক্ত করা হয় বই ছাপার কার্যাদেশ দেওয়ার পরে। যে কারণে মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপার কাজ বিলম্বিত হয়েছে। তারপরেও শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারি নতুন বই পাবে। এ নিয়ে কোন সমস্যা হবে না