তিনি বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে স্বচ্ছতার সামান্যতম ঘাটতি ছিল না এবং ২০২২ সাল থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলবে।’
শুক্রবার সকালে বনানীস্থ সেতু ভবনে মহান বিজয় দিবস-২০২০ উদযাপন এবং মুজিব শতবর্ষে ‘‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ” কর্নারের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিজয়ের চেতনা ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জাতি আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’
এসময় তিনি বিজয়ের এ মাসে সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটনের মাধ্যমে একটি ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই আর্থসামাজিক অধিকাংশ সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সংসদে বাংলাদেশের কথা আলোচনা হয়। তারা এখন বাংলাদেশ হতে চায়। এখানেই একজন মুজিবের আজন্ম সংগ্রামের সফলতা এবং অর্জন। শেখ হাসিনার ম্যাজিক্যাল লিডারশিপ, ক্যারিশমেটিক সিদ্ধান্ত মেকিং-এ বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভার বিস্ময়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, করোনায় থেমে নেই জীবন–জীবিকা। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্কও স্বাভাবিকভাবে চলছে। মহামারির নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি।
সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতু। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।