ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলার ৯৬ থানায় ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। থানা-পুলিশের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা ও সেবার মান বাড়াতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আর এই ক্যামেরাগুলো রাজধানীর সেগুনবাগিচায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে ডিউটি অফিসার, হাজতখানা ও নিরাপত্তারক্ষীর অবস্থান। ১ জানুয়ারি, শুক্রবার এই কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, থানার গেটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, দুর্ব্যবহার করাসহ আসামি বা তার স্বজনদের বিশেষ সুবিধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে কি না, ডিউটি অফিসারের কক্ষে একই লোক বারবার আসছে কিনা, সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে সেন্ট্রি কেমন আচরণ করছেন, সেন্ট্রি রাতে কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে ভেতরে বসে আছেন কিনা- এসব বিষয় মনিটরিং করা হচ্ছে।
ঢাকার নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তারা জানান, দর্শনার্থীর সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হচ্ছে সেটিও মনিটর করছেন তার। আর এ সব প্রতিবেদন তারা নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লেও কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। কিছুদিন পর সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আসাদুজ্জামান বলেন, থানা নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। তাই কারণে থানার কার্যক্রম মনিটর করতে তারা ঢাকা রেঞ্জের সব থানায় তিনটি করে ক্যামেরা বসিয়েছেন। এখন ঢাকার নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে কার্যক্রম মনিটর করতে পারছেন। এখন ২৪ ঘণ্টা থানা মনিটরিং করা হবে।
বর্তমান যুগ, তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। তাই প্রশাসনকেও ডিজিটাল করার কাজ চলছে বিগত কয়েক বছর ধবে।