ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ১১ বছর বয়সের শর্তটি স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এখন ১০ বছরের বেশি যে কেউ ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।মঙ্গলবার এক অভিভাবকের করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও মো. খায়েরুল আলমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ্ররই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ঢাকা এর মহাপরিচালক আজ ২৯ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণি হতে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ অনলাইনে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং : ১০৩০৯/২০২০ চলমান থাকায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর,২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য “ডিজিটাল লটারি কার্যক্রম” সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।
পরবর্তীতে অনলাইন লটারির তারিখ ও সময় যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির অনলাইন আবেদন কার্যক্রম রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছিল। এতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ আবেদন পড়েছিল।আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর সফটওয়্যারের মাধ্যমে সারাদেশে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হওযার কথা ছিল। আগামীকাল বিকেলেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল।
এবার ভর্তি নীতিমালায় নতুন কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়ার পরিবর্তে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। ভর্তি ফরমের মূল্য ১৭০ টাকার বদলে ১১০ টাকা করা হয়। আগের মতো আর স্কুলে বড় আয়োজনের মাধ্যমে লটারি অনুষ্ঠিত হবে না। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে। টেলিটক মোবাইল কোম্পানির সহায়তায় এটি পরিচালিত হবে।
ঢাকা মহানগরীতে ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি শাখা রয়েছে। ঢাকার এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আসন আছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। এর সঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয়ও যুক্ত হচ্ছে। এগুলোতে মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজটি করা হয়। এছাড়া ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজারের মতো আসন রয়েছে।
এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছে বা ভাগ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। এবার একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পায়। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। এতদিন একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের মাধ্যমে একটি বিদ্যালয়কে বেছে নিতে পারত।