ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে: বিএনপি মহাসচিব অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে গ্রেপ্তার ১৫২১ দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়ে দেড় লাখ ছুঁই ছুঁই করছে আট দিনে ৬৪ জেলায় সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি এ বছর ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ তিন বছরের মধ্যে একটি হতে পারে: মেট লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার চুক্তি অনুযায়ী তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ১০ ফেব্রুয়ারি

৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায়: গণস্বাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত গবেষণার জরিপ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:২০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • ২৮৬ Time View
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। তবে, গণস্বাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায়।
এতে দেখা যায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনের মাধ্যমে চলা দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে ৬৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি।
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মোর্চা গণস্বাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত ‘এডুকেশন ওয়াচ ২০২১’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এডুকেশন ওয়াচের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ না নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৭ দশমিক নয় শতাংশ শিক্ষার্থী প্রয়োজনীয় ডিভাইসের অভাবে শিক্ষাবঞ্চিত হয়েছে। অনলাইন ক্লাস আকর্ষণীয় না হওয়ায় ১৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করেনি।
গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছে। ৭৬ শতাংশ অভিভাবক দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। ৬২ শতাংশ শিক্ষক মনে করে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করা দরকার। ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতামত, যেসব বিষয়ে পড়ানো হয়নি তা আগে পড়ানো হোক।
গণস্বাক্ষরতা অভিযান মনে করে, স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে ধাপে ধাপে স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ঘোষণা আসা প্রয়োজন। শুরুতে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং পরবর্তীতে চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে।
ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেন, পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সক্ষমতা বিবেচনা করে বিদ্যালয় খুলতে হবে। কবে খোলা হবে, সে বিষয়ে দ্রুত ঘোষণা আসা উচিত। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিতে পারবে। আর এ জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহারের জন্য তদারকব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
ব্র্যাকের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও এডুকেশন ওয়াচের প্রধান গবেষক মনজুর আহমদ বলেন, প্রথমে গ্রাম এলাকায় এবং পরে মার্চে বড় শহরের স্কুলগুলো খুলতে হবে। এ জন্য ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য ও অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন, এডুকেশন ওয়াচের আহ্বায়ক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, এডুকেশন ওয়াচের সদস্য ও প্রবীণ শিক্ষকনেতা কাজী ফারুক আহমেদ, এডুকেশন ওয়াচের সদস্য মোহাম্মদ মোহসীন প্রমুখ।
অন্তবর্তীকালীন গবেষণায় দুই হাজার ৯৯২ জনের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক হাজার ৭০৯ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, ৫৭৮ জন শিক্ষক, ৫৭৬ জন অভিভাবক ও বিভিন্ন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মতামত নেওয়া হয়েছে।
Tag :

অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে: বিএনপি মহাসচিব

৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায়: গণস্বাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত গবেষণার জরিপ

Update Time : ০৪:২০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। তবে, গণস্বাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায়।
এতে দেখা যায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনের মাধ্যমে চলা দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে ৬৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি।
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মোর্চা গণস্বাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত ‘এডুকেশন ওয়াচ ২০২১’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এডুকেশন ওয়াচের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ না নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৭ দশমিক নয় শতাংশ শিক্ষার্থী প্রয়োজনীয় ডিভাইসের অভাবে শিক্ষাবঞ্চিত হয়েছে। অনলাইন ক্লাস আকর্ষণীয় না হওয়ায় ১৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করেনি।
গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছে। ৭৬ শতাংশ অভিভাবক দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। ৬২ শতাংশ শিক্ষক মনে করে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করা দরকার। ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতামত, যেসব বিষয়ে পড়ানো হয়নি তা আগে পড়ানো হোক।
গণস্বাক্ষরতা অভিযান মনে করে, স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে ধাপে ধাপে স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ঘোষণা আসা প্রয়োজন। শুরুতে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং পরবর্তীতে চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে।
ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেন, পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সক্ষমতা বিবেচনা করে বিদ্যালয় খুলতে হবে। কবে খোলা হবে, সে বিষয়ে দ্রুত ঘোষণা আসা উচিত। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিতে পারবে। আর এ জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহারের জন্য তদারকব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
ব্র্যাকের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও এডুকেশন ওয়াচের প্রধান গবেষক মনজুর আহমদ বলেন, প্রথমে গ্রাম এলাকায় এবং পরে মার্চে বড় শহরের স্কুলগুলো খুলতে হবে। এ জন্য ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য ও অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন, এডুকেশন ওয়াচের আহ্বায়ক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, এডুকেশন ওয়াচের সদস্য ও প্রবীণ শিক্ষকনেতা কাজী ফারুক আহমেদ, এডুকেশন ওয়াচের সদস্য মোহাম্মদ মোহসীন প্রমুখ।
অন্তবর্তীকালীন গবেষণায় দুই হাজার ৯৯২ জনের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক হাজার ৭০৯ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, ৫৭৮ জন শিক্ষক, ৫৭৬ জন অভিভাবক ও বিভিন্ন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মতামত নেওয়া হয়েছে।