ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আগামী সপ্তাহেই দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে একটি শৈত্যপ্রবাহ যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠকে বসবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ৩৭ পয়সা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান বিএনপির ফরিদপুরের সমাজসেবী আশরাফুল ইসলাম বুলুর ইন্তেকাল আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছেন পুলিশের ৪০তম অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা আগামী সপ্তাহে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এলপি গ্যাসের উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে সরকার লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের সুযোগে অবাধে লুটপাট চালাচ্ছে অপরাধীরা

’ব্রিসবেনে হারে না অস্ট্রেলিয়া’। সেই ধারা ভেঙে দিয়েছে ইনজুরি বিধ্বস্ত সফরকারী ভারত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • ২৬৩ Time View

৩২ বছর ধরে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়াকে কেউ হারাতে পারেনি। সর্বশেষ যারা হারিয়েছিল, তারা ছিল অন্য গ্রহের দল, সেই প্রতাপশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্যাবার উইকেটে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানের জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেওয়া সব ফাস্ট বোলারে ভর্তি সে দলের পর অস্ট্রেলিয়ার এই মাঠ থেকে কেউ জয় নিয়ে ফেরেনি। ভারত তো ইতিহাসেই কখনো এ মাঠে জয় পায়নি।১৯৮৮ সালের পরে অস্ট্রেলিয়াকে গ্যাবায় হারের স্বাদ দিয়েছে ভারত ।

অ্যাডিলেডে লজ্জার হারের পর মেলবোর্নে রূপকথা লিখে জয় তুলে নেয় ভারত। সিডনিতে দুর্দান্ত দৃঢ়তা দেখিয়ে ড্রর পর গ্যাবা টেস্টে ভারত তুলে নিয়েছে অসাধারণ এক জয়। মঙ্গলবার তিন উইকেটের এই জয়ে আজিঙ্কা রাহানের দল চার ম্যাচের বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

‘ভাঙাচোরা’ এই ভারতের জন্য কাজটা সহজ ছিল না। শেষ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে রবি শাস্ত্রীর শিষ্যদের জয়ের জন্য করতে হতো ৩২৯ রান। পঞ্চম দিন বাকি ছিল ৩২৫। অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এই রানটা পঞ্চম দিন তোলা শুধু কঠিন নয়, ছিল অসম্ভবের পর্যায়ে। তরুণ ওপেনার শুভমন গিলের ৯১ রান এবং তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পান্তের হার না মানা ৮৯ রানের ইনিংসে ভর করে সেটাই সম্ভব করেছে ভারত।

মধ্যে অবশ্য মিডল অর্ডারে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তিনে নামা চেতেশ্বর পূজারা। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। তিনি মুখোমুখি হন ২১১ বলের। তার ওই ধীর ইনিংসের কারণে মধ্যে ভারতের পক্ষে থাকা টেস্টটা ড্রর সম্ভাবনা জাগে। কিন্তু ঋষভ শেষদিকে দ্রুত রান তুলে দলকে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিরিজটা জিতিয়ে ফিরেছেন। হয়েছেন ম্যাচ সেরা। পঞ্চম দিনের শুরু থেকে একে একে শুভমন গিল, রাহানে, ঋষভকে সঙ্গ দিয়ে একপাশ আগলে রাখা পূজারার কৃতিত্বও অবশ্য কম না।

দ্বিতীয় ইনিংসে অজিরা ২৯৪ রান তোলে। সাবেক অজি অধিনায়ক স্মিথ খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। এছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার ৪৮, মার্কোস হ্যারিস ৩৮ এবং ক্যামেরুন গ্রিন ৩৭ রান যোগ করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস থেকে শার্দুল ঠাকুর, থাঙ্গারাসু নটরাজন ও ওয়াশিংটন সুন্দর তিনটি করে উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে শার্দুল চারটি ও মোহাম্মদ সিরাজ অজিদের পাঁচ উইকেট তুলে নেন। প্রথম ইনিংসে অজি পেসার জজ হ্যাজলউড নেন পাঁচ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াইটা একাই করেছেন প্যাট কামিন্স। নিয়েছেন ৪ উইকেট।

ভারত সিরিজ নিশ্চিত করা এই জয় পেতে টেস্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া করেছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এছাড়া প্রথম টেস্টে হারের পর ভারতের এটি পঞ্চম সিরিজ জয়। টেস্টের পঞ্চম দিন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, ইনজুরি আক্রান্ত পেসার মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব ও জাসপ্রিত বুমরাহ ছাড়া এবং রবিশচন্দন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা এবং কেএল রাহুলকে ছাড়া রেকর্ড এই জয়টা ভারতের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এর আগে ভারতের অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মার্নাস লাবুশানের সেঞ্চুরি (১০৮ রান) এবং স্টিভ স্মিথ-ম্যাথু ওয়েড ও টিম পেইনের ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ভর করে ৩৬৯ রান তোলে অজিরা। ভারত জবাব দিতে নেমে তুলতে পারে ৩৩৬ রান। দলের পক্ষে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করে শার্দুল ঠাকুর এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ১২৩ রানের জুটি গড়েন। পিঠ বাঁচান দলের। শার্দুল ও সুন্দর যথাক্রমে করেন ৬৭ ও ৬২ রান। প্রথম ইনিংস থেকে ৩৩ রানের লিড নেয় অজিরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৩৬৯/১০

ওয়ার্নার-১, হ্যারিস-৫, লাবুশানে-১০৮, স্মিথ-৩৬, ওয়েড-৪৫, গ্রিন-৪৭, পেইন-৫০, কামিন্স-২, স্ট্রাক-২০, লায়ন-২৪, হ্যাজলউড-১১।

সিরাজ-২৮-১০-৭৭-১; নটরাজন-২৪.২-৩-৭৮-৩; শার্দুল-২৪-৬-৯৪-৩; সাইনি- ৭.৫-২-২১-০; ওয়াশিংটন সুন্দর-৩১-৬-৮৯-৩।

ভারত প্রথম ইনিংস: ৩৩৬/১০

রোহিত-৪৪, গিল-৭, পূজারা-২৫, রাহানে-৩৭, মায়াঙ্ক-৩৮, পান্ত-২৩, সুন্দর-৬২, শার্দুল-৬৭, সাইনি-৫, সিরাজ-১৩, নটরাজন-১।

স্ট্রাক-২৩-৩-৮৮-২; হ্যাজলউড-২৪.৪-৬-৫৭-৫; কামিন্স-২৭-৫-৯৪-২; গ্রিন-৮-১-২০-০; লায়ন-২৮-৯-৬৫-১।

অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস-২৯৪/১০

ওয়ার্নার-৪৮, হ্যারিস-৩৮, লাবুশানে-২৫, স্মিথ-৫৫, ওয়েড-০, গ্রিন-৩৭, পেইন-২৭, কামিন্স-২৮, স্ট্রাক-১, লায়ন-১৩, হ্যাজলউড-৯।

সিরাজ-১৯.৫-৫-৭৩-৫; নটরাজন-১৪-৪-৪১-০; শার্দুল-১৪-১-৮০-১; সাইনি- ৫-১-৩২-০; ওয়াশিংটন সুন্দর-১৮-১-৮০-১;

ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৩২৯/৭

রোহিত-৭, গিল-৯১, পূজারা-৫৬, রাহানে-২৪, মায়াঙ্ক-৯, পান্ত-৮৯ (অপ), সুন্দর-২২, শার্দুল-২, সাইনি-০ (অপ.)।

স্ট্রাক-১৬-০-৭৫-০; হ্যাজলউড-২২-৫-৭৪-১; কামিন্স-২৪-১০-৫৫-৪; গ্রিন-৩-১-১০-০; লায়ন-৩১-৭-৮৫-২।

ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী; চার ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-১ ব্যবধানে জয়ী।

এভাবে স্কোয়াডের শেষ সদস্যদের গড়া দলটিও ফেবারিট অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিল। কারণ, কিছু করে দেখানোর ক্ষুধাটা এ দলেরই বেশি ছিল। ভয়ংকর বিরুদ্ধ পরিবেশেও লড়াই করতে জানার সাহস থাকলে যে সবকিছু অর্জন করা সম্ভব। টেস্ট ক্রিকেট সাহসিকতার পরীক্ষা নেয়। একজনের চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখে। ব্রিসবেনে চারিত্রিক দৃঢ়তা, সাহসিকতা আর নিবেদনে একটি দলই এগিয়ে ছিল। আর দিন শেষে তারাই জয়ী। এ জয়কে ভারতের সেরা জয় বলা

Tag :
জনপ্রিয়

আগামী সপ্তাহেই দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে একটি শৈত্যপ্রবাহ

’ব্রিসবেনে হারে না অস্ট্রেলিয়া’। সেই ধারা ভেঙে দিয়েছে ইনজুরি বিধ্বস্ত সফরকারী ভারত

Update Time : ০৯:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১

৩২ বছর ধরে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়াকে কেউ হারাতে পারেনি। সর্বশেষ যারা হারিয়েছিল, তারা ছিল অন্য গ্রহের দল, সেই প্রতাপশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্যাবার উইকেটে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানের জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেওয়া সব ফাস্ট বোলারে ভর্তি সে দলের পর অস্ট্রেলিয়ার এই মাঠ থেকে কেউ জয় নিয়ে ফেরেনি। ভারত তো ইতিহাসেই কখনো এ মাঠে জয় পায়নি।১৯৮৮ সালের পরে অস্ট্রেলিয়াকে গ্যাবায় হারের স্বাদ দিয়েছে ভারত ।

অ্যাডিলেডে লজ্জার হারের পর মেলবোর্নে রূপকথা লিখে জয় তুলে নেয় ভারত। সিডনিতে দুর্দান্ত দৃঢ়তা দেখিয়ে ড্রর পর গ্যাবা টেস্টে ভারত তুলে নিয়েছে অসাধারণ এক জয়। মঙ্গলবার তিন উইকেটের এই জয়ে আজিঙ্কা রাহানের দল চার ম্যাচের বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

‘ভাঙাচোরা’ এই ভারতের জন্য কাজটা সহজ ছিল না। শেষ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে রবি শাস্ত্রীর শিষ্যদের জয়ের জন্য করতে হতো ৩২৯ রান। পঞ্চম দিন বাকি ছিল ৩২৫। অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এই রানটা পঞ্চম দিন তোলা শুধু কঠিন নয়, ছিল অসম্ভবের পর্যায়ে। তরুণ ওপেনার শুভমন গিলের ৯১ রান এবং তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পান্তের হার না মানা ৮৯ রানের ইনিংসে ভর করে সেটাই সম্ভব করেছে ভারত।

মধ্যে অবশ্য মিডল অর্ডারে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তিনে নামা চেতেশ্বর পূজারা। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। তিনি মুখোমুখি হন ২১১ বলের। তার ওই ধীর ইনিংসের কারণে মধ্যে ভারতের পক্ষে থাকা টেস্টটা ড্রর সম্ভাবনা জাগে। কিন্তু ঋষভ শেষদিকে দ্রুত রান তুলে দলকে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিরিজটা জিতিয়ে ফিরেছেন। হয়েছেন ম্যাচ সেরা। পঞ্চম দিনের শুরু থেকে একে একে শুভমন গিল, রাহানে, ঋষভকে সঙ্গ দিয়ে একপাশ আগলে রাখা পূজারার কৃতিত্বও অবশ্য কম না।

দ্বিতীয় ইনিংসে অজিরা ২৯৪ রান তোলে। সাবেক অজি অধিনায়ক স্মিথ খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস। এছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার ৪৮, মার্কোস হ্যারিস ৩৮ এবং ক্যামেরুন গ্রিন ৩৭ রান যোগ করেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস থেকে শার্দুল ঠাকুর, থাঙ্গারাসু নটরাজন ও ওয়াশিংটন সুন্দর তিনটি করে উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে শার্দুল চারটি ও মোহাম্মদ সিরাজ অজিদের পাঁচ উইকেট তুলে নেন। প্রথম ইনিংসে অজি পেসার জজ হ্যাজলউড নেন পাঁচ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াইটা একাই করেছেন প্যাট কামিন্স। নিয়েছেন ৪ উইকেট।

ভারত সিরিজ নিশ্চিত করা এই জয় পেতে টেস্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া করেছে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এছাড়া প্রথম টেস্টে হারের পর ভারতের এটি পঞ্চম সিরিজ জয়। টেস্টের পঞ্চম দিন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, ইনজুরি আক্রান্ত পেসার মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব ও জাসপ্রিত বুমরাহ ছাড়া এবং রবিশচন্দন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা এবং কেএল রাহুলকে ছাড়া রেকর্ড এই জয়টা ভারতের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এর আগে ভারতের অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মার্নাস লাবুশানের সেঞ্চুরি (১০৮ রান) এবং স্টিভ স্মিথ-ম্যাথু ওয়েড ও টিম পেইনের ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ভর করে ৩৬৯ রান তোলে অজিরা। ভারত জবাব দিতে নেমে তুলতে পারে ৩৩৬ রান। দলের পক্ষে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করে শার্দুল ঠাকুর এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ১২৩ রানের জুটি গড়েন। পিঠ বাঁচান দলের। শার্দুল ও সুন্দর যথাক্রমে করেন ৬৭ ও ৬২ রান। প্রথম ইনিংস থেকে ৩৩ রানের লিড নেয় অজিরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৩৬৯/১০

ওয়ার্নার-১, হ্যারিস-৫, লাবুশানে-১০৮, স্মিথ-৩৬, ওয়েড-৪৫, গ্রিন-৪৭, পেইন-৫০, কামিন্স-২, স্ট্রাক-২০, লায়ন-২৪, হ্যাজলউড-১১।

সিরাজ-২৮-১০-৭৭-১; নটরাজন-২৪.২-৩-৭৮-৩; শার্দুল-২৪-৬-৯৪-৩; সাইনি- ৭.৫-২-২১-০; ওয়াশিংটন সুন্দর-৩১-৬-৮৯-৩।

ভারত প্রথম ইনিংস: ৩৩৬/১০

রোহিত-৪৪, গিল-৭, পূজারা-২৫, রাহানে-৩৭, মায়াঙ্ক-৩৮, পান্ত-২৩, সুন্দর-৬২, শার্দুল-৬৭, সাইনি-৫, সিরাজ-১৩, নটরাজন-১।

স্ট্রাক-২৩-৩-৮৮-২; হ্যাজলউড-২৪.৪-৬-৫৭-৫; কামিন্স-২৭-৫-৯৪-২; গ্রিন-৮-১-২০-০; লায়ন-২৮-৯-৬৫-১।

অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস-২৯৪/১০

ওয়ার্নার-৪৮, হ্যারিস-৩৮, লাবুশানে-২৫, স্মিথ-৫৫, ওয়েড-০, গ্রিন-৩৭, পেইন-২৭, কামিন্স-২৮, স্ট্রাক-১, লায়ন-১৩, হ্যাজলউড-৯।

সিরাজ-১৯.৫-৫-৭৩-৫; নটরাজন-১৪-৪-৪১-০; শার্দুল-১৪-১-৮০-১; সাইনি- ৫-১-৩২-০; ওয়াশিংটন সুন্দর-১৮-১-৮০-১;

ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৩২৯/৭

রোহিত-৭, গিল-৯১, পূজারা-৫৬, রাহানে-২৪, মায়াঙ্ক-৯, পান্ত-৮৯ (অপ), সুন্দর-২২, শার্দুল-২, সাইনি-০ (অপ.)।

স্ট্রাক-১৬-০-৭৫-০; হ্যাজলউড-২২-৫-৭৪-১; কামিন্স-২৪-১০-৫৫-৪; গ্রিন-৩-১-১০-০; লায়ন-৩১-৭-৮৫-২।

ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী; চার ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-১ ব্যবধানে জয়ী।

এভাবে স্কোয়াডের শেষ সদস্যদের গড়া দলটিও ফেবারিট অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিল। কারণ, কিছু করে দেখানোর ক্ষুধাটা এ দলেরই বেশি ছিল। ভয়ংকর বিরুদ্ধ পরিবেশেও লড়াই করতে জানার সাহস থাকলে যে সবকিছু অর্জন করা সম্ভব। টেস্ট ক্রিকেট সাহসিকতার পরীক্ষা নেয়। একজনের চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখে। ব্রিসবেনে চারিত্রিক দৃঢ়তা, সাহসিকতা আর নিবেদনে একটি দলই এগিয়ে ছিল। আর দিন শেষে তারাই জয়ী। এ জয়কে ভারতের সেরা জয় বলা