ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে

অগ্রিম টাকা নিয়ে ভারত টিকা আটকাতে পারে না: পাপন

ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আসা নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তাদের সরকার টিকা আটকে রেখেছে। তাই আমি (আমাদের) সরকারের কাছে আবেদন করছি। এরপর আমাদের চুপ করে থাকার কোনো কারণ নেই। আমার কথা হচ্ছে যে টাকা সরকার অগ্রিম দিয়েছে, সেটা আটকাতে কোনোভাবেই তারা পারে না।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পাপন বলেন, আমরা ওদের কাছ থেকে কোনো দয়া চাচ্ছি না। আমার ন্যায্য পাওনা আমাদের ভ্যাকসিন, সেটাই চাচ্ছি। সেরাম টিকা না দিলে দ্বিতীয় ডোজের সংকট হবে। এ বিষয়টি সরকারকে জোরালোভাবে বলা উচিত। কারণ দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য সরকার তাদের অগ্রিম টাকা দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি ও জানি, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। এটা দেখার একটা সময় হয়েছে, এটা এখন দেখতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, টিকা এনে সরকারকে সহায়তা করা বেক্সিমকোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি দেখছি, তাতে টিকা বানানো ছাড়া কোনো পথ নেই। এমন কোনো ওষুধ নেই যেটা বাংলাদেশ বানাতে পারে না। তবে চলতি বছরের মধ্যে টিকা তৈরির বেক্সিমকোর কোনো পরিকল্পনা নেই।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। বেক্সিমকো ফার্মা ওই টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়। এরপর ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এরপর আর কোনো টিকা আসেনি দেশে।

Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

অগ্রিম টাকা নিয়ে ভারত টিকা আটকাতে পারে না: পাপন

Update Time : ০৬:০৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আসা নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আমাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তাদের সরকার টিকা আটকে রেখেছে। তাই আমি (আমাদের) সরকারের কাছে আবেদন করছি। এরপর আমাদের চুপ করে থাকার কোনো কারণ নেই। আমার কথা হচ্ছে যে টাকা সরকার অগ্রিম দিয়েছে, সেটা আটকাতে কোনোভাবেই তারা পারে না।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পাপন বলেন, আমরা ওদের কাছ থেকে কোনো দয়া চাচ্ছি না। আমার ন্যায্য পাওনা আমাদের ভ্যাকসিন, সেটাই চাচ্ছি। সেরাম টিকা না দিলে দ্বিতীয় ডোজের সংকট হবে। এ বিষয়টি সরকারকে জোরালোভাবে বলা উচিত। কারণ দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য সরকার তাদের অগ্রিম টাকা দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি ও জানি, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। এটা দেখার একটা সময় হয়েছে, এটা এখন দেখতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, টিকা এনে সরকারকে সহায়তা করা বেক্সিমকোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি দেখছি, তাতে টিকা বানানো ছাড়া কোনো পথ নেই। এমন কোনো ওষুধ নেই যেটা বাংলাদেশ বানাতে পারে না। তবে চলতি বছরের মধ্যে টিকা তৈরির বেক্সিমকোর কোনো পরিকল্পনা নেই।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। বেক্সিমকো ফার্মা ওই টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়। এরপর ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এরপর আর কোনো টিকা আসেনি দেশে।