ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে জানা গেল কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে’র মৃত্যুর আসল কারণ

চিরবিদায় নিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। ইতোমধ্যে মুম্বাইয়ের ভারসোভার মুক্তিধাম শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। অবশেষে জানা গেল এই গায়কের মৃত্যুর আসল কারণ।

চিকিৎসকদের ভাষ্য, হার্টের ব্লকেজের জন্যই মারা গেছেন কেকে। তাঁর হৃদযন্ত্রের বাঁ-দিকের ধমনিতে ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নাচ-গান করতে গিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনায় তার হার্টের ব্লকেজ বেড়ে যায়। এতে আচমকাই রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ায় কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। চিকিৎসা শুরুর আগেই নিভে যায় তার জীবনপ্রদীপ।

জানা গেছে, শরীর খারাপ নিয়েই কলকাতায় পা রেখেছিলেন কেকে। টানা দুই দিনের আয়োজনে গাওয়ার চুক্তিতে এসেছিলেন তিনি। তবে নিজের হার্টের ব্লকেজের কথা কাউকে জানাননি এই গায়ক। এমনকি তার ম্যানেজার রীতেশ ভাটকেও না।

কলকাতায় স্বামীর মরদেহ নিতে এসে কেকের স্ত্রী জ্যোতিলক্ষ্মী কৃষ্ণা বলেছেন, ‘মুম্বাই ছাড়ার আগে বারবার বলেছিল, শরীরটা ভালো নেই। আয়োজকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছি। তাই শেষ মুহূর্তে পারফর্ম না করে পারছি না। ওর (কেকে) হাতে ব্যথা ছিল। তখনো বুঝতে পারিনি, ওর শরীরে বড় রোগ বাসা বেঁধেছে।’

অন্যদিকে কেকের ম্যানেজার রীতেশ ভাট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে প্রচণ্ড গরম ছিল। তিনি (কেকে) বারবার পানি খাচ্ছিলেন। টানা দেড় ঘণ্টা হাসিমুখে গেয়েছেন, দর্শকদের আবদার রক্ষা করেছেন। সেখান থেকে হোটেলে ফিরলে লবিতে ভক্তরা তার সঙ্গে ছবি তুলতে চায়। কেকে তাদের উদ্দেশে বলেন, শরীরটা ভালো লাগছে না। এরপর রুমে চলে যান তারা।

রুমে ঢুকে সোফায় বসে বমি করেন কেকে। এরপর সেখানেই মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার শরীর প্রচন্ড ভারী হয়ে যাওয়ায় রীতেশ একা তাকে উঠাতে পারছিলেন না। হোটেলকর্মীদের সাহায্যে গায়ককে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যান তারা। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, নব্বই দশক থেকে শুরু করে বাংলা, হিন্দি, তামিল, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কেকে। তার জীবনের শেষ গানের স্মৃতি হয়ে রইলো কলকাতা।

Tag :

অবশেষে জানা গেল কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে’র মৃত্যুর আসল কারণ

Update Time : ০৫:১৮:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২

চিরবিদায় নিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। ইতোমধ্যে মুম্বাইয়ের ভারসোভার মুক্তিধাম শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। অবশেষে জানা গেল এই গায়কের মৃত্যুর আসল কারণ।

চিকিৎসকদের ভাষ্য, হার্টের ব্লকেজের জন্যই মারা গেছেন কেকে। তাঁর হৃদযন্ত্রের বাঁ-দিকের ধমনিতে ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নাচ-গান করতে গিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনায় তার হার্টের ব্লকেজ বেড়ে যায়। এতে আচমকাই রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ায় কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। চিকিৎসা শুরুর আগেই নিভে যায় তার জীবনপ্রদীপ।

জানা গেছে, শরীর খারাপ নিয়েই কলকাতায় পা রেখেছিলেন কেকে। টানা দুই দিনের আয়োজনে গাওয়ার চুক্তিতে এসেছিলেন তিনি। তবে নিজের হার্টের ব্লকেজের কথা কাউকে জানাননি এই গায়ক। এমনকি তার ম্যানেজার রীতেশ ভাটকেও না।

কলকাতায় স্বামীর মরদেহ নিতে এসে কেকের স্ত্রী জ্যোতিলক্ষ্মী কৃষ্ণা বলেছেন, ‘মুম্বাই ছাড়ার আগে বারবার বলেছিল, শরীরটা ভালো নেই। আয়োজকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছি। তাই শেষ মুহূর্তে পারফর্ম না করে পারছি না। ওর (কেকে) হাতে ব্যথা ছিল। তখনো বুঝতে পারিনি, ওর শরীরে বড় রোগ বাসা বেঁধেছে।’

অন্যদিকে কেকের ম্যানেজার রীতেশ ভাট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে প্রচণ্ড গরম ছিল। তিনি (কেকে) বারবার পানি খাচ্ছিলেন। টানা দেড় ঘণ্টা হাসিমুখে গেয়েছেন, দর্শকদের আবদার রক্ষা করেছেন। সেখান থেকে হোটেলে ফিরলে লবিতে ভক্তরা তার সঙ্গে ছবি তুলতে চায়। কেকে তাদের উদ্দেশে বলেন, শরীরটা ভালো লাগছে না। এরপর রুমে চলে যান তারা।

রুমে ঢুকে সোফায় বসে বমি করেন কেকে। এরপর সেখানেই মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার শরীর প্রচন্ড ভারী হয়ে যাওয়ায় রীতেশ একা তাকে উঠাতে পারছিলেন না। হোটেলকর্মীদের সাহায্যে গায়ককে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যান তারা। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, নব্বই দশক থেকে শুরু করে বাংলা, হিন্দি, তামিল, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কেকে। তার জীবনের শেষ গানের স্মৃতি হয়ে রইলো কলকাতা।