ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৬৫ জন আহত এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৪ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৫ অক্টোবর ভারতীয় আধিপত্য তাড়াইয়া আমেরিকা ওয়াশিংটনের আধিপত্যের শিকার হতে চাই না- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব পাকিস্তানের মানচিত্রে অবস্থান ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় মদদের সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করতে রাজি ইসরায়েল জার্মানির আকাশে গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক ড্রোন; বন্ধ হলো মিউনিখ বিমানবন্দর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শান্তি প্রস্তাবে জবাব দিয়েছে হামাস, ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান

অবসরে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:০২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
  • ২১৯ Time View
অনুসারে বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসরে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) অফিসিয়ালি সুপ্রিম কোর্টে তার কার্যদিবস। তবে এরও আগে গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ বিচারিক কর্মদিবস পালন করেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় অবকাশ। এর ফলে অবকাশে বসেনি আপিল বিভাগ। তাই দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতিকে গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ বিচারিক কর্মদিবসে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের দেওভান্ডার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ মুস্তফা আলী ও মায়ের নাম বেগম কাওসার জাহান।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের শিক্ষা জীবন কেটেছে কুমিল্লা শহরে। কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে ১৯৭২ সালে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা এবং একই কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১৯৮০ সালে কুমিল্লা আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল আফ্রিকান স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে ছয় মাসের ‘কমনওয়েলথ ইয়াং ল ইয়ার্স কোর্স’ সম্পন্ন করেন।
১৯৮১ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। বিএসসি ও এলএলবি সম্পন্ন করে ১৯৮১ সালে জেলা জজ আদালতে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিভাগে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পান। এরপর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।  সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দু’বার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাওয়ার পর  আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে চারজনে। তাদের মধ্য থেকে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুসারে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী অবসরে যাবেন ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ২০২৩ সালের ৩০ জুন এবং বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০২৬ সালের ১০ জানুয়ারি অবসরে যাবেন।
তাই সংবিধান অনুসারে আপিল বিভাগের এই চার বিচারপতির মধ্যে একজনকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করবেন রাষ্ট্রপতি।
Tag :
জনপ্রিয়

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৬৫ জন আহত

অবসরে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

Update Time : ০৪:০২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
অনুসারে বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসরে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) অফিসিয়ালি সুপ্রিম কোর্টে তার কার্যদিবস। তবে এরও আগে গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ বিচারিক কর্মদিবস পালন করেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় অবকাশ। এর ফলে অবকাশে বসেনি আপিল বিভাগ। তাই দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতিকে গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ বিচারিক কর্মদিবসে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের দেওভান্ডার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ মুস্তফা আলী ও মায়ের নাম বেগম কাওসার জাহান।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের শিক্ষা জীবন কেটেছে কুমিল্লা শহরে। কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে ১৯৭২ সালে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা এবং একই কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ১৯৮০ সালে কুমিল্লা আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল আফ্রিকান স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে ছয় মাসের ‘কমনওয়েলথ ইয়াং ল ইয়ার্স কোর্স’ সম্পন্ন করেন।
১৯৮১ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। বিএসসি ও এলএলবি সম্পন্ন করে ১৯৮১ সালে জেলা জজ আদালতে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং এর দুই বছর পর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিভাগে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পান। এরপর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।  সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দু’বার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাওয়ার পর  আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে চারজনে। তাদের মধ্য থেকে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুসারে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী অবসরে যাবেন ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ২০২৩ সালের ৩০ জুন এবং বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০২৬ সালের ১০ জানুয়ারি অবসরে যাবেন।
তাই সংবিধান অনুসারে আপিল বিভাগের এই চার বিচারপতির মধ্যে একজনকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করবেন রাষ্ট্রপতি।