ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
পাকিস্তানের মানচিত্রে অবস্থান ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় মদদের সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করতে রাজি ইসরায়েল জার্মানির আকাশে গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক ড্রোন; বন্ধ হলো মিউনিখ বিমানবন্দর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শান্তি প্রস্তাবে জবাব দিয়েছে হামাস, ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা পরিকল্পনার বিষয়ে জবাব দিয়েছে হামাস এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৩ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৪ অক্টোবর এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আদেশ চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন হাসনাত-সারজিস

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আদেশ চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

তাদের আইনজীবী আহসানুল করিম সোমবার বলেছেন, বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৫ বছর দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধের দাবি রয়েছে সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নেয়া কোনো কোনো পক্ষের।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে ‘নির্বিচারে হত্যার’ অভিযোগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং ক্ষমতাচ্যুত দলটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত অগাস্ট মাসেও একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। ‘সারডা সোসাইটি’ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আরিফুর ওই আবেদন করেছিলেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সেটি খারিজ করে দেয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সে সময় শুনানিতে বলেছিলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের। সংবিধানে রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা খর্ব করবে না সরকার। বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছে মানুষ। অনেক গুম-খুন হয়েছে। সেগুলোর বিচারের জন্য আইন ও আদালত রয়েছে।

“তবে আওয়ামী লীগের অনেক ভালো নেতাকর্মীও রয়েছেন, তারা দলের মতাদর্শ ধারণ করেন। এজন্য দল নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই। তাদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করার ইচ্ছা এ সরকারের নেই।”

আর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সে সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, “কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি না, যদি না কোনো জঙ্গিবাদী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় তারা লিপ্ত থাকে।

“সত্যিকার অর্থে যদি কোনো রাজনৈতিক দল জঙ্গিবাদী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকে, তাহলে প্রচণ্ড সততার সঙ্গে তদন্ত করে এমন কিছু (নিষিদ্ধ) করা যেতে পারে।”

আওয়ামী লীগের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বর্বরতম ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। এই কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যক্তিগত দায় থাকতে পারে, নেতাদের সামষ্টিক দায় থাকতে পারে, কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে বলে আমি মনে করি না।” সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

এদিকে বিবিসি জানায়, হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তারা দুইটি রিট করেছেন।

১. আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দিবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট ৷

২. এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে পলিটিক্যাল সকল একটিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট ৷

দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই৷

Tag :
জনপ্রিয়

পাকিস্তানের মানচিত্রে অবস্থান ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় মদদের সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আদেশ চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন হাসনাত-সারজিস

Update Time : ১০:৫৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আদেশ চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।

তাদের আইনজীবী আহসানুল করিম সোমবার বলেছেন, বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৫ বছর দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধের দাবি রয়েছে সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নেয়া কোনো কোনো পক্ষের।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে ‘নির্বিচারে হত্যার’ অভিযোগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং ক্ষমতাচ্যুত দলটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত অগাস্ট মাসেও একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। ‘সারডা সোসাইটি’ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আরিফুর ওই আবেদন করেছিলেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সেটি খারিজ করে দেয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সে সময় শুনানিতে বলেছিলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের। সংবিধানে রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা খর্ব করবে না সরকার। বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছে মানুষ। অনেক গুম-খুন হয়েছে। সেগুলোর বিচারের জন্য আইন ও আদালত রয়েছে।

“তবে আওয়ামী লীগের অনেক ভালো নেতাকর্মীও রয়েছেন, তারা দলের মতাদর্শ ধারণ করেন। এজন্য দল নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই। তাদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করার ইচ্ছা এ সরকারের নেই।”

আর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সে সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, “কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি না, যদি না কোনো জঙ্গিবাদী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় তারা লিপ্ত থাকে।

“সত্যিকার অর্থে যদি কোনো রাজনৈতিক দল জঙ্গিবাদী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকে, তাহলে প্রচণ্ড সততার সঙ্গে তদন্ত করে এমন কিছু (নিষিদ্ধ) করা যেতে পারে।”

আওয়ামী লীগের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বর্বরতম ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। এই কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যক্তিগত দায় থাকতে পারে, নেতাদের সামষ্টিক দায় থাকতে পারে, কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে বলে আমি মনে করি না।” সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

এদিকে বিবিসি জানায়, হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তারা দুইটি রিট করেছেন।

১. আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দিবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট ৷

২. এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে পলিটিক্যাল সকল একটিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট ৷

দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই৷