ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেলেন তারা একবার-ও আমাদের খোঁজ নিলেন না: অভিযোগ শহীদ জাহিদের মায়ের

সারজিস-হাসনাতদের ১০০ বার কল দিলেও তারা রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা ফাতেমা তুজ জোহরা। একইসাথে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় বসেছেন তারাও তাদের (শহীদ জাহিদের পরিবারের) কোনো খোঁজ নেননি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ’গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বিমানবন্দর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আবদুল্লাহ।

আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা বলেন, ‘আমার দু’ ছেলে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ বিন জাহিদের বয়স ১৭ বছর ছোট ছেলের বয়স ১৪ বছর। আমার বড় ছেলে মারা যাবার ১৪ দিনের মাথায় আমার ছোট ছেলের ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ১৮ মে আমার স্বামী ব্রেন স্টক করে মারা যান। আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে আমার ছোট ছেলের খোঁজখবর নেয় এবং তার চিকিৎসার খরচ গ্রহণ করে। আগামী শুক্রবার আমার ছোট ছেলের আরেকটা অপারেশন হবে। আমার শেষ অবলম্বনটুকু যেন আমরা কাছে থাকে এজন্য সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

তিনি বলেন, ‘এই উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারে নাই। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেলেন তারা একবার-ও আমাদের খোঁজ নিলেন না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা কল দিলেও তারা রিসিভ করেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার আজ আমাদের সাথে না থাকলে আমাদের রাস্তায় নামতে হতো, আমার ছোট ছেলেও আজ দুনিয়াতে থাকতো না।’

Tag :

আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেলেন তারা একবার-ও আমাদের খোঁজ নিলেন না: অভিযোগ শহীদ জাহিদের মায়ের

Update Time : ০১:৩৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

সারজিস-হাসনাতদের ১০০ বার কল দিলেও তারা রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা ফাতেমা তুজ জোহরা। একইসাথে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় বসেছেন তারাও তাদের (শহীদ জাহিদের পরিবারের) কোনো খোঁজ নেননি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ’গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বিমানবন্দর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আবদুল্লাহ।

আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা বলেন, ‘আমার দু’ ছেলে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ বিন জাহিদের বয়স ১৭ বছর ছোট ছেলের বয়স ১৪ বছর। আমার বড় ছেলে মারা যাবার ১৪ দিনের মাথায় আমার ছোট ছেলের ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ১৮ মে আমার স্বামী ব্রেন স্টক করে মারা যান। আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে আমার ছোট ছেলের খোঁজখবর নেয় এবং তার চিকিৎসার খরচ গ্রহণ করে। আগামী শুক্রবার আমার ছোট ছেলের আরেকটা অপারেশন হবে। আমার শেষ অবলম্বনটুকু যেন আমরা কাছে থাকে এজন্য সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

তিনি বলেন, ‘এই উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারে নাই। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেলেন তারা একবার-ও আমাদের খোঁজ নিলেন না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা কল দিলেও তারা রিসিভ করেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার আজ আমাদের সাথে না থাকলে আমাদের রাস্তায় নামতে হতো, আমার ছোট ছেলেও আজ দুনিয়াতে থাকতো না।’