সারাদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ অনুযায়ী পশু কুরবানি করছেন। এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি শেষ হচ্ছে আজ, আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ জুলাই) থেকে খুলবে অফিস।
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ৯, ১০ ও ১১ জুলাই (শনি, রোব ও সোমবার) ঈদের ছুটি ছিল। এর আগে ৮ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় এবার ঈদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা চারদিন ছুটি পেয়েছেন। তবে ঈদের ছুটির একদিন (৯ জুলাই) পড়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারে।
এদিকে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ছুটি শেষ হচ্ছে আজ সোমবার। রবিবার (১০ জুলাই) সারাদেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। আজ ঈদের দ্বিতীয় দিনও সরকারি ছুটি রয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে খুলবে সব সরকারি অফিস।
জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার অফিস খুললেও অনেক সরকারি কর্মকর্তা মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন। এরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামী রোববার (১৭ জুলাই) অফিস জমজমাট হতে পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার সরকারি অফিস খুললেও অনেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি নেওয়ায় আগামী রোববার (১৭ জুলাই) মূলত অফিসে কর্মচাঞ্চল্য ফিরবে। যারা গ্রামে যাননি তারা আগামীকাল থেকেই অফিস করবেন, তবে সেই সংখ্যা কিছুটা কম।
পরিবার পরিজনের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ:
সোমবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজনকে রাজধানীতে ফিরতে দেখা যায়।
রবিবার (১০ জুলাই) দেশব্যাপী পালিত হয়েছে কোরবানির ঈদ বা পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে এবারে সরকারি তিন দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে সোমবার (১১ জুলাই )। তাই অনেকেই দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি এবং ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে একদিন আগেই রাজধানীতে ফিরছেন।
রংপুর থেকে গাবতলীতে আসা আসাদুলের কাছে ছুটি শেষ না হতেই ঢাকায় ফেরার কারণ জানতে চাইলে বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, তাই নিয়মকানুন একটু বেশি। আবার সারারাত জার্নি করে অফিস করাটা অনেক কষ্টসাধ্য। তাই ইচ্ছে না থাকলেও আগেই ফিরতে হলো।
গাইবান্ধা থেকে গাবতলী বাসটার্মিনালে আসা একজনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আমার পরিবারের সবাই বাড়িতে আছে। আরও কয়েকদিন পর আসবে। আমি ঈদে বাড়তি ছুটি পাইনি। তাই পরের দিন চলে আসতে হল।
রাজধানীতে ফেরা আরও কয়েজন জানান, ঈদের পরের দিন বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন রেখে ফিরে আসাটা তাদের কাছে অনেক কষ্টের, তবুও জীবিকার তাগিদে ফিরতে হয়।
অপরদিকে যারা বিভিন্ন কারণে ঈদে বাড়ি যেতে পারেনি তাদেরও বাড়ি যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় গাবতলীতে। এমনই একজন ৬০ বছরের মামুন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, দুই ছেলে ও এক মেয়ে ঢাকায় থাকে। তাদেরও ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে আছে। ছোট বাচ্চা নিয়ে তারা এই গরম, আর জ্যামে বাড়ি যেতে পারেনি। তাই আমি তাদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকায় এসেছিলাম। ঈদ শেষে এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
ঈদ উপলক্ষে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষ আবার ফিরে আসলে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে রাজধানীর বিভিন্ন অফিস, আদালত। পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ পালন করে প্রত্যেকে নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরবেন এমনটাই প্রত্যাশা সবার।