ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী আর নেই

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী আর নেই। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না… রাজিউন)।

কবরীর ছেলে শাকের চিশতী  গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৫ এপ্রিল অভিনেত্রী কবরীর শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই রাতেই তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ এপ্রিল রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপর ৮ এপ্রিল দুপুরে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে কবরীর জন্য আইসিইউ পাওয়া যায়। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত তাকে লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।

১৯৬৪ সালে ‘সুতরাং’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান কবরী। ছবিটি পরিচালনা করেন সুভাষ দত্ত। এরপর ‘বাহানা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘রংবাজ’, ‘সারেং বউ’, ‘সুজন সখী’সহ অনেক কালজয়ী সিনেমা উপহার দিয়েছেন সারাহ বেগম কবরী।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে যান তিনি, সেখান থেকে ভারতে। কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি। একই লক্ষ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে আসা বিভিন্ন দেশের অতিথিদের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে দেশকে সাহায্যের আবেদন জানাতেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবারও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন কবরী।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননাও।

কবরী সারোয়ারের জন্ম চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায়। জন্মস্থান বোয়ালখালী হলেও শৈশব কৈশোর ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম নগরীতেই। তার আসল নাম মিনা পাল। পিতা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল এবং মা শ্রীমতি লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব কবরীর।

Tag :

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী আর নেই

Update Time : ০৬:৫০:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী আর নেই। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না… রাজিউন)।

কবরীর ছেলে শাকের চিশতী  গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৫ এপ্রিল অভিনেত্রী কবরীর শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই রাতেই তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ এপ্রিল রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপর ৮ এপ্রিল দুপুরে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে কবরীর জন্য আইসিইউ পাওয়া যায়। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত তাকে লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।

১৯৬৪ সালে ‘সুতরাং’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান কবরী। ছবিটি পরিচালনা করেন সুভাষ দত্ত। এরপর ‘বাহানা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘রংবাজ’, ‘সারেং বউ’, ‘সুজন সখী’সহ অনেক কালজয়ী সিনেমা উপহার দিয়েছেন সারাহ বেগম কবরী।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে যান তিনি, সেখান থেকে ভারতে। কলকাতায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি। একই লক্ষ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে আসা বিভিন্ন দেশের অতিথিদের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে দেশকে সাহায্যের আবেদন জানাতেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবারও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন কবরী।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননাও।

কবরী সারোয়ারের জন্ম চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায়। জন্মস্থান বোয়ালখালী হলেও শৈশব কৈশোর ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম নগরীতেই। তার আসল নাম মিনা পাল। পিতা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল এবং মা শ্রীমতি লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব কবরীর।