দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নতুন করে আবার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। সোমবার জারি করা এই নির্দেশনা গতকাল বুধবার থেকেই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম দিন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে শারীরিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক পরে বের হওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো মানার ক্ষেত্রে সর্বত্রই অবহেলা দেখা গেছে।
গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দিয়ে ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে দুই সপ্তাহের জন্য। গতকাল রাজধানীসহ দেশের নানা জায়গায় এই নির্দেশনা লঙ্ঘন হতে দেখা গেছে। ভাড়া দ্বিগুণ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত যাত্রীও নিয়েছে গণপরিবহন। রাজধানীতে গণপরিবহন কম থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে। বেশি ভাড়া নিয়ে গেট বন্ধ করে চলতে দেখা গেছে অনেক রুটের বাসকে। একইভাবে দূরপাল্লার যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়ে।
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের তরফ থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাও করা হচ্ছে।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি অফিসগুলো অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাইড শেয়ারিং সেবা আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও শেরপুরে পর্যটন একই সময়ের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন, যা আজ থেকে কার্যকর হবে।
হাটবাজার থেকে শুরু করে নগরীতে শারীরিক দূরত্ব মানার বালাই নেই। মাস্ক ও গ্লাভস পরার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষই উদাসীন। অসম্ভব ছোঁয়াচে করোনার মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে সবকিছুই। ফলে বাড়ছে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা, বাড়ছে লাশের সারি। আক্রান্ত হচ্ছে নতুন নতুন মানুষ।
বাস টার্মিনাল, মাছ বাজার, মুদি দোকান, ঔষদের দোকান, শপিং মল, গণপরিবহন কোথাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আবারও কাজ করার পরার্মশ দিচ্ছেন সচেতন নাগরিকরা। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কাজ করছেন বলেও দাবি করেছেন তারা।