খুলনার চারটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তে গতকাল রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুর পর আজ প্রাণহানি কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৬ জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এদিনে কোনো মৃত্যু হয়নি।
গতকাল শুক্রবার খুলনাতে সর্বোচ্চ ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর ৮ ও ৭ জুলাই ২২ জন, গত ৬ ও ৫ জুলাই ১৭ জন, ৪ জুলাই ১৫ জন, ৩ ও ২ জুলাই ১১ জন এবং ১ জুলাই ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় তিন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজন মিলে মোট ৬ জনরে মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮৮ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১১৫ জন, ইয়েলো জোনে ৩৩ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
করোনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনার ফুলতলার শামসুর রহমান (৫০), বাগেরহাটের মিঠা পুকুর পাড় এলাকার রওশন আরা (৬৫) ও নড়াইলের লোহাগড়ার মো. মুজিবর রহমান (৬৫)। এছাড়া তিনজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছেন ডা. প্রকাশ দেবনাথ। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪৫ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চারজন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি হলেন খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি এলাকার মো. হাসানুজ্জামান (৭০)।
এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৬ জন, তার মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৩৯ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনার পাইকগাছার গোপালপুরের আহম্মদ আলী গোলদার (৭৫), দাকোপের পানখালীর মোহাম্মদ আলী (৯০) ও চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদার পুরাপাড়ার অনন্ত কুমার বিশ্বাস (৪০)। বেসরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১৩০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন।