ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে

করোনা পরিস্থিতির অবনতি, সংকটাপন্ন অবস্থার আশংঙ্কা

দেশে করোনা সংক্রমণের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে হাসপাতালগুলোয় কানায় কানায় রোগী ভর্তি। সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বেড পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণ শয্যাও ফাঁকা নেই অধিকাংশ হাসপাতালে।

হাসপাতালে শয্যার সংকটে বিপাকে পড়েছে রোগীরা। আর আইসিইউর সংকটে বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি। আইসিইউর জন্য হাহাকার করছেন রোগীর স্বজনেরা। আইসিইউর জন্য ঘুরতে হচ্ছে হাসপাতালের পর হাসপাতাল। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চূড়ায় (পিক) উঠেছিল গত বছরের জুন-জুলাই মাসে। ঐ সময়টায় বিশেষ করে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার রোগী শনাক্ত হতো। এমন পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আরেকটি চূড়ার (পিক) দিকে যাচ্ছে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি।’ গত পাঁচ দিনই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের বেশি।

গতকাল রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৯০৮ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে আরো ৩৫ জনের। এর আগে গত বছরের ২ জুলাইয়ের চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন মোট ৪ হাজার ১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

এদিকে সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে বেডের চরম সংকট দেখা যাচ্ছে। গত বছর করোনা রোগী বাড়লে আইসিইউ নিয়ে হাহাকার দেখা দিয়েছিল। এবারও বদলায়নি চিত্র। অনেক জায়গায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন দিতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। অ্যানেসথেসিওলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেন, ‘আইসিইউ ব্যবস্থাপনার জন্য অ্যানেসথেসিওলজিস্টের সংকট রয়েছে। লোক নিয়োগের যে প্রস্তাব দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন হয়নি। করোনা রোগীদের জন্য সরকারি হাসপাতালে সিট বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু ডাক্তার নেই। তাহলে সিট বাড়িয়ে কী লাভ? বিএসএমএমইউর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন অধ্যাপক ১০ দিন ধরে চেষ্টা করার পর একটা আইসিইউ বেড দিতে পারেন। তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে আইসিইউ বেড পাবে? রোগীকে সময়মতো আইসিইউতে নিতে পারলে অনেক রোগী ভালো হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ বাস্তবায়ন করেনি মন্ত্রণালয়। কয়েক জন ডাক্তার দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে ডাক্তারদের ওপর হিমালয়ের পর্বতের মতো চাপ পড়েছে। কিন্তু পলিসিমেকাররা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যেসব প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, তার অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয় না। একজন কর্মকর্তা এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী করোনা চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারণে যে ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন, তা-ও সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

করোনা চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত বেশ কয়েক জন চিকিত্সক ইত্তেফাককে বলেন, ৪০ হাজার বেকার ডাক্তার আছেন। তাদের কেন দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না? বেকার বিপুলসংখ্যক নার্সও রয়েছেন, তাদেরও দ্রুত নিয়োগ নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মিছিল, মিটিং ও জনসমাবেশ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এখনই যে অবস্থা সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে, আরেকটু বাড়লে কিছুই করার থাকবে না। তাই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে জোর দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে। এক্ষেত্রে যা করার তাই দ্রুত করা প্রয়োজন।

মুগদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, হাসপাতালে নরমাল সিট নিয়ে হাহাকার চলছে। আর আইসিইউ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন একটা ভয়ংকর দিক হলো, জ্বর-কাশি নেই, কিন্তু হঠাৎ করে খারাপ অবস্থা হয়ে যাচ্ছে রোগীর। এখন আর ছোট-বড় নেই, করোনা হলে সবার অবস্থা খারাপ হয়। করোনা রোগী বৃদ্ধির যে অবস্থা, তাতে কত দিন চিকিৎসাসেবা প্রদান ধরে রাখতে পারব, তা বোধগম্য নয়। এই রোগ যাতে না হয়, সেই কাজ সবাইকে করতে হবে। অর্থাৎ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য প্রথমে ১০০ বেড চালু করা হয়েছিল। পরে ৫০টি বেড বাড়ানো হয়। তবে রোগীদের প্রচণ্ড চাপ থাকায় আরো ৫০টি বেড বাড়িয়ে এখন ২০০ করোনা রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। করোনা রোগীদের জন্য বন্ধ হওয়া ১০ বেডের আইসিইউ পুনরায় চালু করা হচ্ছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, করোনা যাতে না হয়, সেদিকে সবার নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানলে নিজে বাঁচবে, অন্যকেও বাঁচানো হবে। তিনি বলেন, করোনা পজিটিভ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। শুরুতে চিকিত্সা নিলে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আগে যে চিকিৎসাব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, তা এখন আবার পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে হবে। আইসিইউ বাড়াতে হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

করোনা পরিস্থিতির অবনতি, সংকটাপন্ন অবস্থার আশংঙ্কা

Update Time : ০৫:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১

দেশে করোনা সংক্রমণের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে হাসপাতালগুলোয় কানায় কানায় রোগী ভর্তি। সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বেড পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণ শয্যাও ফাঁকা নেই অধিকাংশ হাসপাতালে।

হাসপাতালে শয্যার সংকটে বিপাকে পড়েছে রোগীরা। আর আইসিইউর সংকটে বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি। আইসিইউর জন্য হাহাকার করছেন রোগীর স্বজনেরা। আইসিইউর জন্য ঘুরতে হচ্ছে হাসপাতালের পর হাসপাতাল। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চূড়ায় (পিক) উঠেছিল গত বছরের জুন-জুলাই মাসে। ঐ সময়টায় বিশেষ করে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার রোগী শনাক্ত হতো। এমন পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আরেকটি চূড়ার (পিক) দিকে যাচ্ছে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি।’ গত পাঁচ দিনই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের বেশি।

গতকাল রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৯০৮ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে আরো ৩৫ জনের। এর আগে গত বছরের ২ জুলাইয়ের চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন মোট ৪ হাজার ১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

এদিকে সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে বেডের চরম সংকট দেখা যাচ্ছে। গত বছর করোনা রোগী বাড়লে আইসিইউ নিয়ে হাহাকার দেখা দিয়েছিল। এবারও বদলায়নি চিত্র। অনেক জায়গায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন দিতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। অ্যানেসথেসিওলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলেন, ‘আইসিইউ ব্যবস্থাপনার জন্য অ্যানেসথেসিওলজিস্টের সংকট রয়েছে। লোক নিয়োগের যে প্রস্তাব দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন হয়নি। করোনা রোগীদের জন্য সরকারি হাসপাতালে সিট বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু ডাক্তার নেই। তাহলে সিট বাড়িয়ে কী লাভ? বিএসএমএমইউর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন অধ্যাপক ১০ দিন ধরে চেষ্টা করার পর একটা আইসিইউ বেড দিতে পারেন। তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে আইসিইউ বেড পাবে? রোগীকে সময়মতো আইসিইউতে নিতে পারলে অনেক রোগী ভালো হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ বাস্তবায়ন করেনি মন্ত্রণালয়। কয়েক জন ডাক্তার দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে ডাক্তারদের ওপর হিমালয়ের পর্বতের মতো চাপ পড়েছে। কিন্তু পলিসিমেকাররা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যেসব প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, তার অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয় না। একজন কর্মকর্তা এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী করোনা চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারণে যে ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন, তা-ও সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

করোনা চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত বেশ কয়েক জন চিকিত্সক ইত্তেফাককে বলেন, ৪০ হাজার বেকার ডাক্তার আছেন। তাদের কেন দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না? বেকার বিপুলসংখ্যক নার্সও রয়েছেন, তাদেরও দ্রুত নিয়োগ নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মিছিল, মিটিং ও জনসমাবেশ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এখনই যে অবস্থা সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে, আরেকটু বাড়লে কিছুই করার থাকবে না। তাই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে জোর দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে। এক্ষেত্রে যা করার তাই দ্রুত করা প্রয়োজন।

মুগদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, হাসপাতালে নরমাল সিট নিয়ে হাহাকার চলছে। আর আইসিইউ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন একটা ভয়ংকর দিক হলো, জ্বর-কাশি নেই, কিন্তু হঠাৎ করে খারাপ অবস্থা হয়ে যাচ্ছে রোগীর। এখন আর ছোট-বড় নেই, করোনা হলে সবার অবস্থা খারাপ হয়। করোনা রোগী বৃদ্ধির যে অবস্থা, তাতে কত দিন চিকিৎসাসেবা প্রদান ধরে রাখতে পারব, তা বোধগম্য নয়। এই রোগ যাতে না হয়, সেই কাজ সবাইকে করতে হবে। অর্থাৎ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য প্রথমে ১০০ বেড চালু করা হয়েছিল। পরে ৫০টি বেড বাড়ানো হয়। তবে রোগীদের প্রচণ্ড চাপ থাকায় আরো ৫০টি বেড বাড়িয়ে এখন ২০০ করোনা রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। করোনা রোগীদের জন্য বন্ধ হওয়া ১০ বেডের আইসিইউ পুনরায় চালু করা হচ্ছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, করোনা যাতে না হয়, সেদিকে সবার নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানলে নিজে বাঁচবে, অন্যকেও বাঁচানো হবে। তিনি বলেন, করোনা পজিটিভ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। শুরুতে চিকিত্সা নিলে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আগে যে চিকিৎসাব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, তা এখন আবার পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে হবে। আইসিইউ বাড়াতে হবে।