ঢাকা ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে

গ্রেপ্তার বন্ধ ও কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়া সহ ৪ আর্জি হেফাজতের

গ্রেপ্তার বন্ধ ও কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন হেফাজত নেতারা। মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সরকারি বাসভবনে দেখা করে হেফাজতের আট নেতা এই অনুরোধ জানান। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হেফাজতে ইসলামের আট নেতা ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তারা বৈঠক শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। জানা যায়, এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া-৩ আস‌নের সংসদ সদস্য আ ম উবায়দুল মোক্তা‌দিরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ছিলেন। হেফাজত নেতাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের বিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদি।

বৈঠকে তারা হেফাজতের নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ৪ দফা দাবি মন্ত্রীকে জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো-

১. হেফাজতের গণআন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে গ্রেফতার হওয়া আলেম ও সাধারণ মানুষকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করা।

২. দেশব্যাপী গ্রেফতার অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। ফলে পবিত্র রমজান মাসে ইবাদত বন্দেগি করতে না পেরে অজানা আতঙ্কে দিন পার করছে মানুষজন। গ্রেফতার আতঙ্ক ও হয়রানি থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া।

৩. ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছিল, পূর্বের আলোচনা অনুযায়ী মামলাগুলো প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা।

৪. দ্রুত কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া।

হেফাজতের সাবেক মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীর বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো মন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন।’

গত রবিবার রাতেও হেফাজতের সাবেক দুই যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী ও মুফতি ফয়জুল্লাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসায় সাক্ষাৎ করেছিলেন।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজতের নেতা ও খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও তার ভাতিজা মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীসহ ছয় থেকে সাতজন। পরবর্তীতে হেফাজতের ওই কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হওয়া বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনার পর সরকার হেফাজতে ইসলামের ওপর কঠোর অবস্থান নেয়। মাসখানেক ধরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর একাধিকবার হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন।

Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

গ্রেপ্তার বন্ধ ও কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়া সহ ৪ আর্জি হেফাজতের

Update Time : ০৭:১৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১

গ্রেপ্তার বন্ধ ও কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন হেফাজত নেতারা। মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সরকারি বাসভবনে দেখা করে হেফাজতের আট নেতা এই অনুরোধ জানান। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হেফাজতে ইসলামের আট নেতা ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তারা বৈঠক শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। জানা যায়, এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ও ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া-৩ আস‌নের সংসদ সদস্য আ ম উবায়দুল মোক্তা‌দিরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ছিলেন। হেফাজত নেতাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের বিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদি।

বৈঠকে তারা হেফাজতের নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ৪ দফা দাবি মন্ত্রীকে জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো-

১. হেফাজতের গণআন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে গ্রেফতার হওয়া আলেম ও সাধারণ মানুষকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করা।

২. দেশব্যাপী গ্রেফতার অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। ফলে পবিত্র রমজান মাসে ইবাদত বন্দেগি করতে না পেরে অজানা আতঙ্কে দিন পার করছে মানুষজন। গ্রেফতার আতঙ্ক ও হয়রানি থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া।

৩. ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছিল, পূর্বের আলোচনা অনুযায়ী মামলাগুলো প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা।

৪. দ্রুত কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া।

হেফাজতের সাবেক মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীর বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো মন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন।’

গত রবিবার রাতেও হেফাজতের সাবেক দুই যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী ও মুফতি ফয়জুল্লাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসায় সাক্ষাৎ করেছিলেন।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, হেফাজতের নেতা ও খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও তার ভাতিজা মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীসহ ছয় থেকে সাতজন। পরবর্তীতে হেফাজতের ওই কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হওয়া বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনার পর সরকার হেফাজতে ইসলামের ওপর কঠোর অবস্থান নেয়। মাসখানেক ধরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর একাধিকবার হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন।