ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে

জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগে ২০১২ সালের আজকের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। পরে তাকে নূহাশপল্লীতে সমাহিত করা হয়।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই খ্যাতি লাভ করেন তিনি। বাংলাদেশে পাঠকপ্রিয় এ লেখক দুই শতাধিক ফিকশন ও নন-ফিকশন লিখেছেন। হিমু, মিসির আলির মতো চরিত্র দিয়ে লাখো কোটি পাঠক-ভক্ত তৈরি করেছেন এই কথার জাদুকর।
বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাই তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখকদের মধ্যে অন্যতম গণ্য করা হয়। বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ূন আহমেদকে একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক দেয়া হয়।

নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে হুমায়ূন আহমেদের। নিজের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে হুমায়ূনের পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ইত্যাদি। ‘আগুনের পরশমণি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় প্রিয় সাহিত্যিককে স্মরণ করছেন তার অগণিত ভক্ত।

দিবসটি উপলক্ষে কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে নূহাশপল্লীতে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে হুমায়ূনের নির্মিত বিভিন্ন নাটক ও চলচ্চিত্র।

Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Update Time : ০৫:১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগে ২০১২ সালের আজকের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। পরে তাকে নূহাশপল্লীতে সমাহিত করা হয়।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই খ্যাতি লাভ করেন তিনি। বাংলাদেশে পাঠকপ্রিয় এ লেখক দুই শতাধিক ফিকশন ও নন-ফিকশন লিখেছেন। হিমু, মিসির আলির মতো চরিত্র দিয়ে লাখো কোটি পাঠক-ভক্ত তৈরি করেছেন এই কথার জাদুকর।
বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাই তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখকদের মধ্যে অন্যতম গণ্য করা হয়। বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ূন আহমেদকে একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক দেয়া হয়।

নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে হুমায়ূন আহমেদের। নিজের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে হুমায়ূনের পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ইত্যাদি। ‘আগুনের পরশমণি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় প্রিয় সাহিত্যিককে স্মরণ করছেন তার অগণিত ভক্ত।

দিবসটি উপলক্ষে কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে নূহাশপল্লীতে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে হুমায়ূনের নির্মিত বিভিন্ন নাটক ও চলচ্চিত্র।