ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত প্রায় ১৯ হাজার শিশু ইউরোপজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ, স্পেনে মৃত্যু ১,১৫০ ছাড়াল গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন করা হবে না: ট্রাম্প আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি ২০ আগস্ট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সেনাবাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ফরিদপুরের সালথায় শর্ত লঙ্ঘন করে আ.লীগ নেতার শ্যালককে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগের অভিযোগ ফরিদপুরে পদ্মার পানি বেড়ে ডুবে গেছে ৩১ গ্রাম, দুর্ভোগে ১২০০ পরিবার মধুখালীতে মুক্তিপণ না পেয়ে শিক্ষার্থীকে হত্যা, আটক ২

টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের শেষদিন রাজধানীতে বেড়েছে যান চলাচল

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:২২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৪০ Time View

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাহারের দাবিতে সারাদেশে বিএনপির ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের শেষদিন সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে বেড়েছে যান চলাচল। আগের অবরোধ ও হরতালে যান চলাচল কম দেখা গেলেও এদিন অনেকটাই স্বাভাবিক চিত্র দেখা গেছে।

গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা যত গড়াচ্ছে সড়কে বাড়ছে গণপরিবহনের সংখ্যাও।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কর্মজীবী মানুষ প্রতিদিনের মতোই নিজ গন্তব্যে ছুটে চলেছেন। ভোরের দিকে যানবাহন কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যান চলাচল বাড়ছে।

এদিকে, গাবতলী থেকে উত্তরবঙ্গগামী কিছু কিছু বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে যাত্রী সংকটের কারণে স্বাভাবিক অবস্থায় দূরপাল্লার বাসের স্বাভাবিক যে চলাচল, সেটা চোখে পড়েনি। বাস কাউন্টারগুলোতে কথা বলে জানা গেছে, হরতালের কারণে মানুষের ভেতরে যে ভয় বা আতঙ্ক সে কারণেই আসলে যাত্রী উপস্থিতি কম। একেবারে জরুরি প্রয়োজন না হলে কেউ দূরের গন্তব্যের জন্য কাউন্টারে আসছেন না।

এদিকে, রাজধানীতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। জনগণের যানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যাচ্ছে।

গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। ১২ ও ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করা হয়। ১৪ নভেম্বর একদিনের বিরতি দিয়ে ১৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়। এরপর হরতাল ও পাঁচদফা অবরোধের পর আবারও টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। চলবে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত।

এসব কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর গ্রেপ্তারের বাইরে থাকা নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।

Tag :

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত প্রায় ১৯ হাজার শিশু

টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের শেষদিন রাজধানীতে বেড়েছে যান চলাচল

Update Time : ০৫:২২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাহারের দাবিতে সারাদেশে বিএনপির ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের শেষদিন সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে বেড়েছে যান চলাচল। আগের অবরোধ ও হরতালে যান চলাচল কম দেখা গেলেও এদিন অনেকটাই স্বাভাবিক চিত্র দেখা গেছে।

গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা যত গড়াচ্ছে সড়কে বাড়ছে গণপরিবহনের সংখ্যাও।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কর্মজীবী মানুষ প্রতিদিনের মতোই নিজ গন্তব্যে ছুটে চলেছেন। ভোরের দিকে যানবাহন কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যান চলাচল বাড়ছে।

এদিকে, গাবতলী থেকে উত্তরবঙ্গগামী কিছু কিছু বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তবে যাত্রী সংকটের কারণে স্বাভাবিক অবস্থায় দূরপাল্লার বাসের স্বাভাবিক যে চলাচল, সেটা চোখে পড়েনি। বাস কাউন্টারগুলোতে কথা বলে জানা গেছে, হরতালের কারণে মানুষের ভেতরে যে ভয় বা আতঙ্ক সে কারণেই আসলে যাত্রী উপস্থিতি কম। একেবারে জরুরি প্রয়োজন না হলে কেউ দূরের গন্তব্যের জন্য কাউন্টারে আসছেন না।

এদিকে, রাজধানীতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। জনগণের যানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যাচ্ছে।

গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। ১২ ও ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করা হয়। ১৪ নভেম্বর একদিনের বিরতি দিয়ে ১৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়। এরপর হরতাল ও পাঁচদফা অবরোধের পর আবারও টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। চলবে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত।

এসব কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর গ্রেপ্তারের বাইরে থাকা নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।