ঢাকা ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ভারতীয় আধিপত্য তাড়াইয়া আমেরিকা ওয়াশিংটনের আধিপত্যের শিকার হতে চাই না- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব পাকিস্তানের মানচিত্রে অবস্থান ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় মদদের সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করতে রাজি ইসরায়েল জার্মানির আকাশে গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক ড্রোন; বন্ধ হলো মিউনিখ বিমানবন্দর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শান্তি প্রস্তাবে জবাব দিয়েছে হামাস, ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা পরিকল্পনার বিষয়ে জবাব দিয়েছে হামাস এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৩ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৪ অক্টোবর

তসলিমা নাসরিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১
  • ২৩৭ Time View

ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিট।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত করে আমরা তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি। আর নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় একজনকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সেটাই চার্জশিটে বলেছি। এখন আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মামলার অভিযোগে যা বলা হয়েছিল
মুহম্মদ মাহবুব আলম ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় পিটিশন মামলাটি দায়ের করেছিলেন, যাতে তসলিমা নাসরিন, সুপ্রীতি ধর, সুচিস্মিতা সিমন্তি ও লীনা হককে আসামি করা হয়েছিল। এই মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা কাহিনী তৈরি করে এসব ব্যক্তিরা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিপ্রায়ে লিপ্ত আছে।

অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুকে ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনো ধর্ম নাই’ শিরোনামে লেখা একটি পোস্টে তসলিমা নাসরিন পয়গম্বরদের নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন এবং তার লেখাটি উইমেন চ্যাপ্টার নামক ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশ করা হয়।

অভিযোগে আরো বলা হয়, আসামিদের সকলে এ দেশের ধর্মপ্রাণ নারী সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করার একই সাধারণ উদ্দেশ্য পূরণ কল্পে তাদের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে ইসলামবিদ্বেষী এসব পোস্ট করে থাকেন। বাদী/সংবাদদাতা একজন ধার্মিক মুসলিম ও আলেম হওয়ায় এসব ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট পড়ে তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে।

এতে বলা হয়, বাদী তাদের শেয়ার বা পোস্ট করা আরো কিছু ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট দেখেছেন।

মামলাটি ট্রাইব্যুনালে দায়েরের পর ট্রাইব্যুনাল ঢাকার শাহজাহানপুর থানাকে এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।

নব্বইয়ের দশকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। বর্তমানে ভারতে বসবাস করছেন তিনি। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন তিনি।

অন্য দিকে সুপ্রীতি ধরও বিদেশে বসবাস করেন। আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার পর তিনি তার ফেসবুক পাতায় অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে জানিয়েছেন, যেহেতু ‘আসামিপক্ষ’ দেশের বাইরে, তাই চার্জশিটে পুলিশ ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

Tag :
জনপ্রিয়

ভারতীয় আধিপত্য তাড়াইয়া আমেরিকা ওয়াশিংটনের আধিপত্যের শিকার হতে চাই না- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব

তসলিমা নাসরিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

Update Time : ০৭:৩১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১

ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিট।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত করে আমরা তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি। আর নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় একজনকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সেটাই চার্জশিটে বলেছি। এখন আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মামলার অভিযোগে যা বলা হয়েছিল
মুহম্মদ মাহবুব আলম ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় পিটিশন মামলাটি দায়ের করেছিলেন, যাতে তসলিমা নাসরিন, সুপ্রীতি ধর, সুচিস্মিতা সিমন্তি ও লীনা হককে আসামি করা হয়েছিল। এই মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা কাহিনী তৈরি করে এসব ব্যক্তিরা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিপ্রায়ে লিপ্ত আছে।

অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুকে ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনো ধর্ম নাই’ শিরোনামে লেখা একটি পোস্টে তসলিমা নাসরিন পয়গম্বরদের নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন এবং তার লেখাটি উইমেন চ্যাপ্টার নামক ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশ করা হয়।

অভিযোগে আরো বলা হয়, আসামিদের সকলে এ দেশের ধর্মপ্রাণ নারী সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করার একই সাধারণ উদ্দেশ্য পূরণ কল্পে তাদের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে ইসলামবিদ্বেষী এসব পোস্ট করে থাকেন। বাদী/সংবাদদাতা একজন ধার্মিক মুসলিম ও আলেম হওয়ায় এসব ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট পড়ে তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে।

এতে বলা হয়, বাদী তাদের শেয়ার বা পোস্ট করা আরো কিছু ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট দেখেছেন।

মামলাটি ট্রাইব্যুনালে দায়েরের পর ট্রাইব্যুনাল ঢাকার শাহজাহানপুর থানাকে এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন।

নব্বইয়ের দশকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। বর্তমানে ভারতে বসবাস করছেন তিনি। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন তিনি।

অন্য দিকে সুপ্রীতি ধরও বিদেশে বসবাস করেন। আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার পর তিনি তার ফেসবুক পাতায় অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে জানিয়েছেন, যেহেতু ‘আসামিপক্ষ’ দেশের বাইরে, তাই চার্জশিটে পুলিশ ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে।

সূত্র : বিবিসি