ফলের রাজা আম। এমনি এমনি কিন্তু এই খেতাব জোটেনি তার! তিনি যেমন স্বাদে ভরপুর, তেমনি রসালো। রঙেও অতুলনীয়। শুধু যে রূপের বহর আছে এমনটা নয়। গুণেও কম যায় না সে। মানুষের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সিদ্ধহস্ত আম। রূপে গুণে যে ১০০ থেকে ১০০, সে তো ফলের রাজা বটেই।
হজম ক্ষমতা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় আম। ডাইজেস্টিভ এনজাইম ভরপুর রয়েছে এই ফলে। যা আপনার খাবারকে সহজে ভাঙতে সাহায্য করে। খাবার থেকে প্রাপ্ত প্রয়োজনীয় উপাদান যাতে শরীরের বাকি অংশে অতিবাহিত হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে আম। আমে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার, যা অন্ত্র ও পরিপাক নালীর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। খবর জি নিউজের।
ফলের রাজা আমের গুণাগুণ।
১. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আম ক্যানসার থেকে আমাদের শরীরকে দূরে রাখে। কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার এবং লিউকেমিয়ার মতো রোগের আশঙ্কা কম করে।
২. ভিটামিন সি, ফাইবার ও পেক্টিনের মতো উপাদানে সমৃদ্ধ আম নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল।
৩. আম খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। নিখুঁত, দাগহীন ত্বক পেতে আম জুড়িহীন।
৪. পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মতো খেলে ওজন কমাতেও কার্যকর হতে পারে আম। ভিটামিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ আমে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। ক্ষয় হয় অবাঞ্ছিত ক্যালরি। ফলে ভারী চেহারা হলেও ডায়েট মেনে আম্রসেবন ক্ষতিকারক নয়।
৫. আমকে বলা হয় প্রেমের ফল। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ফল যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৬. ভিটামিন এ আমের অন্যতম উপাদান। ফলে আম খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়। রাতকানা এবং শুষ্ক চোখের সমস্যাও দূর করে আম।
৭. আমের এনজাইম ও ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। যকৃতের সমস্যাও দূর করে।
৮. ‘সুপারফ্রুট’ আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৯. স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও আম কার্যকর। উপাদানের দিক দিয়ে আম আয়রনের ভাণ্ডার। এর ফলে অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। শরীরে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে মহিলাদের ডায়েটে আমের উপস্থিতি বাঞ্ছনীয়।
চোখ, হৃদযন্ত্র, কোলেস্টেরল সবকিছুর স্বাস্থ্য ভাল রাখে আম
হজম ক্ষমতা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় আম। ডাইজেস্টিভ এনজাইম ভরপুর রয়েছে এই ফলে। যা আপনার খাবারকে সহজে ভাঙতে সাহায্য করে। খাবার থেকে প্রাপ্ত প্রয়োজনীয় উপাদান যাতে শরীরের বাকি অংশে অতিবাহিত হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে আম। আমে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার, যা অন্ত্র ও পরিপাক নালীর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। খবর জি নিউজের।
ইমিউনিটি ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে দেয়। এই সংঙ্কটকালে আমরা শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে কত কিই না করেছি। সেই তালিকায় এবার থেকে রাখুন আমকে। আমে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন-সি এবং বিটা ক্যারোটিন। যা আপনার শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
এছাড়া আমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস। যা আপনার শরীরের একাধিক সমস্যাকে দূর করবে। শুধু শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখতেই নয়, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না ৷ আমাদের শরীরে যে ক্রমাগত অক্সিডেশন হয়ে চলেছে, তার ফলে তৈরি হচ্ছে ফ্রি-র্যাডিকলস। এই ফ্রি-র্যাডিকল শরীরের মধ্যে নানা রকম চেন রি-অ্যাকশন শুরু করে। এই প্রতিক্রিয়া যদি শরীরের কোষের মধ্যে হয়, তা হলে দেখা দিতে পারে নানা গুরুতর সমস্যা, এমনকি কোষের মৃত্যুও হতে পারে। আর এখানেই রক্ষাকর্তার ভূমিকা পালন করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই আম খাওয়া উচিত।
তাছাড়া আমে রয়েছে বিটা ক্যারিটিন যা, ভিটামিন-এ প্রস্তুত করতে সিদ্ধহস্ত। যা আপনার চোখ ভাল রাখবে। বয়সকালে চোখের যে যে সমস্যা সামনে আসে তা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার হৃদযন্ত্রেরও খেয়াল রাখতে পারে আম। কোলেস্টেরল -র মাত্রা সঠিক রাখে। এলডিএল বা ব্যাড কোলেস্টেরল -র মাত্রা শরীর থেকে মুছে দিতে সাহায্য করে আমে থাকা উপাদান। রক্তচাপ কমায় আম। কারণ, আমে রয়েছে ভরপুর পটাশিয়াম। যা কার্ডিওভাসকুলার -এর স্বাস্থ্য ভাল রাখে।