আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ার আভাসও রয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ বার্তা দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপটি বুধবার বেলা ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার প্রতি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ রেখে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে আবওহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগ এবং উজানে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরায় ভারি বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, ফেনী, লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারি বর্ষণ হয়। ঢাকায় ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২০৩ মিলিমিটিার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। শনিবার পর্যন্ত এমন ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।