ঢাকা ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৩ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৪ অক্টোবর এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ত্রী পাশে তাকে সমাহিত করা হবে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:১৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
  • ২৯৩ Time View

উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের জানাজা আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বাদ জোহর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থানে স্ত্রী শামসুন নাহারের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।

রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম টিপু জানান, আগামীকাল শহীদ মিনারে হাসান আজিজুল হকের মরদেহে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। বাদ জোহর রাবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোরস্থানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হবে।

সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হাউজিং স্যোসাইটি ‘বিহাস’-এ তার নিজ বাসভবন উজানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হাসান আজিজুল হক। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনি, ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বহু গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন। ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাসান আজিজুল হকের স্ত্রী শামসুন নাহার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালে ২ ফেব্রুয়ারি ভারতের বর্ধমান জেলার জব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে দর্শনে এম. এ. ডিগ্রি লাভ এবং ১৯৭৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

কথাসাহিত্যে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। এর মধ্যে রয়েছে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৭), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭০), অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৪), ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), কাজী মাহবুব উল্লাহ ও বেগম জেবুন্নিসা পুরস্কার। এছাড়া ১৯৯৯ সালে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত হন হাসান আজিজুল হক। ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার। ২০১২ সালে তিনি ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি পান।

Tag :
জনপ্রিয়

এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৩ অক্টোবর ২০২৫

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ত্রী পাশে তাকে সমাহিত করা হবে

Update Time : ০৪:১৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের জানাজা আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বাদ জোহর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থানে স্ত্রী শামসুন নাহারের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।

রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম টিপু জানান, আগামীকাল শহীদ মিনারে হাসান আজিজুল হকের মরদেহে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। বাদ জোহর রাবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোরস্থানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হবে।

সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হাউজিং স্যোসাইটি ‘বিহাস’-এ তার নিজ বাসভবন উজানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হাসান আজিজুল হক। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনি, ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বহু গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন। ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাসান আজিজুল হকের স্ত্রী শামসুন নাহার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালে ২ ফেব্রুয়ারি ভারতের বর্ধমান জেলার জব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে দর্শনে এম. এ. ডিগ্রি লাভ এবং ১৯৭৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

কথাসাহিত্যে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। এর মধ্যে রয়েছে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৭), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭০), অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৪), ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), কাজী মাহবুব উল্লাহ ও বেগম জেবুন্নিসা পুরস্কার। এছাড়া ১৯৯৯ সালে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত হন হাসান আজিজুল হক। ‘আগুনপাখি’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার। ২০১২ সালে তিনি ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি পান।