ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন বরকত ষড়যন্ত্রের শিকার : দাবি করেছে পরিবার

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন বরকত ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছে পরিবার।

পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রুবেল-বরকতের নামে ২০০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এখন পর্যন্ত দায়ের করা ভিন্ন মামলায় রিমান্ডে এনে জোরপূর্বক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। এমন কি বাচ্চু রাজাকার নামে তাদের কোনো আত্মীয়ও নেই।

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে পরিবারে পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি করা হয়। পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মেয়ে যাওয়াতা আফনান রাদিয়া।

যাওয়াতা আফনান রাদিয়া দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমার আব্বু এবং কাকার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক আঘাত করা হচ্ছে। সেটা যদি না হতো তদন্তকারী সংস্থাগুলোর বক্তব্যে এমন বৈপরীত্য কেন? অপ্রদর্শিত আয়ের একই মামলা সিআইডি করলো ২০০০ কোটি টাকার আর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করলো ৭২ কোটি টাকার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন রুবেলের মেয়ে যাওয়াতা আফনান রাদিয়া। তিনি বলেন, রুবেলের নিজ নামে ও তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের নামে ১৫৯ বিঘা জমি রয়েছে। তিনটি ব্যাংকে রুবেলের ৩০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। দুটি ড্রাম ট্রাক, দুটি হিনো বাস, তিনটি জিপ গাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহৃত পে লোডার, রোলার, পানির গাড়ি রয়েছে। ঢাকায় রুবেলের কোনো ফ্ল্যাট বা জমি নেই। ফরিদপুর মূল শহরেও কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বরকতের নামে ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। ব্যাংক ঋণ রয়েছে ২০ কোটি টাকার মতো। চরাঞ্চলে ৪০০ বিঘা জমির ওপর একটি খামার আছে। বরকতের ১০টি বাস, ৫-৭টি ট্রাক আছে। বরকতের ঢাকায় কোনো ফ্ল্যাট বা জমি নেই। বরকত-রুবেলের নিজস্ব জমিতে কিছু আধা পাকা দোকান রয়েছে। এসব সম্পদ বৈধ আয় থেকে কেনা, যা আয়কর নথিতে দেখানো হয়েছে।

রাদিয়া বলেন, ‘আমার আব্বু এবং কাকার লাইসেন্সকৃত চারটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এরপরও তারা কেন অবৈধ অস্ত্র রাখবেন? তারা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত না। ৭ জুন গ্রেফতারের আগে তাদের নামে কোনো মামলাও ছিলো না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্যাতনের মুখে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে।

Tag :

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন বরকত ষড়যন্ত্রের শিকার : দাবি করেছে পরিবার

Update Time : ১২:২৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১

ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন বরকত ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছে পরিবার।

পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রুবেল-বরকতের নামে ২০০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এখন পর্যন্ত দায়ের করা ভিন্ন মামলায় রিমান্ডে এনে জোরপূর্বক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। এমন কি বাচ্চু রাজাকার নামে তাদের কোনো আত্মীয়ও নেই।

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে পরিবারে পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি করা হয়। পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মেয়ে যাওয়াতা আফনান রাদিয়া।

যাওয়াতা আফনান রাদিয়া দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমার আব্বু এবং কাকার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক আঘাত করা হচ্ছে। সেটা যদি না হতো তদন্তকারী সংস্থাগুলোর বক্তব্যে এমন বৈপরীত্য কেন? অপ্রদর্শিত আয়ের একই মামলা সিআইডি করলো ২০০০ কোটি টাকার আর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করলো ৭২ কোটি টাকার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন রুবেলের মেয়ে যাওয়াতা আফনান রাদিয়া। তিনি বলেন, রুবেলের নিজ নামে ও তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের নামে ১৫৯ বিঘা জমি রয়েছে। তিনটি ব্যাংকে রুবেলের ৩০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। দুটি ড্রাম ট্রাক, দুটি হিনো বাস, তিনটি জিপ গাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহৃত পে লোডার, রোলার, পানির গাড়ি রয়েছে। ঢাকায় রুবেলের কোনো ফ্ল্যাট বা জমি নেই। ফরিদপুর মূল শহরেও কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বরকতের নামে ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। ব্যাংক ঋণ রয়েছে ২০ কোটি টাকার মতো। চরাঞ্চলে ৪০০ বিঘা জমির ওপর একটি খামার আছে। বরকতের ১০টি বাস, ৫-৭টি ট্রাক আছে। বরকতের ঢাকায় কোনো ফ্ল্যাট বা জমি নেই। বরকত-রুবেলের নিজস্ব জমিতে কিছু আধা পাকা দোকান রয়েছে। এসব সম্পদ বৈধ আয় থেকে কেনা, যা আয়কর নথিতে দেখানো হয়েছে।

রাদিয়া বলেন, ‘আমার আব্বু এবং কাকার লাইসেন্সকৃত চারটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এরপরও তারা কেন অবৈধ অস্ত্র রাখবেন? তারা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত না। ৭ জুন গ্রেফতারের আগে তাদের নামে কোনো মামলাও ছিলো না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্যাতনের মুখে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে।