মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও দ্রুত সময়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে করোনা রোগীদের বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেবার কার্যক্রম শুরু করেছে ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।
আজ শরিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের গোয়ালচামট সারদা সুন্দরী উচ্চ্ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৫ইট এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ। এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ রবিন, কোতয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট এমরান হোসেন রিমন, সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা খোকন, শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ জলিল, সাধারন সম্পাদক এটিএম তুহিনসহ স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শওকত আলী জাহিদ বলেন, দ্রুত সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে করোনা রোগী সহজ ও নিরাপদ বহনে এ পাঁচটি এ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘন্টা ফোন পাওয়া মাত্রই ফরিদপুরে বিনামূল্যে সার্ভিস দেবে।
তিনি আরও জানান, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স নিতে হলে শওকত আলী জাহিদ (০১৭১২০৮০৭৬৬), ফয়সাল আহমেদ রবীন (০১৭৩৩৯৫৫৫৫০), গোলাম মোস্তফা খোকন (০১৭১২৬৬৮২৩৪), এটিএম জামিল তুহিন (০১৭১৬৭৮৭৯৭৯), মৃধা তারেকুল ইসলাম তারেক (০১৭১৮৩৭৮৯৫০), রফিকুল আজম খান রুবেল (০১৭৩০৯৭২৩০২) এবং সাগর রায়ের (০১৭২২৩৩২১১৮) সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৬৯ জন। আক্রান্তের দিক থেকে সর্বাধিক রোগীর সংখ্যা ফরিদপুর সদর উপজেলায়। সদরে আক্রান্ত রয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৫১ জন।
করোনা আক্রান্ত ৯ হাজার ১৬৯ জন রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৫২৭ জন। শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ১৩১ জনের। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসাবাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৪২ জন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৬৯ জন। করোনায় প্রাণ গেছে ১৩১ জনের। আক্রান্তের হার শতকরা ২১.০৬ এবং মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ।