ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

ফরিদপুরে নগরকান্দায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে নগরকান্দা থানা পুলিশ। গৃহবধূ উপজেলার শশা গ্রামের লিটন মিয়ার স্ত্রী কহিনুর আক্তার (৪১)। মঙ্গলবার সকালে বাড়ীর পাশে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানাগেছে বিশ বছর পূর্বে লিটন মিয়া ঢাকার উত্তরা এলাকার আ:কাদের মিয়ার কন্যা কহিনুর আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিবাহ করে। তাদের সংসারে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ভালোই কাটছিল দাম্পত্য জীবন। হঠাৎ লিটন মিয়া কাউকে না জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় আরেকটি বিবাহ করে। শুরু হয় দাম্পত্য কলোহ।

লিটনের বড় ভাই মিজান মিয়া বলেন, ছোট ভাই বিটুর স্ত্রী সকালে পুকুর ঘাটে গিয়ে দেখে কহিনুরের লাশ পানিতে ভাসছে। পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

কহিনুরের ভগ্নিপতি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, লিটন আরেকটি বিয়ে করার পর থেকে কহিনুরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। লিটন ও তার পরিবারের লোকজন কিহনুরকে খুন করে লাশ পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে। যেহুতু তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বিপ্লব বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা না দূর্ঘটনা তা গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Tag :

ফরিদপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

Update Time : ০৪:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

ফরিদপুরে নগরকান্দায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে নগরকান্দা থানা পুলিশ। গৃহবধূ উপজেলার শশা গ্রামের লিটন মিয়ার স্ত্রী কহিনুর আক্তার (৪১)। মঙ্গলবার সকালে বাড়ীর পাশে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানাগেছে বিশ বছর পূর্বে লিটন মিয়া ঢাকার উত্তরা এলাকার আ:কাদের মিয়ার কন্যা কহিনুর আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিবাহ করে। তাদের সংসারে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ভালোই কাটছিল দাম্পত্য জীবন। হঠাৎ লিটন মিয়া কাউকে না জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় আরেকটি বিবাহ করে। শুরু হয় দাম্পত্য কলোহ।

লিটনের বড় ভাই মিজান মিয়া বলেন, ছোট ভাই বিটুর স্ত্রী সকালে পুকুর ঘাটে গিয়ে দেখে কহিনুরের লাশ পানিতে ভাসছে। পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

কহিনুরের ভগ্নিপতি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, লিটন আরেকটি বিয়ে করার পর থেকে কহিনুরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। লিটন ও তার পরিবারের লোকজন কিহনুরকে খুন করে লাশ পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে। যেহুতু তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বিপ্লব বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা না দূর্ঘটনা তা গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।