‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকালে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব জন্মশতবর্ষে দেশের এ অর্জন বিরাট আনন্দের। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের এ অর্জন নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করেছেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন আমাদের জন্য এক বিরাট প্রাপ্তি ও গর্বের উপহার। আমরা সৌভাগ্যবান যে এই সুবর্ণজয়ন্তীর সময়কাল দেখে যেতে পারছি। আগামীতে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী কিংবা শতবর্ষপূর্তি দেখার সৌভাগ্য হবে কি না, সে সময়ে আমরা বেঁচে থাকবো কি না সেটি জানা নেই কারো।
তিনি বলেন, তাই আমাদের মাঝে স্বাধীনতার এই সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। আমরা চাই আমাদের এই আয়োজনে জেলার সকল শ্রেণির মানুষ যেনো সম্পৃক্ত হয়। জেলার প্রতিটি মানুষ যেনো তাদের নিজ নিজ অবস্থান হতে এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন।
সভায় আগামী ২৭ ও ২৮ মার্চ জেলাব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শহর ক্যাম্পাসে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। জেলার প্রত্যেকটি নাগরিক যেনো এ উৎসবে শামিল হয় তার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী গোলাম মোস্তফা, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম রেজা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, রাসিনের নির্বাহী পরিচালক আসমা আক্তার মুক্তা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক রিজভী জামান প্রমুখ।
সভায় জানানো হয় আগামী ২৭ শে মার্চ সকাল ১০ টায় র্যালীর মধ্যে দিয়ে উৎসবের সূচনা হবে। সাড়ে ১০ টায় ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীঃ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাড়ে ১১ টায় উন্নয়ন বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শন করা হবে।
দুপুর সাড়ে ১২ টায় স্টল পরিদর্শন করা হবে। বিকেল ৪ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত তরুণদের জন্য জাতির পিতার জীবনীর উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী, স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় তথ্য সমৃদ্ধ চিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী উপস্থাপন করা হবে। সেই সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
২৮শে মার্চ সকাল ১০ টায় ‘রূপকল্প ২০৪১ : উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ বিষয়ে সেমিনার, দুপুর ১২ টায় শিক্ষার্থী ও তরুনদের জন্য উন্নয়ন বিষয়ক কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, দুপুর আড়াই টায় স্থানীয় বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র প্রদর্শনী এবং বিকেল ৪ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। একই দিন বিকেল ৫ টায় অনুষ্ঠানের সমাপনী হবে।
সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও এনজিও সংস্থার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সফলতা কামনায় এবং শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।