ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে ধর্ষন ও হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামীকে ৭ বছর পর গ্রেফতার

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বিলমামুদপুর এলাকার কলাবাগানে এক নারীকে ধর্ষন ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী সবুজ মিয়াকে ৭ বছর পর গ্রেফতার করেছে র ্যাব।

রবিবার দুপুরে র ্যাব-১০ এর ফরিদপুর কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম শাইখ আকতার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামী সবুজ মিয়া(৩৬) জেলার সদর উপজেলার মামুদপুর গ্রামের বাবুল মিস্ত্রির ছেলে। র ্যাব-১০ ফরিদপুর কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম শাইখ আকতার জানান, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর জেলার সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের বিলমামুদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত নারী চট্রগ্রামের নাসরিন বলে পরে জানা যায়। নিহত নাসরিনের বোন সোনিয়ার অভিযোগে আরজু মল্লিক কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষন ও হত্যার ঘটনা তদন্তে প্রধান আসামী সবুজ মিয়া মেয়েটিকে  বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদপুর এনে তারা দুই বন্ধু মেয়েটিকে ধর্ষন করে। পুলিশের কাছে মেয়েটি ঘটনা বলে দিবে বললে তাকে হত্যা করে লাশ কলাবাগানে ফেলে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের কে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানী শেষ ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টম্বর আসামী সবুজ মিয়াকে ও আারজু মল্লিক কে মত্যুদন্ডাদেশ দেয় আদালত। আরজু আটক থাকলেও সবুজ মিয়া দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকে।

শনিবার রাতে ঢাকার সুত্রাপুর থানার নারিন্দা কাচা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী সবুজ মিয়াকে আটক করে র ্যাব। সেখানে সে গাড়ির গ্যারেজে মিস্ত্রি পরিচয়ে আত্মগোপনে ছিল। এর আগেও সে বিভিন্ন জেলায় একাধিক বিয়ে করে ও নানা পেশায় আত্মগোপনে থাকে।

আজ রবিবার আসামী সবুজ মিয়াকে স্থানীয় থানার মাধ্যমে কোটে পাঠানো হয়।

Tag :

ফরিদপুরে ধর্ষন ও হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামীকে ৭ বছর পর গ্রেফতার

Update Time : ০৩:২১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বিলমামুদপুর এলাকার কলাবাগানে এক নারীকে ধর্ষন ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী সবুজ মিয়াকে ৭ বছর পর গ্রেফতার করেছে র ্যাব।

রবিবার দুপুরে র ্যাব-১০ এর ফরিদপুর কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম শাইখ আকতার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামী সবুজ মিয়া(৩৬) জেলার সদর উপজেলার মামুদপুর গ্রামের বাবুল মিস্ত্রির ছেলে। র ্যাব-১০ ফরিদপুর কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম শাইখ আকতার জানান, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর জেলার সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের বিলমামুদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত নারী চট্রগ্রামের নাসরিন বলে পরে জানা যায়। নিহত নাসরিনের বোন সোনিয়ার অভিযোগে আরজু মল্লিক কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষন ও হত্যার ঘটনা তদন্তে প্রধান আসামী সবুজ মিয়া মেয়েটিকে  বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদপুর এনে তারা দুই বন্ধু মেয়েটিকে ধর্ষন করে। পুলিশের কাছে মেয়েটি ঘটনা বলে দিবে বললে তাকে হত্যা করে লাশ কলাবাগানে ফেলে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের কে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানী শেষ ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টম্বর আসামী সবুজ মিয়াকে ও আারজু মল্লিক কে মত্যুদন্ডাদেশ দেয় আদালত। আরজু আটক থাকলেও সবুজ মিয়া দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকে।

শনিবার রাতে ঢাকার সুত্রাপুর থানার নারিন্দা কাচা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী সবুজ মিয়াকে আটক করে র ্যাব। সেখানে সে গাড়ির গ্যারেজে মিস্ত্রি পরিচয়ে আত্মগোপনে ছিল। এর আগেও সে বিভিন্ন জেলায় একাধিক বিয়ে করে ও নানা পেশায় আত্মগোপনে থাকে।

আজ রবিবার আসামী সবুজ মিয়াকে স্থানীয় থানার মাধ্যমে কোটে পাঠানো হয়।