

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ঢাকায় স্নাতকে অধ্যয়নরত কয়েক বন্ধু মিলে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের কাউলিবেড়া গ্রামে পিকনিকের আয়োজন করেন। সারারাত বন্ধুদের সাথে সময় কাটিয়ে গভীর রাতেই মোটরসাইকেল যোগে কাউলিবেড়া থেকে ভাঙ্গা পৌরসদরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তিন বন্ধু। গোল চত্বরের নিকট মোটরসাইকেলটি পৌঁছালে বিপরীতগামী প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো গ-৪২-৮৬১০) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এত মোটরসাইকেলে থাকা রনি ফকির (২০) ও শাকিল খান(২২) ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুত্বর আহত হন তাদের অপর বন্ধু অপু (২০)। আহতকে উদ্ধার করে রাতেই ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত ডাক্তার।
নিহত রনি ফকির ভাঙ্গা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু তালেব ফকিরের সন্তান ও নিহত শাকিল করাতকল ব্যবসায়ী শফিকুলের সন্তান। এদের দুজনের বাড়িই ভাঙ্গা পৌরসদরে। ঘাতক প্রাইভেটকারটি পুলিশ জব্দ করেছে। সেই সাথে প্রাইভেটকারের চালক জাকির আহম্মেদকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
এদিন সকালে রেলে কাটা পড়ে মারা গেছে নাঈম মাতুব্বর (২০) নামে এক যুবক। সে উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকান্দা গ্রামের বেল্লাল মাতুব্বরের সন্তান।
রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক তপন কুমার জানান, সকালে ভাঙ্গা হতে রাজবাড়ীগামী লোকাল ট্রেনটি পুখুরিয়া স্টেশন ত্যাগ করার পরই ছেলেটি রেলে নিচে কাটা পড়ে। তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।