ঢাকা ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে সড়কে আট যাত্রী নিহত, রেলেকাটা পড়েছে একজন

ফরিদপুর সদর উপজেলায় ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ভাঙ্গা উপজেলায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।  তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
রোববার (২১ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝিকান্দি এলাকা ও জেলার ভাঙ্গা উপজেলার বিশ্বরোডে এ সব দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে করিমপুর হাইওয়ে ফাঁড়ির এসআই আবুল খায়ের জানান, সকালে মাইক্রোবাসটি ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাঝিকান্দি এলাকায় বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এ সময় আহত হন শিশুসহ ১২ জন। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আরও চারজনের মৃত্যু হয়। মরদেহগুলো হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার বিশ্বরোডে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ মার্চ) ভোরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে ফরিদপুরের  ভাঙ্গায় প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ ও ট্রেনে কাটা পড়ে মোট আটজন নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোরে ভাঙ্গা সদরের গোল চত্বর এলাকায়  ও পুখুরিয়া রেলস্টেশন এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ঢাকায় স্নাতকে অধ্যয়নরত কয়েক বন্ধু মিলে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের কাউলিবেড়া গ্রামে পিকনিকের আয়োজন করেন। সারারাত বন্ধুদের সাথে সময় কাটিয়ে গভীর রাতেই মোটরসাইকেল যোগে কাউলিবেড়া থেকে ভাঙ্গা পৌরসদরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তিন বন্ধু। গোল চত্বরের নিকট মোটরসাইকেলটি পৌঁছালে বিপরীতগামী প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো গ-৪২-৮৬১০) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এত মোটরসাইকেলে থাকা রনি ফকির (২০) ও শাকিল খান(২২) ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুত্বর আহত হন তাদের অপর বন্ধু অপু (২০)। আহতকে উদ্ধার করে রাতেই ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত ডাক্তার।

নিহত রনি ফকির ভাঙ্গা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু তালেব ফকিরের সন্তান ও নিহত শাকিল করাতকল ব্যবসায়ী শফিকুলের সন্তান। এদের দুজনের বাড়িই ভাঙ্গা পৌরসদরে। ঘাতক প্রাইভেটকারটি পুলিশ জব্দ করেছে। সেই সাথে প্রাইভেটকারের চালক জাকির আহম্মেদকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।

এদিন সকালে রেলে কাটা পড়ে মারা গেছে নাঈম মাতুব্বর (২০) নামে এক যুবক। সে উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকান্দা গ্রামের বেল্লাল মাতুব্বরের সন্তান।

রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক তপন কুমার জানান, সকালে ভাঙ্গা হতে রাজবাড়ীগামী লোকাল ট্রেনটি পুখুরিয়া স্টেশন ত্যাগ করার পরই ছেলেটি রেলে নিচে কাটা পড়ে। তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

Tag :

ফরিদপুরে সড়কে আট যাত্রী নিহত, রেলেকাটা পড়েছে একজন

Update Time : ০৭:১৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১
ফরিদপুর সদর উপজেলায় ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ভাঙ্গা উপজেলায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।  তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
রোববার (২১ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝিকান্দি এলাকা ও জেলার ভাঙ্গা উপজেলার বিশ্বরোডে এ সব দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে করিমপুর হাইওয়ে ফাঁড়ির এসআই আবুল খায়ের জানান, সকালে মাইক্রোবাসটি ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাঝিকান্দি এলাকায় বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এ সময় আহত হন শিশুসহ ১২ জন। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আরও চারজনের মৃত্যু হয়। মরদেহগুলো হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার বিশ্বরোডে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ মার্চ) ভোরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে ফরিদপুরের  ভাঙ্গায় প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ ও ট্রেনে কাটা পড়ে মোট আটজন নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোরে ভাঙ্গা সদরের গোল চত্বর এলাকায়  ও পুখুরিয়া রেলস্টেশন এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ঢাকায় স্নাতকে অধ্যয়নরত কয়েক বন্ধু মিলে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের কাউলিবেড়া গ্রামে পিকনিকের আয়োজন করেন। সারারাত বন্ধুদের সাথে সময় কাটিয়ে গভীর রাতেই মোটরসাইকেল যোগে কাউলিবেড়া থেকে ভাঙ্গা পৌরসদরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তিন বন্ধু। গোল চত্বরের নিকট মোটরসাইকেলটি পৌঁছালে বিপরীতগামী প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো গ-৪২-৮৬১০) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এত মোটরসাইকেলে থাকা রনি ফকির (২০) ও শাকিল খান(২২) ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুত্বর আহত হন তাদের অপর বন্ধু অপু (২০)। আহতকে উদ্ধার করে রাতেই ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত ডাক্তার।

নিহত রনি ফকির ভাঙ্গা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু তালেব ফকিরের সন্তান ও নিহত শাকিল করাতকল ব্যবসায়ী শফিকুলের সন্তান। এদের দুজনের বাড়িই ভাঙ্গা পৌরসদরে। ঘাতক প্রাইভেটকারটি পুলিশ জব্দ করেছে। সেই সাথে প্রাইভেটকারের চালক জাকির আহম্মেদকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।

এদিন সকালে রেলে কাটা পড়ে মারা গেছে নাঈম মাতুব্বর (২০) নামে এক যুবক। সে উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মনকান্দা গ্রামের বেল্লাল মাতুব্বরের সন্তান।

রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক তপন কুমার জানান, সকালে ভাঙ্গা হতে রাজবাড়ীগামী লোকাল ট্রেনটি পুখুরিয়া স্টেশন ত্যাগ করার পরই ছেলেটি রেলে নিচে কাটা পড়ে। তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।