ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে রোজাদারদের জন্য ইফতারী

বৈশ্বিক দুয়োর্গ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ফরিদপুরের সব মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসতবাড়িতে রয়েছে। তবে অতীব প্রয়োজনে কাউকে না কাউকে বাইরে আসতেই হচ্ছে। বিশেষ করে জুরুরী চিকিৎসা সেবার জন্য কারো কারো হাসপাতালে আগমন। রোগীর সাথে স্বজনও আসতে হয়। আসতে হয় গাড়ি চালককেও। আবার জরুরী খাদ্য বা জরুরী অন্যান্য সামগ্রীর প্রয়োজনেও কাউকে বাইরে বের হতে হয়। যারা বাইরে বের হয় তাদের সবারই বাড়ি শহরে বা শহরের সন্নিকটে নয়। কারো করো বাড়ি বেশ দূরে। চলমান রমজান মাসে এসব ক্ষেত্রে ভ্রমণরত মানুষ ও  রোজাদারদের জন্য ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ইফতারীর আয়োজন করেছেন। প্রতিদিন চলছে এ আয়োজন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে দেয়া হচ্ছে ইফতারী।

আজ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের পক্ষে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়। এ সময় নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আশিক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী দিনে ১০০ জন রোজাদার মুসিাফিরকে ইফতার সামগ্রী প্রদান করা হয়। বিকেল সাড়ে ৫ টায় ইফতারী পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন আছিরউদ্দিন শেখ। তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ, একটা রিক্সা রিজার্ভ করে চরমাধবদিয়া থ্যা আইসা ডাক্তার দেখাইয়া বাড়ি যাইতেছি। আমি রোজা আছি। খাবারের হোটেল বন্ধ থাকায় চিন্তা করছিলাম ইফতারী করবানি কোথায়। আল্লাহ মিলায় দিছে। ডিসি সাবের জন্নি আমি দোয়া করি।’ ফরিদপুরের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন বাচ্চু খা। বসত বাড়ি চর হাজিগঞ্জ। সাথে নিয়ে এসেছিলেন একজন রিক্সা চালক। দুজনে ইফতারীর দুটি প্যাকেট পেয়ে দারুন খুশি। বললেন, ‘ইফতারী পাইয়া আমাগো খুব উপকার হইছে।’ কানাইপুর থেকে স্টেশন বাজার এলাকায় দুধ দিতে এসেছিলেন রিক্সা চালক মাইনদ্দিন মন্ডল। বললেন, আমি সারাদিন রিক্সা চালাইন্যে। চুক্তিতে দুধ দিয়ে আসি। দুপুরে বাইরেই। সন্ধ্যায় বাড়ি যাইয়্যা ইফতার করি। আজ দেরি হইয়্যে গেছে। এখন ইফতারি পাইয়্যা খুব উপকার অইলো।

Tag :

ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে রোজাদারদের জন্য ইফতারী

Update Time : ০৩:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

বৈশ্বিক দুয়োর্গ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ফরিদপুরের সব মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসতবাড়িতে রয়েছে। তবে অতীব প্রয়োজনে কাউকে না কাউকে বাইরে আসতেই হচ্ছে। বিশেষ করে জুরুরী চিকিৎসা সেবার জন্য কারো কারো হাসপাতালে আগমন। রোগীর সাথে স্বজনও আসতে হয়। আসতে হয় গাড়ি চালককেও। আবার জরুরী খাদ্য বা জরুরী অন্যান্য সামগ্রীর প্রয়োজনেও কাউকে বাইরে বের হতে হয়। যারা বাইরে বের হয় তাদের সবারই বাড়ি শহরে বা শহরের সন্নিকটে নয়। কারো করো বাড়ি বেশ দূরে। চলমান রমজান মাসে এসব ক্ষেত্রে ভ্রমণরত মানুষ ও  রোজাদারদের জন্য ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ইফতারীর আয়োজন করেছেন। প্রতিদিন চলছে এ আয়োজন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে দেয়া হচ্ছে ইফতারী।

আজ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের পক্ষে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়। এ সময় নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আশিক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী দিনে ১০০ জন রোজাদার মুসিাফিরকে ইফতার সামগ্রী প্রদান করা হয়। বিকেল সাড়ে ৫ টায় ইফতারী পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন আছিরউদ্দিন শেখ। তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ, একটা রিক্সা রিজার্ভ করে চরমাধবদিয়া থ্যা আইসা ডাক্তার দেখাইয়া বাড়ি যাইতেছি। আমি রোজা আছি। খাবারের হোটেল বন্ধ থাকায় চিন্তা করছিলাম ইফতারী করবানি কোথায়। আল্লাহ মিলায় দিছে। ডিসি সাবের জন্নি আমি দোয়া করি।’ ফরিদপুরের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন বাচ্চু খা। বসত বাড়ি চর হাজিগঞ্জ। সাথে নিয়ে এসেছিলেন একজন রিক্সা চালক। দুজনে ইফতারীর দুটি প্যাকেট পেয়ে দারুন খুশি। বললেন, ‘ইফতারী পাইয়া আমাগো খুব উপকার হইছে।’ কানাইপুর থেকে স্টেশন বাজার এলাকায় দুধ দিতে এসেছিলেন রিক্সা চালক মাইনদ্দিন মন্ডল। বললেন, আমি সারাদিন রিক্সা চালাইন্যে। চুক্তিতে দুধ দিয়ে আসি। দুপুরে বাইরেই। সন্ধ্যায় বাড়ি যাইয়্যা ইফতার করি। আজ দেরি হইয়্যে গেছে। এখন ইফতারি পাইয়্যা খুব উপকার অইলো।