ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের বঙ্গবন্ধু’র জন্ম শতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে নানা আয়োজন

ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়

শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির ইতিহাসে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ মহান নেতার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ছিল অসম্ভব। তাই বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।  জন্মদিন উৎযাপনের অনুষ্ঠানের জন্য বর্ণাঢ্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সারা দেশের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মদিন পালনের জন্য ফরিদপুর জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের অম্বিকা ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিশু কিশোর সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এসময় ১০১ পাউন্ড কেক কাটা হবে। সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শতকন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন হবে।

একই স্থানে বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাদ জোহর সকল মসজিদ, মন্দির সহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল, মোনাজাত ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া হাসপাতাল, জেলাখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্কে বিনামূল্যে শিশুদের প্রবেশ ও বিভিন্ন খেলা ও রাইড উপভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাষন, তথ্যচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মুজিববর্ষ মঞ্চে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী এবং বর্ণিল আলোক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, দেয়াল পত্রিকা, স্মরনিকা প্রকাশ, কুইজ ও বিতর্ক এবং কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সোমবার শিশু একাডেমীতে আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।

কোভিড-১৯ সংক্রমন প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক জেলা প্রশাসন আয়োজিত সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

Tag :

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের বঙ্গবন্ধু’র জন্ম শতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে নানা আয়োজন

Update Time : ০৬:৫১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১

শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির ইতিহাসে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ মহান নেতার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ছিল অসম্ভব। তাই বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।  জন্মদিন উৎযাপনের অনুষ্ঠানের জন্য বর্ণাঢ্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সারা দেশের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মদিন পালনের জন্য ফরিদপুর জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের অম্বিকা ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিশু কিশোর সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এসময় ১০১ পাউন্ড কেক কাটা হবে। সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শতকন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন হবে।

একই স্থানে বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাদ জোহর সকল মসজিদ, মন্দির সহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল, মোনাজাত ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া হাসপাতাল, জেলাখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্কে বিনামূল্যে শিশুদের প্রবেশ ও বিভিন্ন খেলা ও রাইড উপভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাষন, তথ্যচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মুজিববর্ষ মঞ্চে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী এবং বর্ণিল আলোক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, দেয়াল পত্রিকা, স্মরনিকা প্রকাশ, কুইজ ও বিতর্ক এবং কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সোমবার শিশু একাডেমীতে আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।

কোভিড-১৯ সংক্রমন প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক জেলা প্রশাসন আয়োজিত সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।