ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুর পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ

পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যবলের মাধ্যমে ফরিদপুরের চরাঞ্চলের ২০১টি পরিবার ও প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এ সংযোগ উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। এর মধ্যে ১৯৭টি পরিবার, একটি বাণিজ্যিক ও তিনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে এ সংযোগ দেওয়া হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক দুর্গম চরাঞ্চলকে আলোকিত করার অংশ হিসেবে প্রথম পর্বে ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ১৯৭টি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করেন। পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জের ৪টি উপজেলার ৮৮টি গ্রামে বিদ্যুতায়নের কাজ করা হচ্ছে। এর ফলে গ্রামগুলোর ৯ হাজার ৭০৮ জন গ্রাহক বিদ্যুতের আওতায় আসছেন।

এ উপলক্ষে ফরিদপুর সদরের ডিক্রির চর ইউনিয়নের আইজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন পল্লী বিদ্যুতের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা, পল্লী বিদ্যুতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (জিএম) আবুল হাসান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি শওকত হোসেন।
জীবনে প্রথম বারের মত চরে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে চরবাসীর খুশীর সীমা নেই। তারা আজকের এ দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। চর এলাকায় ঘুরে এলাকাবাসীর মনে খুশির ঝিলিক দেখা গেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ লাবনী বেগম (২৪) জানান, মনে হচ্ছে আজ ঈদের দিন। সকাল থেকে পোলাপানদের চোখে মুখে খুশীর ঝলক দেখে আনন্দে বুক ভরে গেছে। আমাদের ঘরে বিদ্যুতের আরো জ্বলবে তাতো ভাবতেই পারছি না। সব যেন স্বপ্নের মত মনে হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা পালডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রানী আক্তার (১৩) বলে, কি যে খুশী লাগছে তা বোঝাতে পারবো না। এত দিন শহরের মানুষরা শুধু বিদ্যুৎ জ্বাতে পারতো। এখন আমরাও পারবো।
গ্রহবধূ মাক্তা খাতুন বলেন, সবচেয়ে সুবিধা হবে পোলাপানদের। তারা বিদ্যুতের আলোতে পড়তে পারবে

Tag :

ফরিদপুর পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ

Update Time : ০৪:৫৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যবলের মাধ্যমে ফরিদপুরের চরাঞ্চলের ২০১টি পরিবার ও প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এ সংযোগ উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। এর মধ্যে ১৯৭টি পরিবার, একটি বাণিজ্যিক ও তিনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে এ সংযোগ দেওয়া হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক দুর্গম চরাঞ্চলকে আলোকিত করার অংশ হিসেবে প্রথম পর্বে ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ১৯৭টি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করেন। পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জের ৪টি উপজেলার ৮৮টি গ্রামে বিদ্যুতায়নের কাজ করা হচ্ছে। এর ফলে গ্রামগুলোর ৯ হাজার ৭০৮ জন গ্রাহক বিদ্যুতের আওতায় আসছেন।

এ উপলক্ষে ফরিদপুর সদরের ডিক্রির চর ইউনিয়নের আইজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন পল্লী বিদ্যুতের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা, পল্লী বিদ্যুতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (জিএম) আবুল হাসান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি শওকত হোসেন।
জীবনে প্রথম বারের মত চরে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে চরবাসীর খুশীর সীমা নেই। তারা আজকের এ দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। চর এলাকায় ঘুরে এলাকাবাসীর মনে খুশির ঝিলিক দেখা গেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ লাবনী বেগম (২৪) জানান, মনে হচ্ছে আজ ঈদের দিন। সকাল থেকে পোলাপানদের চোখে মুখে খুশীর ঝলক দেখে আনন্দে বুক ভরে গেছে। আমাদের ঘরে বিদ্যুতের আরো জ্বলবে তাতো ভাবতেই পারছি না। সব যেন স্বপ্নের মত মনে হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা পালডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রানী আক্তার (১৩) বলে, কি যে খুশী লাগছে তা বোঝাতে পারবো না। এত দিন শহরের মানুষরা শুধু বিদ্যুৎ জ্বাতে পারতো। এখন আমরাও পারবো।
গ্রহবধূ মাক্তা খাতুন বলেন, সবচেয়ে সুবিধা হবে পোলাপানদের। তারা বিদ্যুতের আলোতে পড়তে পারবে