ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ধূমপানকে ই-সিগারেট বা ভ্যাপিং বলে। এ যন্ত্রের ভেতরে নিকোটিন, পানি ও সুগন্ধির দ্রবণ থাকে। ই-সিগারেটে নিকোটিন তরল আকারে থাকে, যা তাপে ধোঁয়া তৈরি হয়। সিগারেটের বিকল্প হিসেবে অনেকে ই–সিগারেট ব্যবহার করেন। ই-সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা এখনো অজানা। এ নিয়ে নেই কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা ভেবে এটি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ভারতেও ই–সিগারেট উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কানাডাসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশেও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন আমেরিকায় সুগন্ধি ভেইপ বন্ধ করতে। যদিও অনেকেই ধূমপান ছাড়ার একটি উৎকৃষ্ট বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেটের কথা বলেন।
সম্প্রতি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একটি মেয়েকে ই-সিগারেট বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। ই-সিগারেটের ক্ষতি সম্পর্কে অন্যদের সতর্ক করে দিতে চান সিমা হেরম্যান নামের ওই মেয়ে। নিউমোনিয়া আর ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
লেনক্স হিল হসপিটালের ড. রবার্ট গ্ল্যাটার বলেন, আমার মতে, বাবা-মা এবং অল্পবয়সীদের ভেপিং এর ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। এটা খুব বিপদজ্জনক। এটা শুধু নিকোটিনে আসক্ত করেই তোলে না সাথে সাথে হৃদপিণ্ড এবং রক্তের চাপ বাড়িয়ে দেয়। যা ফুসফুসের ক্ষতি করে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন সুগন্ধি ভেইপ বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা সমস্য রয়েছে। এটা নতুন ধরনের সমস্যা। এমন সমস্যা নিয়ে সত্যি কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কেউ খুব একটা ভাবেনি।
ভেপিং শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ জন্য দায়ী ক্যানাবিস অয়েলের মতো জিনিস। এই নিকোটিন লাখ লাখ মানুষকে ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করেছে। ধূমপানের চেয়ে ভেপিং ৯৫ শতাংশ নিরাপদ আর এটি ধূমপায়ীদের জন্য ভালো বিকল্প।
তবে, অসুস্থতার কারণে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে। কালোবাজারে মাদক ব্যবসায়ীদের বিক্রি করা পণ্যের কারণে এসব ঘটনা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও সঠিক কারণ জানা যায়নি।
ই-সিগারেট কীভাবে কাজ করে?
এই সিগারেটের ভেতরে নিকোটিন, প্রোপাইলিন গ্লাইকল অথবা ভেজিটেবল গ্লিসারিন এবং সুগন্ধী মিশ্রিত থাকে।
এ কারণেই ধূমপান বন্ধ করতে নিকোটিন গ্রহণের মাধ্যম পরিবর্তনের জন্য অনেক বছর ধরে পরামর্শ দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। যার মধ্যে রয়েছে গাম, স্কিন প্যাচেস বা মুখে স্প্রে করা।
এ ছাড়া ই সিগারেটে আরো কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো জানা উচিত :
ই-লিকুইড : ই-লিকুইড অথবা ই-জুস। এগুলো এমন এক ধরনের দ্রবণ যেগুলো তাপ উৎপাদন করে এবং অ্যারোসোলে রূপান্তর হয়। যেটা বাষ্পায়িত হয়ে বুকের ভেতরে প্রবেশ করে।
নিকোটিন : ই-সিগারেট এবং সাধারণ সিগারেট দুই ধরনের সিগারেটেই নিকোটিন ( নেশা জাতীয় দ্রব্য) থাকে। এটি মস্তিস্কের মধ্য স্নায়ুতে উদ্দীপকের কাজ করে। এটি রক্তচাপ, শ্বাসপ্রশাস এবং হৃদস্পন্দন বাড়ায়।
‘মানুষ সাধারণত ধূমপান করে নিকোটিনের কারণে’, বলে জানিয়েছেন গবেষক ডাক্তার মেসিজ গনিওইজ। তিনি নিউইর্কের রসওয়েল পার্ক সেন্টারের ইনস্টিটিউট ইন বাফেলো এর টোবাকো এবং ই-সিগারেট বিশেষজ্ঞ। ‘নিকোটিনের নেশা তৈরি করে। কিন্তু এটি ক্যানসার তৈরির কারণ নয়। কিন্তু ই-লিকুইডে থাকা অন্যান্য উপাদান বেশ উদ্বেগ জনক।’
ফ্লেভোরিংস : ডাক্তার গনিওইজ জানান, একশোরও বেশি স্বাদের ই-সিগারেট রয়েছে। চেরি, চিজ কেক, সিনামোন, টোবাকো ইত্যাদি। এগুলো সব গন্ধযুক্ত খাবারে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ডায়াসেটিল রয়েছে। এটি সাধারণত পপকর্নের মাখনযুক্ত গন্ধ তৈরি করে। এর সাথে ফুসফুসের রোগের একটি যোগসূত্র রয়েছে এবং এটি বেশ ক্ষতিকরও।
প্রোপাইলিন গ্লাইকোল (পিজি) : পিজি গবেষণাগারে বানানো লিকুইড যা খাদ্য, ওষুধ এবং কসমেটিক বানানোর জন্য নিরাপদ। এটি রক-কনসার্টে কৃত্রিম ধোঁয়া তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি ফুসফুস এবং চোখে বিরক্তির উদ্রেগ করে। এটি ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের জন্য ক্ষতিকর। যেমন : অ্যাজমা ও এমপাইসিমা।
গ্লিসারিন : এটি গন্ধহীন এবং বর্ণহীন। তরল গ্লিসারিন অনেকটা মিষ্টি স্বাদের হয়। এটি বিভিন্ন পণ্যে পাওয়া যায়।
ধোয়া তৈরির তরল : ই-সিগারেটে ধোয়া তৈরির জন্য এক ধরনের ই-লিকুইড বা তরল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ধোয়া শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এমন ক্ষতি সত্যিকারের সিগারেটেও হয় না বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালোফোর্নিয়ার অধ্যাপক বেনোউইটজ।
ই-সিগারেটে যেসব ক্যামিক্যাল রয়েছে : ই-সিগারেটে রয়েছে ফরমালডিহাইড ও এসিটালডিহাইড নামের দুটি রাসায়নিক দ্রব্য। এই উপাদান ই-লিকুইডের তাপমাত্রা বাড়ায়। দুর্ভাগ্যবশত এর ফলে আরো নিকোটিন তৈরি হয়। এ মধ্যে থাকা একরোলিন উত্তপ্ত গ্লিসারিন থেকে গঠিত। এটি ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।ধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
বস্তুকণা এবং ধাতু
ই-সিগারেটের এরোসোল রয়েছে যেটি ক্ষতিকারক। এটি শরীরে শিরাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি করে। এবং স্নায়ুর ওপর চাপ ফেলে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত বা টক্সিক ধাতু ই-সিগারেটের এরোসোলের ভেতর পাওয়া গেছে। যেমন : টিন, নিকেল, ক্যাডিয়াম, লেড ও মারকারি।
ই-সিগারেট কি নিরাপাদ?
আসল সিগারেটের ধোয়া পান করা যে ক্ষতিকর সেটি তো আর নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই বলে ই-সিগারেট যে খুব নিরাপদ তা কিন্তু নয়। এটিতেও স্বাস্থ্য ঝুকি থেকেই যাচ্ছে।
আমরা সবাই জানি সাধারণ সিগারেট শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। মার্কিন এক গবেষণা সংস্থার তথ্যমতে, সাধারণ সিগারেটে প্রায় সাত হাজার ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে যার মধ্যে ৬৯টি সরাসরি ক্যানসারের জন্য দায়ী। আপনি যখন ধূমপান করেন তখন এটি আপনার আশপাশের লোকদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি ফুসফুসকে ভীষণভাবে আক্রান্ত করে।
তবে গবেষকদের মতে, যারা ধূমপান ত্যাগ করতে চান তাদের জন্য ই-সিগারেট হয় তো মন্দের ভালো। তবে গবেষকদের পরামর্শ নিকোটিনের ওপর নির্ভরশীল না হলেই ভালো। এতে আসল বা নকল কোনো সিগারেটের দাসত্বই আপনকে স্বীকার করতে হবে না।
বর্তমানে ই-সিগারেট নিয়ে বিশ্বব্যাপী নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ সিগারেট নিয়ে কোনো মাথাব্যথা কারো না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এফডিএ মার্কেট থেকে ই-সিগারেট তুলে নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে চাপ দিয়েছে। ই-সিগারেটে কোনো তামাক না থাকলেও তামাকের উপাদান নিকোটিন থাকে। নিকোটিন হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি করে থাকে বলে গবেষণায় প্রমাণিত। নিকোটিন উচ্চরক্তচাপের মতো সমস্যা তৈরি করে থাকে। এটা শ্বাসতন্ত্রেও ক্ষতি করে থাকে।
বাংলাদেশে মূলত চীন থেকে চোরাইপথে এই সিগারেটের যন্ত্রটি আসে। আগে এটা বিক্রি হতো অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে। এখন ফুটপাথের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে। খুব সহজলভ্য হওয়ায় সব শ্রেণীর তরুণদের হাতের নাগালে চলে গেছে। কয়েক বছর আগে রাজধানীর গুলশান-বনানীর রাস্তায় দেখা যেত তরুণদের মুখে। এখন নি¤œ আয়ের মানুষ বাস করে এমন এলাকার তরুণদের হাতে শোভা পাচ্ছে। এখনই এর রাস টেনে না ধরতে পারলে ভবিষ্যতে এটা মোকাবেলা করা কঠিন হতে পারে বলে মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: মোজাহেরুল হক। তিনি জানান, ই-সিগারেটও তামাকের মতো সমান ক্ষতিকর। বাংলাদেশে ধূমপান সংক্রান্ত একটি আইন আছে কিন্তু এটা কার্যকর নয়। এখন আবার ই-সিগারেটের বিপদ আমাদের সামনে। অধ্যাপক মোজাহেরুল হক ধূমপানের যে আইন রয়েছে তাতে ই-সিগারেটকে যুক্ত করে আইনটি কার্যকর করার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, আমাদের পাশের দেশ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। নেপাল পারলে আমরাও পারব। ইতিবাচক কোনো কাজে এ জাতি সব সময় সহযোগিতা করেছে অতীতে। ধূমপানের ব্যাপারেও করবে বলে তিনি মনে করেন।
ই-সিগারেটে যে তরলটি ব্যবহার করা হয় তা বিষাক্ত। এ তরলটি শিশুরা পান করে ফেললে বিষক্রিয়ার মুখে পড়বে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক এ যন্ত্রটি ব্যবহার করতে বৈদ্যুতিক চার্জ দিতে হয়। বেশি চার্জ হয়ে গেলে এর ব্যাটারিটি বিস্ফোরিত হতে পারে। মোবাইলের ব্যাটারির মতোই এটা দেহের ক্ষতি করতে পারে। ই-সিগারেট ব্যবহারকারীর কোনো পরিসংখ্যান বাংলাদেশে নেই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএর পরিসংখ্যান অনুসারে সেখানে ৩৬ লাখ তরুণ এটা ব্যবহার করে। ইউএসএফডিএর কমিশনার স্কট গুটিলেব এবিসি নিউজকে বলেন, ই-সিগারেটে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থটি অত্যন্ত উচ্চমানের এডিক্টিভ (নেশা সৃষ্টিকারী)। তরুণরা মনে করে এটা তামাকজাত দ্রব্যের চেয়ে নিরাপদ। কিন্তু এটা মোটেও নিরাপদ নয়। ২০০৮ সালে তুরস্ক সরকার ই-সিগারেট তাদের দেশে নিষিদ্ধ করে। অস্ট্রেলিয়া নিষিদ্ধ করে ২০০৯ সালে। ইউরোপ ২০০৬ সালে ও যুক্তরাষ্ট্র এর পরের বছর তাদের দেশের এ সিগারেট বাজারজাত করার অনুমতি দেয়। ‘তামাকজাত পণ্যের চেয়ে কম ক্ষতিকর এবং তামাকজাত পণ্যের নেশা কমিয়ে দেয়’ এই যুক্তিতে বাজারে আনা হলেও বর্তমানে এটা নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা শুরু হয়েছে। এফডিএ কমিশনার গুটিলেব ‘ই-সিগারেটের বিষয়টি বৃহত্তর পর্যায়ে তুলে ধরার অঙ্গীকার করেছেন এবং এর সুরাহা করার কথাও বলেন।’
বেশ কিছু গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে ই-সিগারেটে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা বলছে, ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার দ্বিগুণ ঝুঁকি রয়েছে। আমেরিকান হার্ট ফাউন্ডেশন জার্নালে গত ২৩ আগস্ট প্রকাশিত এ বিষয়ক এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
তামাকজাত সিগারেট পানে অভ্যস্ত ধূমপায়ীদের চেয়ে যারা ই-সিগারেট পান করেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের তিনগুণ ঝুঁকি রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হলো- যারা তামাকজাত সিগারেট ও ই-সিগারেট দুটোই পান করেন একই সাথে, অধূমপায়ীদের থেকে এদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি পাঁচ গুণ। আমেরিকান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে ক্যালিফোর্নিয়া, সানফ্রান্সিসকো ও জর্জ ওয়াশিংটন বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলেছেন, প্রায় ৬৬ শতাংশ ই-সিগারেটে অভ্যস্তরা একই সাথে তামাকজাত ধূমপানও করে থাকেন।
ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক সিগারেট তৈরি করা হয় নিকোটিনের স্ট্রে দিয়ে এবং এর সাথে অন্যান্য গন্ধযুক্ত তরল গরম করে। ই-সিগারেট বাজারজাত করা হয়েছিল ধূমপানের নিরাপদ বিকল্প হিসেবে। বস্তুত ই-সিগারেট ক্ষতিহীন নয়। এই সিগারেট তামাকের চেয়ে একটু কম মাত্রায় কার্সিনোজেন (ক্যান্সার উৎপাদক) তৈরি করে। তবে ই-সিগারেট আলট্রা ফাইন কণা তৈরি করে যা ফুসফুস ও বায়ু চলাচলের রাস্তার ক্ষতি করে যা কার্ডিওভাস্কোলার ও ক্যান্সারহীন ফুসফুসের রোগের সাথে যুক্ত টক্সিন তৈরি করে। গবেষণা প্রতিবেদনের শেষে গবেষকেরা অবশ্য বলেছেন, ই-সিগারেট প্রকৃতপক্ষে ধূমপানের কোনো স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়। সবচেয়ে ভালো হয় ধূমপায়ীরা যদি তামাক অথবা ই-সিগারেট পান দুটোই একেবারে বন্ধ করে দেন।