ঢাকা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে

মামুনুলকে আরো ২৩ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে

মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। এ মামলায় রিমান্ড শেষ হলে আরও ২৩টি মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, অন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ডিবিও মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবে।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, এরই মধ্যে বেশকিছু ব্যাপারে মামুনুলের কাছে স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। তার অনেক প্রশ্নের উত্তর সন্তোষজনক নয়। আবার কিছু ব্যাপারে নিজের দায় স্বীকার করছেন তিনি।

পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, মামুনুল স্বীকার করেছেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই উগ্রপন্থি বক্তব্য দিয়েছেন। বারবার এটাও বলেছেন, জোশের বশেই নানা ব্যাপারে কথা বলতেন তিনি।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ব্যাপারে মামুনুল পুলিশকে বলেন, ওই সময় ছোট নেতা ছিলাম। সংগঠনের সিদ্ধান্তে তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। তাই ওই নাশকতার ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে জানান।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, মামুনুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় করা হয় ১৮টি। ২৩ মামলার মধ্যে ২০১৩ সালের হেফাজত তাণ্ডবের পর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলায় তার নাম রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পর্যায়ে মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন। এরই মধ্যে হেফাজতের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি খুরশিদ আলম কাশেমী, ঢাকা মহানগরের সহদপ্তর সম্পাদক ইহতেশামুল হক সাখীসহ কয়েকজনের সামনাসামনি করে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই বিষয়ে হেফাজতের নেতারা পৃথকভাবে ও যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে কী ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তা যাচাই করতে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

মামুনুলকে আরো ২৩ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে

Update Time : ০৫:৩২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। এ মামলায় রিমান্ড শেষ হলে আরও ২৩টি মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, অন্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ডিবিও মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবে।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, এরই মধ্যে বেশকিছু ব্যাপারে মামুনুলের কাছে স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। তার অনেক প্রশ্নের উত্তর সন্তোষজনক নয়। আবার কিছু ব্যাপারে নিজের দায় স্বীকার করছেন তিনি।

পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, মামুনুল স্বীকার করেছেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই উগ্রপন্থি বক্তব্য দিয়েছেন। বারবার এটাও বলেছেন, জোশের বশেই নানা ব্যাপারে কথা বলতেন তিনি।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ব্যাপারে মামুনুল পুলিশকে বলেন, ওই সময় ছোট নেতা ছিলাম। সংগঠনের সিদ্ধান্তে তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। তাই ওই নাশকতার ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে জানান।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, মামুনুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় করা হয় ১৮টি। ২৩ মামলার মধ্যে ২০১৩ সালের হেফাজত তাণ্ডবের পর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলায় তার নাম রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পর্যায়ে মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন। এরই মধ্যে হেফাজতের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি খুরশিদ আলম কাশেমী, ঢাকা মহানগরের সহদপ্তর সম্পাদক ইহতেশামুল হক সাখীসহ কয়েকজনের সামনাসামনি করে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই বিষয়ে হেফাজতের নেতারা পৃথকভাবে ও যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে কী ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তা যাচাই করতে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।