ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের অমিক্রন ‘পরিবারের’ নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। তবে নতুন শনাক্ত ইজি.৫ একেবারে নতুন কোনো ধরন নয়। এক্সবিবি ধরনের মতো এটিও মূলত অমিক্রন ‘পরিবারের’ একটি ধরন। নতুন শনাক্ত এই ধরন অমিক্রনের প্রকৃত ধরনটির মতো সংক্রমণে বড় পরিবর্তন আনবে না, বরং ভাইরাসটিতে ক্রমে যে পরিবর্তন ঘটছে, এটি তারই অংশ।

মার্কিন বিজ্ঞানীরা নতুন এ ধরনটির সাংকেতিক নাম দিয়েছেন ইজি.৫। দেশটিতে বর্তমানে নতুন করে যাদের করোনা শনাক্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রায় ১৭ শতাংশ নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এত দিন করোনার যে ধরনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছিল, সেটি এক্সবিবি.১.১৬। তবে বর্তমান সংক্রমণে এই ধরনকে ছাড়িয়ে গেছে নতুন শনাক্ত ইজি.৫। এক্সবিবি.১.১৬ ধরনে ১৬ শতাংশ সংক্রমিত হলেও ইজি.৫-এ তা ১৭। নতুন ধরনের ভাইরাসটির মূল ধরন এক্সবিবি.১.৯.২ এর সঙ্গে তুলনা করলে এটির স্পাইকে বাড়তি একটি মিউটেশন (রূপান্তর) হয়েছে। তবে এ ধরনের মিউটেশন এর আগে অন্য ধরনেও দেখা গেছে। তবে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন, এ রূপান্তরের ফলে ভাইরাসটির সংক্রমণে কেমন পরিবর্তন আসতে পারে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনার যত জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ভাইরাসটি ৪৬৫ বার রূপ বদলেছে। এ নিয়ে গবেষণা করছেন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ডেভিট হো। তিনি বলেন, আগের ধরনের চেয়ে এর সংক্রমণ পরিস্থিতি গুরুতর হবে বলে মনে হচ্ছে না।

Tag :

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের অমিক্রন ‘পরিবারের’ নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে

Update Time : ০৫:৩৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। তবে নতুন শনাক্ত ইজি.৫ একেবারে নতুন কোনো ধরন নয়। এক্সবিবি ধরনের মতো এটিও মূলত অমিক্রন ‘পরিবারের’ একটি ধরন। নতুন শনাক্ত এই ধরন অমিক্রনের প্রকৃত ধরনটির মতো সংক্রমণে বড় পরিবর্তন আনবে না, বরং ভাইরাসটিতে ক্রমে যে পরিবর্তন ঘটছে, এটি তারই অংশ।

মার্কিন বিজ্ঞানীরা নতুন এ ধরনটির সাংকেতিক নাম দিয়েছেন ইজি.৫। দেশটিতে বর্তমানে নতুন করে যাদের করোনা শনাক্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রায় ১৭ শতাংশ নতুন ধরনটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এত দিন করোনার যে ধরনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছিল, সেটি এক্সবিবি.১.১৬। তবে বর্তমান সংক্রমণে এই ধরনকে ছাড়িয়ে গেছে নতুন শনাক্ত ইজি.৫। এক্সবিবি.১.১৬ ধরনে ১৬ শতাংশ সংক্রমিত হলেও ইজি.৫-এ তা ১৭। নতুন ধরনের ভাইরাসটির মূল ধরন এক্সবিবি.১.৯.২ এর সঙ্গে তুলনা করলে এটির স্পাইকে বাড়তি একটি মিউটেশন (রূপান্তর) হয়েছে। তবে এ ধরনের মিউটেশন এর আগে অন্য ধরনেও দেখা গেছে। তবে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন, এ রূপান্তরের ফলে ভাইরাসটির সংক্রমণে কেমন পরিবর্তন আসতে পারে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে করোনার যত জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ভাইরাসটি ৪৬৫ বার রূপ বদলেছে। এ নিয়ে গবেষণা করছেন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ডেভিট হো। তিনি বলেন, আগের ধরনের চেয়ে এর সংক্রমণ পরিস্থিতি গুরুতর হবে বলে মনে হচ্ছে না।