ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতির নির্দেশনা মাউশির

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
  • ৩৭২ Time View

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৮০ কর্মদিবস পাঠদান করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) মাউশির এক অফিস আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মাউশির আদেশে বলা হয়, ৩০ মার্চ সব সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলো। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবনে সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজন হলে তা ৩০ মার্চের আগে করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পরে কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি আছে স্কুল–কলেজ। ৩০ মার্চ স্কুল–কলেজ খোলার দিন ধার্য আছে।

অন্যদিকে, দেশে বিরাজমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ১২ দফা সুপারিশ পেশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ১২ দফা সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে। সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যালান্স রেখে যেকোনো জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিংমল, উপাসনালয়ে সমাগম, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল সীমিত করতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে। যে কোনো পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে।

কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা। রোগীদের কন্ট্যাক্টে আসা ব্যক্তিদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।

আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন জোরদার করা। পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো ও মনিটরিং জোরদার করা। পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। তবে আগামী ৩০ মার্চ স্কুল–কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতির নির্দেশনা মাউশির

Update Time : ০৮:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৮০ কর্মদিবস পাঠদান করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) মাউশির এক অফিস আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মাউশির আদেশে বলা হয়, ৩০ মার্চ সব সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলো। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবনে সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজন হলে তা ৩০ মার্চের আগে করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পরে কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি আছে স্কুল–কলেজ। ৩০ মার্চ স্কুল–কলেজ খোলার দিন ধার্য আছে।

অন্যদিকে, দেশে বিরাজমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ১২ দফা সুপারিশ পেশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ১২ দফা সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে। সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যালান্স রেখে যেকোনো জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিংমল, উপাসনালয়ে সমাগম, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল সীমিত করতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে। যে কোনো পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে।

কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা। রোগীদের কন্ট্যাক্টে আসা ব্যক্তিদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।

আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন জোরদার করা। পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো ও মনিটরিং জোরদার করা। পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয়। তবে আগামী ৩০ মার্চ স্কুল–কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।