ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে কি শিক্ষার্থীরা কী ঘরে বসে আছেন? মানছেন কি স্বাস্থ্যবিধি?

হাটবাজার ঠিকই চলছে। সেখানে মানুষের কোনও কমতি নেই। গাদাগাদি মানুষ, ঠাসাঠাসি মানুষ। কীসের স্বাস্থ্যবিধি? কীসের মাস্ক পরা? দেশের হাটবাজারের দৃশ্য দেখে মোটেও বোঝার উপায় নেই যে আমরা করোনা মহামারিতে আছি। শুধু হাটবাজারের কথাই বা বলবো কেন? আর সব জায়গাতেই মানুষ চলছে, ফিরছে আগের মতো। সভা-সমাবেশ হচ্ছে। তাতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। বিভিন্ন নির্বাচনের জন্য প্রকাশ্যে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি টাইপের মিছিল হচ্ছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘ধুমনাচালে’ জাতের নাচ গান হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির কোনোই তোয়াক্কা নেই।

বলা হচ্ছে জনসমাবেশ ও ভিড় এড়িয়ে চলুন। অথচ মানুষ উপচে পড়া বইমেলাও হচ্ছে। শুধু চলছে না দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এক বছর ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কেন বন্ধ? বন্ধ করোনার ভয়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে আমরা তো শিক্ষার্থীদের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতে পারি না? আহা! কী সুন্দর কথা! শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে না বলে কি একেবারে ঘরে বসে আছে? স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে কি শিক্ষার্থীরা কী ঘরে বসে আছেন? মানছেন কি স্বাস্থ্যবিধি? স্কুল, কলেজ খোলা থাকলে করোনার সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। মূলত এই যুক্তিতে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা কি এটা নিশ্চিত করতে পেরেছি যে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ঘরের বাইরে যাবে না। ভিড় এড়িয়ে চলবে?

ছাত্রছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে দলবেঁধে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে যাচ্ছে। সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটায় যাচ্ছে। একুশে বইমেলার জনসমুদ্রে মিশে যাচ্ছে। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। পিকনিকে যাচ্ছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বাভাবিক সময়ের মতোই যোগ দিচ্ছে। এসব জায়গায় করোনার ভীতি মোটেই গুরুত্ব পাচ্ছে না। শুধু ভীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বেলায়।

করোনার এই মহামারিকালে কতবার যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলা হলো আবার সিদ্ধান্ত বাতিলও করা হলো ভাবলে অবাক হই। হ্যাঁ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে আমরা শিক্ষার্থীদের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতে পারি না। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে কি আদৌ শিক্ষার্থীদের জীবনকে শঙ্কামুক্ত রাখতে পেরেছি? তারা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে না। তার মানে কি তারা ঘরেই বসে আছে?

বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশে বইমেলায় শিশুদের না আনার কথা বলা হয়েছে। ‘মেলায় আপাতত শিশুদের আনবেন না’। এমন ঘোষণাই ছিল মেলা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু এই নিয়ম কি অনুসরণ করা হচ্ছে? মোটেই না। আপনি মেলার আয়োজন করবেন অথচ বলবেন শিশুদের সাথে আনবেন না, এটা কি বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত? কোনও বাবা-মা তার শিশু সন্তানকে বাসায় রেখে বইমেলায় আসবেন? বইয়ের মেলায় শিশুদেরকেই তো আরও বেশি করে আনা দরকার। কাজেই এমন ঘোষণা দিতে হবে যা বাস্তবসম্মত!

হাজার হাজার দর্শনার্থী বইমেলায় ভিড় করেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোর তাদের বাবা-মা অর্থাৎ অভিভাবকের সঙ্গে ভিড়ের মাঝে বইমেলায় ঘুরে বেড়িয়েছে। এরা কি ঝুঁকিমুক্ত? এদের যদি করোনা হয় তাহলে দায়-দায়িত্ব কে নিবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাবা-মায়ের সাথে দলবেঁধে এই যে শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, কারও যদি করোনা হয় দায় দায়িত্ব কার? এই যে প্রতিদিন বিয়ের অনুষ্ঠানে ছেলেমেয়েরা তাদের অভিভাবকদের সাথে যাচ্ছে, হাজার হাজার মানুষের সাথে মিশছে, এখানে কি করোনা সংক্রমণের ভয় নাই?

দেশের সবকিছুই তো খোলা! তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে কোন যুক্তিতে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি দেখা দিতে পারে এটাই যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার পক্ষে আসল যুক্তি হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের কাছে বিনীতভাবে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। আপনাদের মূল্যবান দায়িত্ব আপনারা পালন করেছেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন, যে ভয়ের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে তার চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতির মাঝে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা মিশে যাচ্ছে। বাবা-মায়ের সাথে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। দূরে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছে। মেলায় যাচ্ছে। মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছে।

পরিস্থিতির উন্নতি হলো না। তাহলে কি বছরের পর বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে? পরিস্থিতি যা বলছে তাতে করোনার সাথে লড়াই করেই সামনের পৃথিবীকে এগিয়ে যেতে হবে। তার মানে করোনার সাথেই বসবাস করতে হবে। এজন্য সতর্ক পদক্ষেপ দরকার। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার উদ্যোগ নিয়ে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া দরকার।

জীবন-জীবিকার প্রশ্নে দেশের সবকিছুই যখন খোলা তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে দোষ কোথায়? তবে করোনার প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে তাতে মনে হয় না সহসাই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে। কারণ, আর কোথাও না হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিই হয়তো বিধিনিষেধ আরোপ হবে বেশি। বিকল্প একটা ভাবনার প্রয়োজন। সবকিছুই যদি খোলা রাখা যায় তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেও কীভাবে করোনা মোকাবিলা করা যায় সেই পদক্ষেপ নেওয়াই বোধকরি সময়ের দাবি!

Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে কি শিক্ষার্থীরা কী ঘরে বসে আছেন? মানছেন কি স্বাস্থ্যবিধি?

Update Time : ০৫:২৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

হাটবাজার ঠিকই চলছে। সেখানে মানুষের কোনও কমতি নেই। গাদাগাদি মানুষ, ঠাসাঠাসি মানুষ। কীসের স্বাস্থ্যবিধি? কীসের মাস্ক পরা? দেশের হাটবাজারের দৃশ্য দেখে মোটেও বোঝার উপায় নেই যে আমরা করোনা মহামারিতে আছি। শুধু হাটবাজারের কথাই বা বলবো কেন? আর সব জায়গাতেই মানুষ চলছে, ফিরছে আগের মতো। সভা-সমাবেশ হচ্ছে। তাতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। বিভিন্ন নির্বাচনের জন্য প্রকাশ্যে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি টাইপের মিছিল হচ্ছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘ধুমনাচালে’ জাতের নাচ গান হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির কোনোই তোয়াক্কা নেই।

বলা হচ্ছে জনসমাবেশ ও ভিড় এড়িয়ে চলুন। অথচ মানুষ উপচে পড়া বইমেলাও হচ্ছে। শুধু চলছে না দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এক বছর ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কেন বন্ধ? বন্ধ করোনার ভয়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে আমরা তো শিক্ষার্থীদের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতে পারি না? আহা! কী সুন্দর কথা! শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে না বলে কি একেবারে ঘরে বসে আছে? স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে কি শিক্ষার্থীরা কী ঘরে বসে আছেন? মানছেন কি স্বাস্থ্যবিধি? স্কুল, কলেজ খোলা থাকলে করোনার সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। মূলত এই যুক্তিতে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা কি এটা নিশ্চিত করতে পেরেছি যে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ঘরের বাইরে যাবে না। ভিড় এড়িয়ে চলবে?

ছাত্রছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে দলবেঁধে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে যাচ্ছে। সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটায় যাচ্ছে। একুশে বইমেলার জনসমুদ্রে মিশে যাচ্ছে। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। পিকনিকে যাচ্ছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বাভাবিক সময়ের মতোই যোগ দিচ্ছে। এসব জায়গায় করোনার ভীতি মোটেই গুরুত্ব পাচ্ছে না। শুধু ভীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বেলায়।

করোনার এই মহামারিকালে কতবার যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলা হলো আবার সিদ্ধান্ত বাতিলও করা হলো ভাবলে অবাক হই। হ্যাঁ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে আমরা শিক্ষার্থীদের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতে পারি না। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে কি আদৌ শিক্ষার্থীদের জীবনকে শঙ্কামুক্ত রাখতে পেরেছি? তারা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে না। তার মানে কি তারা ঘরেই বসে আছে?

বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশে বইমেলায় শিশুদের না আনার কথা বলা হয়েছে। ‘মেলায় আপাতত শিশুদের আনবেন না’। এমন ঘোষণাই ছিল মেলা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু এই নিয়ম কি অনুসরণ করা হচ্ছে? মোটেই না। আপনি মেলার আয়োজন করবেন অথচ বলবেন শিশুদের সাথে আনবেন না, এটা কি বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত? কোনও বাবা-মা তার শিশু সন্তানকে বাসায় রেখে বইমেলায় আসবেন? বইয়ের মেলায় শিশুদেরকেই তো আরও বেশি করে আনা দরকার। কাজেই এমন ঘোষণা দিতে হবে যা বাস্তবসম্মত!

হাজার হাজার দর্শনার্থী বইমেলায় ভিড় করেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোর তাদের বাবা-মা অর্থাৎ অভিভাবকের সঙ্গে ভিড়ের মাঝে বইমেলায় ঘুরে বেড়িয়েছে। এরা কি ঝুঁকিমুক্ত? এদের যদি করোনা হয় তাহলে দায়-দায়িত্ব কে নিবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাবা-মায়ের সাথে দলবেঁধে এই যে শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, কারও যদি করোনা হয় দায় দায়িত্ব কার? এই যে প্রতিদিন বিয়ের অনুষ্ঠানে ছেলেমেয়েরা তাদের অভিভাবকদের সাথে যাচ্ছে, হাজার হাজার মানুষের সাথে মিশছে, এখানে কি করোনা সংক্রমণের ভয় নাই?

দেশের সবকিছুই তো খোলা! তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে কোন যুক্তিতে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি দেখা দিতে পারে এটাই যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার পক্ষে আসল যুক্তি হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের কাছে বিনীতভাবে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। আপনাদের মূল্যবান দায়িত্ব আপনারা পালন করেছেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন, যে ভয়ের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে তার চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতির মাঝে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা মিশে যাচ্ছে। বাবা-মায়ের সাথে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। দূরে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছে। মেলায় যাচ্ছে। মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছে।

পরিস্থিতির উন্নতি হলো না। তাহলে কি বছরের পর বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে? পরিস্থিতি যা বলছে তাতে করোনার সাথে লড়াই করেই সামনের পৃথিবীকে এগিয়ে যেতে হবে। তার মানে করোনার সাথেই বসবাস করতে হবে। এজন্য সতর্ক পদক্ষেপ দরকার। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার উদ্যোগ নিয়ে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া দরকার।

জীবন-জীবিকার প্রশ্নে দেশের সবকিছুই যখন খোলা তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে দোষ কোথায়? তবে করোনার প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে তাতে মনে হয় না সহসাই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে। কারণ, আর কোথাও না হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিই হয়তো বিধিনিষেধ আরোপ হবে বেশি। বিকল্প একটা ভাবনার প্রয়োজন। সবকিছুই যদি খোলা রাখা যায় তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেও কীভাবে করোনা মোকাবিলা করা যায় সেই পদক্ষেপ নেওয়াই বোধকরি সময়ের দাবি!