হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে, দেশের নাগরিক হিসেবে হেফাজতে নেতাকর্মীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে সরকারের দমন-পীড়নের সমালোচনা করেছে দলটি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে অবৈধ সরকারের পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। সরকার প্রচার চালাচ্ছে, আমরা হেফাজতকে সমর্থন দিয়েছি। উস্কানি তো দিয়েছে সরকার। হেফাজত কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়। তারা বায়তুল মোকাররমে সাধারণ একটি বিক্ষোভ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও পুলিশ তাদের ওপরে হামলা চালিয়েছে। গণমাধ্যমে ছবিও এসেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের এক নেতা গুলি করছে। এই যে মানুষের ওপর আঘাত এসেছে, আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। আমাদের হিসেবে গত কয়েকদিনে ১৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি আগেই স্থগিত করেছি। বর্তমানে সাধারণ মানুষের ওপরে হামলার কারণে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধ্য হয়েছি। ফখরুল বলেন, আমরা আগেও বলেছি, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। অল্প বয়সীরা আক্রান্ত হয়েছে। ঠিক মতো করোনার টেস্ট হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নের কোনও লক্ষণ দেখছি না। সরকারের উদ্যোগটা কোথায়? সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ থাকবে, তা কোথায় প্রশ্ন ফখরুলের।
তিনি বলেন, আমার ধারণা, ১০ শতাংশও করোনা টেস্ট হচ্ছে না। সরকার কখনও করোনার বিষয়টি সঠিকভাবে উপলব্ধি করেনি। সুবর্ণজয়ন্তীর যে উৎসব তার আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, অবিলম্বে এসব বন্ধ করা দরকার। কিন্তু, সরকার গত বছর মার্চেও উৎসব পালন বন্ধ করেনি। এবারও তারা উৎসব পালন বন্ধ করেনি। যখন তাদের বিদেশি মেহমান ও মহারথীরা চলে গেছেন, তখন করোনার বিষয়টি আবার সামনে এনেছে।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হেফাজতের এই কর্মসূচিগুলোর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার প্রতিবাদ আমরা করেছি। সভা সমাবেশ করা বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার তাদের ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করতে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ এবং হত্যা, মামলাসহ দমন নিপীড়ন চালিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে।’