ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অক্ষম’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; অন্যের ওপর দোষ চাপানো: ভারত ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর: যে ৬ সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন প্রেস সচিব এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ পেতে দলটি একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে আগামী বছর আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজের বহর আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে

হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে দুপরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ দুপুর একটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি দল মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে। তাকে তেজগাঁওয়ের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

দুপুর দুইটার দিকে পরে তেজগাঁওয়ের ডিসি হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ২০২০ সালের ভাঙচুরের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাপলা চত্বরের ঘটনায়ও সে জড়িত। বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আমরা আইনগতভাবে যা যা দরকার তা করবো। আমরা তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, সব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় আমরা তাকে এখন গ্রেপ্তার করেছি। এখন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মামুনুল হককে প্রধান করে ৮৩ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ৬ এপ্রিল রাতে সোনারগাঁ থানায় পুলিশ বাদি হয়ে দুটি ও একজন সাংবাদিক বাদি হয়ে একটি মামলা করেন।

সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মো. তবিদুর রহমান জানান, পুলিশের উপর হামলা ও পুলিশের গাড়ি, রয়েল রিসোর্ট, আওয়ামী লীগের কার্যালয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার কর্মীর বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। মামুনুল হককে প্রধান আসামি করে ৪১ জনের নাম উল্লেখ এবং ২৫০-৩০০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এসআই আরিফ হাওলাদার বাদি হয়ে একটি মামলা করেন এবং এস টেলিভিশনের হাবিবুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় তিনি নিজেই বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় সংঘাত-নাশকতার ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও দুই থেকে ৩ হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন খন্দকার আরিফুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ী। রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করা এ মামলার এজাহারে এক নম্বর ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে মামুনুল হককে। মামলায় মারধর, ভাঙচুর, গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই নান কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচনায় রয়েছেন হেফাজত ইসলামের এই নেতা। এর আগে সুনামগঞ্জের শাল্লায় একটি ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে সমালোচনা বক্তব্য রাখেন তিনি। ওই সময়ে তার সমালোচনা করে এক যুবক ফেসবুকে পোস্ট দিলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর ওই এলাকায় তার সমর্থকরা সংখ্যালঘু গ্রাম ঘেরাও করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমনের সময়েও তার বিরোধীতা করে মাঠে সক্রিয় ছিলেন মামুনুল হক। তার নেতৃত্বে আন্দোলনে বায়তুল মোকাররমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হেফাজত।

একই সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালিয়ে পুড়িয়ে দেয় সরকারি স্থাপনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, থানা, রেলস্টেশন, বাসা-বাড়ি ও দোকানপাট।

সর্বশেষে নারায়াণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ আটক হন তিনি। সেখানেও তার সমর্থকরা জড়ো হয়ে পুলিশেও ওপর হামলা ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর পর মামলা হয় তার নামে।

Tag :
জনপ্রিয়

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা

হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার

Update Time : ০৮:১৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে দুপরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ দুপুর একটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি দল মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে। তাকে তেজগাঁওয়ের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

দুপুর দুইটার দিকে পরে তেজগাঁওয়ের ডিসি হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ২০২০ সালের ভাঙচুরের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাপলা চত্বরের ঘটনায়ও সে জড়িত। বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আমরা আইনগতভাবে যা যা দরকার তা করবো। আমরা তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, সব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় আমরা তাকে এখন গ্রেপ্তার করেছি। এখন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মামুনুল হককে প্রধান করে ৮৩ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ৬ এপ্রিল রাতে সোনারগাঁ থানায় পুলিশ বাদি হয়ে দুটি ও একজন সাংবাদিক বাদি হয়ে একটি মামলা করেন।

সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মো. তবিদুর রহমান জানান, পুলিশের উপর হামলা ও পুলিশের গাড়ি, রয়েল রিসোর্ট, আওয়ামী লীগের কার্যালয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার কর্মীর বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। মামুনুল হককে প্রধান আসামি করে ৪১ জনের নাম উল্লেখ এবং ২৫০-৩০০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এসআই আরিফ হাওলাদার বাদি হয়ে একটি মামলা করেন এবং এস টেলিভিশনের হাবিবুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় তিনি নিজেই বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় সংঘাত-নাশকতার ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও দুই থেকে ৩ হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন খন্দকার আরিফুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ী। রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করা এ মামলার এজাহারে এক নম্বর ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে মামুনুল হককে। মামলায় মারধর, ভাঙচুর, গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই নান কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচনায় রয়েছেন হেফাজত ইসলামের এই নেতা। এর আগে সুনামগঞ্জের শাল্লায় একটি ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে সমালোচনা বক্তব্য রাখেন তিনি। ওই সময়ে তার সমালোচনা করে এক যুবক ফেসবুকে পোস্ট দিলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর ওই এলাকায় তার সমর্থকরা সংখ্যালঘু গ্রাম ঘেরাও করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমনের সময়েও তার বিরোধীতা করে মাঠে সক্রিয় ছিলেন মামুনুল হক। তার নেতৃত্বে আন্দোলনে বায়তুল মোকাররমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হেফাজত।

একই সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালিয়ে পুড়িয়ে দেয় সরকারি স্থাপনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, থানা, রেলস্টেশন, বাসা-বাড়ি ও দোকানপাট।

সর্বশেষে নারায়াণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ আটক হন তিনি। সেখানেও তার সমর্থকরা জড়ো হয়ে পুলিশেও ওপর হামলা ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর পর মামলা হয় তার নামে।