আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী (নৌকা) প্রতীকে আ.লীগ নেতা অমিতাভ বোস ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন।
গতকাল বুধবার তিনি ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন শপিং মল, বিপণি বিতান, সড়ক ও বাসা-বাড়িতে পায়ে হেঁটে গণসংযোগ চালান।
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। কোথাও কোথাও মানুষ তাকে দেখার জন্য কিছুক্ষণের জন্য মাক্স খুলে মুখ দেখতে চাইলে তিনি তা-ই করেন।
গণসংযোগকালে তিনি বলেন, আমি চেয়ারের ভক্ষক নয়। রক্ষক হতে চাই। নাগরিক জীবনের সকল সমস্যা নিরসনে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করতে চাই। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমার আদর্শিক পিতা মুজিবের সৈনিক হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি সফল বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক, দলীয় সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত আ.লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন। আমৃত্যু আমি মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বাঙালির “জয় বাংলা” শ্লোগানে দিয়ে গণমানুষের সেবায় কাজ করে যাব।
তিনি বলেন ফরিদপুর পৌরসভার সবথেকে বড় সমস্যা হলো সাধারন জনগনের বাক স্বাধীনতা, মানুষ যেন তাদের সমস্যা গুলো ফরিদপুর পৌরসভায় গিয়ে মন খুলে বলতে পারে, এ সমস্যাগুলি সামাধান করা আমাদের প্রথম কাজ হবে। এছাড়াও পৌরসভাধীন পয়:বজ্য ব্যবস্থাপনা, মশা নিধন, পানি নিস্কাশন করার জন্য আমি বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন আমাকে মেয়র নির্বাচিত করলে আপনাদের ভোট অর্থাৎ আমানত আমি রক্ষা করব এবং অর্পিত দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। এলাকার মুরুব্বীগণ আমার উপদেষ্টা, তাদের পরামর্শে ও নির্দেশে ফরিদপুর পৌরসভা উন্নয়নের লক্ষে আপনাদের কাছে আসতে চাই। আমি আপনাদেরকে সাথে নিয়ে ফরিদপুর পৌরসভার সাধারন জনগণের যে কোন দাবী, প্রত্যাশা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের যেখানে দ্বারস্থ হতে হয় সেখানেই আমি যাব এবং আপনারা আমাকে সম্মুখ সাড়িতেই পাবেন।
আমি এ বিষয়ে আপনাদের কাছে অঙ্গিকারাবদ্ধ। দেশ ব্যাপি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে আমরা আতংকিত। এমন একটি সময়ে পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে। আমরা সকলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখবো ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবো। আমি কাজ করি মানুষের কল্যানের জন্য। আমাকে আপনাদের সন্তান হিসাবে কাজ করার সুযোগ দিন। আপনাদের আশির্বাদের হাত মাথায় থাকলে আমি আপনাদের জন্য কাজ করার সুযোগ পাব।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচন ৬ মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেন। এই নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত এলাকার ভোটার মো. আতিয়ার রহমান। রিটের শুনানি নিয়ে নির্বাচন স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করে। রুলে ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন হিসেবে উন্নীত করণ প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় গত ৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। অবশেষে পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত সেই পৌরসভা নির্বাচন পুর্ব নির্ধারিত তারিখ আগামী ১০ ই ডিসেম্বরই অনুষ্ঠিত হবে বলে মহামান্য হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেছে।