ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুটবলে প্রথমবারের মতো রেফারির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে কোচের হাতে উঠল ‘গ্রিন কার্ড’ অসহনীয় মাছ-মাংসের দাম; বৃষ্টিকে পুঁজি করে বাড়িয়েছে সব ধরনের সবজির দাম ফ্লোটিলার ত্রাণ বহনকারী একমাত্র নৌযানটিও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করে বাংলাদেশ ৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে অব্যাহত হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে একদিনে আরও অন্তত ৫৩ জনের প্রাণহানি ফ্লোটিলা সদস্যদের আটকের ঘটনায় বাংলাদেশের গভীর নিন্দা মার্কিন সরকারে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শাটডাউন গাজা সিটিজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী ঘোষণা: এটাই পালানোর শেষ সুযোগ গাজা উপত্যকার দিকে ছুটছে ফ্লোটিলার সর্বশেষ পোল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ ‘দ্য ম্যারিনেট’

ওএনএসএস ও স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ’ নামের অ্যাপ উদ্বোধন করল ইসি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • ৩৪৬ Time View

নির্বাচনে মনোনয়ন জমাদান, ভোটার সংখ্যা, নির্বাচনী আয়-ব্যয় সব কিছু হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে নতুন অ্যাপস চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই ‘অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) ও স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ’ নামের এই অ্যাপ উদ্বোধন করল ইসি। রোববার (১২ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি আহসান হাবিব বলেন, আমাদের কমিশন প্রযুক্তি নির্ভর। আমরা অতীতে দেখেছি ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, হাতি ঘোড়া নিয়ে মনোনয়ন সাবমিশন করা হতো। ফলে আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়। এছাড়া নমিনেশন সাবমিশনে বাধা দে

য়া হতো। তবে এই অ্যাপসে সেই সমস্যা থাকবে না। ভোটাররা তাদের প্রার্থীদের দেখতে পারবেন। আর প্রার্থীরা ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। এছাড়া ভোটাররা যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে পারবেন। আমারা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছি, এটা স্বচ্ছতার প্রতীক। এই অ্যাপ ফেয়ার এবং ট্রান্সপারেন্ট। আশা করি অ্যাপসের সুফল ভোগ করবো। এই উদ্যোগ বিদেশেও প্রশংসিত হবে।

এ অ্যাপের মাধ্যমে বিভাগওয়ারি আসনগুলোর তথ্য, যেমন- মোট ভোটার, মোট আসন, আসনের প্রার্থী, প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য (হলফনামা, আয়কর সম্পর্কিত তথ্য, নির্বাচনী ব্যয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণী) জানতে পারবেন।

এছাড়া, অ্যাপসটির মাধ্যমে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তথ্য জানা যাবে এবং সমসাময়িক তথ্যাবলি ‘নোটিশ’ আকারে প্রদর্শিত হবে। অ্যাপসটির সাহায্যে প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর চলমান ভোটিং কার্যক্রমের তথ্য জানা যাবে বলেও জানান এ নির্বাচন কমিশনার।

আহসান হাবিব খান জানান, ফলাফল বিশ্লেষণ’ নামক অপশনের মাধ্যমে একজন ভোটার আগের নির্বাচন ও বর্তমান নির্বাচনের ফলাফলের গ্রাফিক্যাল বর্ণনাও পাবেন।

প্রযুক্তি নির্ভর ভোট ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কর্মপরিকল্পনায় ছিল উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনার জানান, এ ধারাবাহিকতায় মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল ও মোবাইল অ্যাপস এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নির্বাচন ব্যবস্থাপনাও এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ যুগে যুক্ত হলো। তফসিল ঘোষণার পর তা সবার জন্য উন্মুক্ত হবে।

এতে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় শো ডাউন, মিছিল করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা যেমন রোধ হবে, এছাড়া নমিনেশন জমা দানে বাধা দেয়া অথবা প্রত্যাহারের জন্য চাপ (বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসে) দেয়া সম্ভব হবে না। সংসদ নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় সরকারেরর যে কোনো নির্বাচনে মনোনয়ন জমাসহ নির্বাচনী সেবা সহজতর হবে। এ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নির্বাচনী হলফনামা, ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য, নির্বাচনী তথ্য মিলবে।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় যে ধরনের পরিবর্তন আনবে

  • ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম ও ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে পূর্ব ধারণা নিশ্চিতভাবে ভোটারকে সময়ের অপচয়, বিড়ম্বনা এবং কিছুক্ষেত্রে, ‘হয়রানি’ হতে রক্ষা করবে।
  • ভোটার নম্বর জানা থাকার কারণে ভোটার তালিকায় সিরিয়াল নম্বর সহজে নির্ণয় হবে, এজন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পেইনের শরণাপন্ন হতে হবে না।
  • নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য সম্পর্কে সহজে অবহিত হওয়া, তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ, সমসাময়িক ফলাফলের পাশাপাশি নির্বাচনী ফলাফল জ্ঞাত হওয়ার মতো বিষয়গুলো ভোটারদের উদ্দীপ্ত করবে- বলে আশা করা যায়।
  • অ্যাপস এর মাধ্যমে একজন ভোটার প্রার্থীদের তথ্যাবলি বিশ্লেষণ করে পছন্দসই প্রার্থী বেছে নিতে পারেন।
  • ভোটার তার নির্বাচনী আসনে মোট ভোটার সংখ্যা জানতে পারবেন, যাতে করে চূড়ান্ত ফলাফলে ভোটসংখ্যা সংক্রান্ত কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ থাকবে না।
  • তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকার কারণে প্রার্থীরাও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন হবেন। সর্বোপরি ভোটার, প্রার্থী, জনগণ এ তিনের আস্থা/বিশ্বাস অর্জনে একধাপ এগিয়ে থেকে নির্বাচন ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার দিকে অগ্রগামী হবে। আর সার্বিক বিষয়াবলী নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে সহজ করবে” এই অ্যাপ।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার এই পদ্ধতি চালু করতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২১ কোটি টাকা। যার মধ্যে সফটওয়্যারের পেছনে ৯ কোটি ১১ লাখ এবং হার্ডওয়ারের পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

Tag :
জনপ্রিয়

আগামী ৫ দিন বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

ওএনএসএস ও স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ’ নামের অ্যাপ উদ্বোধন করল ইসি

Update Time : ১১:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

নির্বাচনে মনোনয়ন জমাদান, ভোটার সংখ্যা, নির্বাচনী আয়-ব্যয় সব কিছু হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে নতুন অ্যাপস চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই ‘অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) ও স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ’ নামের এই অ্যাপ উদ্বোধন করল ইসি। রোববার (১২ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি আহসান হাবিব বলেন, আমাদের কমিশন প্রযুক্তি নির্ভর। আমরা অতীতে দেখেছি ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, হাতি ঘোড়া নিয়ে মনোনয়ন সাবমিশন করা হতো। ফলে আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়। এছাড়া নমিনেশন সাবমিশনে বাধা দে

য়া হতো। তবে এই অ্যাপসে সেই সমস্যা থাকবে না। ভোটাররা তাদের প্রার্থীদের দেখতে পারবেন। আর প্রার্থীরা ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। এছাড়া ভোটাররা যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে পারবেন। আমারা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছি, এটা স্বচ্ছতার প্রতীক। এই অ্যাপ ফেয়ার এবং ট্রান্সপারেন্ট। আশা করি অ্যাপসের সুফল ভোগ করবো। এই উদ্যোগ বিদেশেও প্রশংসিত হবে।

এ অ্যাপের মাধ্যমে বিভাগওয়ারি আসনগুলোর তথ্য, যেমন- মোট ভোটার, মোট আসন, আসনের প্রার্থী, প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য (হলফনামা, আয়কর সম্পর্কিত তথ্য, নির্বাচনী ব্যয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণী) জানতে পারবেন।

এছাড়া, অ্যাপসটির মাধ্যমে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তথ্য জানা যাবে এবং সমসাময়িক তথ্যাবলি ‘নোটিশ’ আকারে প্রদর্শিত হবে। অ্যাপসটির সাহায্যে প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর চলমান ভোটিং কার্যক্রমের তথ্য জানা যাবে বলেও জানান এ নির্বাচন কমিশনার।

আহসান হাবিব খান জানান, ফলাফল বিশ্লেষণ’ নামক অপশনের মাধ্যমে একজন ভোটার আগের নির্বাচন ও বর্তমান নির্বাচনের ফলাফলের গ্রাফিক্যাল বর্ণনাও পাবেন।

প্রযুক্তি নির্ভর ভোট ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কর্মপরিকল্পনায় ছিল উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনার জানান, এ ধারাবাহিকতায় মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল ও মোবাইল অ্যাপস এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নির্বাচন ব্যবস্থাপনাও এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ যুগে যুক্ত হলো। তফসিল ঘোষণার পর তা সবার জন্য উন্মুক্ত হবে।

এতে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় শো ডাউন, মিছিল করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা যেমন রোধ হবে, এছাড়া নমিনেশন জমা দানে বাধা দেয়া অথবা প্রত্যাহারের জন্য চাপ (বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসে) দেয়া সম্ভব হবে না। সংসদ নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় সরকারেরর যে কোনো নির্বাচনে মনোনয়ন জমাসহ নির্বাচনী সেবা সহজতর হবে। এ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নির্বাচনী হলফনামা, ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য, নির্বাচনী তথ্য মিলবে।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় যে ধরনের পরিবর্তন আনবে

  • ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম ও ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে পূর্ব ধারণা নিশ্চিতভাবে ভোটারকে সময়ের অপচয়, বিড়ম্বনা এবং কিছুক্ষেত্রে, ‘হয়রানি’ হতে রক্ষা করবে।
  • ভোটার নম্বর জানা থাকার কারণে ভোটার তালিকায় সিরিয়াল নম্বর সহজে নির্ণয় হবে, এজন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পেইনের শরণাপন্ন হতে হবে না।
  • নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য সম্পর্কে সহজে অবহিত হওয়া, তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ, সমসাময়িক ফলাফলের পাশাপাশি নির্বাচনী ফলাফল জ্ঞাত হওয়ার মতো বিষয়গুলো ভোটারদের উদ্দীপ্ত করবে- বলে আশা করা যায়।
  • অ্যাপস এর মাধ্যমে একজন ভোটার প্রার্থীদের তথ্যাবলি বিশ্লেষণ করে পছন্দসই প্রার্থী বেছে নিতে পারেন।
  • ভোটার তার নির্বাচনী আসনে মোট ভোটার সংখ্যা জানতে পারবেন, যাতে করে চূড়ান্ত ফলাফলে ভোটসংখ্যা সংক্রান্ত কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ থাকবে না।
  • তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকার কারণে প্রার্থীরাও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন হবেন। সর্বোপরি ভোটার, প্রার্থী, জনগণ এ তিনের আস্থা/বিশ্বাস অর্জনে একধাপ এগিয়ে থেকে নির্বাচন ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার দিকে অগ্রগামী হবে। আর সার্বিক বিষয়াবলী নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে সহজ করবে” এই অ্যাপ।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার এই পদ্ধতি চালু করতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২১ কোটি টাকা। যার মধ্যে সফটওয়্যারের পেছনে ৯ কোটি ১১ লাখ এবং হার্ডওয়ারের পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।