ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৬৫ জন আহত এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ৪ অক্টোবর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৫ অক্টোবর ভারতীয় আধিপত্য তাড়াইয়া আমেরিকা ওয়াশিংটনের আধিপত্যের শিকার হতে চাই না- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব পাকিস্তানের মানচিত্রে অবস্থান ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় মদদের সন্ত্রাসবাদ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান ইসরায়েল সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে কাজ করতে রাজি ইসরায়েল জার্মানির আকাশে গত ২৪ ঘণ্টায় একাধিক ড্রোন; বন্ধ হলো মিউনিখ বিমানবন্দর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শান্তি প্রস্তাবে জবাব দিয়েছে হামাস, ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান

ভেজাল প্যারাসিটামলে মৃত্যু ১০৪ শিশুর পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে দিতে রায় প্রকাশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১০:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ১২৮ Time View

ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে ১০৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে মোট ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে একটি স্বাধীন জাতীয় ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৫ নভেম্বর) ৯ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেন। রায়ে আদালত আটটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

এগুলো হলো— ১. প্রত্যেক ব্যক্তির বিনামূল্যে সকল প্রকার চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া তার সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার এবং এ অধিকার তার বেঁচে থাকার অধিকারের অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা।

২. ওষুধে ভেজাল মিশ্রণ বন্ধে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(সি) মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রতিপক্ষদের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

৩. ১৯৯১ সালে ৭৬ জন এবং ২০০৯ সালে ২৮ জন শিশুর মৃত্যু ঔষধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কঠিন দায়।

৪. ১৯৯১ সালের ৭৬ জন এবং ২০০৯ সালের ২৮ জন শিশুর প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য ঔষধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। ঔষধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ ওই ক্ষতিপূরণের টাকা সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তি, ওষুধ কোম্পানি থেকে আদায় করতে পারবেন।

৫. একটি স্বাধীন জাতীয় ভেজাল ঔষধ প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

৬. দরখাস্তকারী কর্তৃক ২০২২ সালের ২ জুন তারিখে দাখিল করা সম্পূরক হলফনামায় বর্ণিত পরামর্শগুলো বিবেচনার জন্য প্রতিপক্ষদের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

৭. ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশ গেজেটে অতিরিক্ত প্রকাশিত জাতীয় ঔষধ নীতি-২০১৬ দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ প্রদান করা হলো।

৮. যুক্তরাজ্যের আদলে আমাদের দেশের জনগণের চিকিৎসা সেবা অবকাঠামো তৈরি করার পরামর্শ প্রদান করা হলো।

এই রায়ের অনুলিপি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ২ জুন ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে ১০৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার প্রতি ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

ওই সময় রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, ১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে ৭৬ শিশু এবং ২০০৯ সালে রিড ফার্মার প্যারাসিটামল সেবন করে ২৮ শিশু মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০১০ সালে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়।

একই বছর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওষুধ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে রুল দেওয়া হয়। বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

Tag :
জনপ্রিয়

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৬৫ জন আহত

ভেজাল প্যারাসিটামলে মৃত্যু ১০৪ শিশুর পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে দিতে রায় প্রকাশ

Update Time : ১০:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে ১০৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে মোট ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে একটি স্বাধীন জাতীয় ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৫ নভেম্বর) ৯ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেন। রায়ে আদালত আটটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

এগুলো হলো— ১. প্রত্যেক ব্যক্তির বিনামূল্যে সকল প্রকার চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া তার সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার এবং এ অধিকার তার বেঁচে থাকার অধিকারের অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা।

২. ওষুধে ভেজাল মিশ্রণ বন্ধে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(সি) মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রতিপক্ষদের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

৩. ১৯৯১ সালে ৭৬ জন এবং ২০০৯ সালে ২৮ জন শিশুর মৃত্যু ঔষধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কঠিন দায়।

৪. ১৯৯১ সালের ৭৬ জন এবং ২০০৯ সালের ২৮ জন শিশুর প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য ঔষধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। ঔষধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ ওই ক্ষতিপূরণের টাকা সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তি, ওষুধ কোম্পানি থেকে আদায় করতে পারবেন।

৫. একটি স্বাধীন জাতীয় ভেজাল ঔষধ প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

৬. দরখাস্তকারী কর্তৃক ২০২২ সালের ২ জুন তারিখে দাখিল করা সম্পূরক হলফনামায় বর্ণিত পরামর্শগুলো বিবেচনার জন্য প্রতিপক্ষদের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

৭. ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশ গেজেটে অতিরিক্ত প্রকাশিত জাতীয় ঔষধ নীতি-২০১৬ দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ প্রদান করা হলো।

৮. যুক্তরাজ্যের আদলে আমাদের দেশের জনগণের চিকিৎসা সেবা অবকাঠামো তৈরি করার পরামর্শ প্রদান করা হলো।

এই রায়ের অনুলিপি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ২ জুন ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে ১০৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার প্রতি ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

ওই সময় রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, ১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে ৭৬ শিশু এবং ২০০৯ সালে রিড ফার্মার প্যারাসিটামল সেবন করে ২৮ শিশু মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০১০ সালে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়।

একই বছর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওষুধ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে রুল দেওয়া হয়। বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন হাইকোর্ট।