একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বুধবার ( ৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় একটি জনপ্রিয় অনলাইনকে র্যাবের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এরআগে, বুধবার মধ্যরাতে রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনার পূর্বধলার তার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারি পরিচালক ইমরান খান তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাওলানা রফিকুল ইসলামের সর্বশেষ পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমাকে গুম করার চেষ্টা চলছে’।
রফিকুল মাদানী গাছা থানাতে তার সবশেষ ওয়াজে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গেলো ২৫ মার্চও রাজধানীর শাপলা চত্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই ‘শিশুবক্তা’ কে আটক করেছিল মতিঝিল থানা পুলিশ। তবে কয়েক ঘণ্টা পরেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
শিশুবক্তা’ রফিকুলর ইসলামকে আটক করার পর তার ফোনে ‘আপত্তিকর’ ভিডিও পেয়েছেন র্যাব। গোপন ভিডিও নিয়েও মিলেছে নানা তথ্য। পরে তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব। তার মোবাইল ফোনও তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে তার ফোনে আপত্তিকর ভিডিও এবং মেসেঞ্জার চেক করে গোপন বিয়ের তথ্য পাওয়া যায়।
একটি সূত্র জানিয়েছে, রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তার ফোনে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ফোনে তল্লাসি করে আসমা বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। তবে বিয়েটি গোপন রেখেছেন তিনি।
এদিকে মাদানীকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে আজ বুধবার বিকেলে নেত্রকোনা প্রেস ক্লাব ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা মাদানীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে বলেন, তাকে মুক্তি না দেওয়া হলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।