ফরিদপুরে সালথায় গুজব রটিয়ে উপজেলা পরিষদ, ভুমি অফিস ও থানায় ধ্বংসলীলার তান্ডবের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ পাল্টা আঘাত হানার আওয়াজ দিয়ে বলেছেন, দেশ বিরোধী অপশক্তিকে দেশের সকলকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সালথা উপজেলা পরিষদ, ভুমি অফিস ও থানা হামলার ক্ষয় ক্ষতির স্থান পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি। হানিফ আরো বলেন, যারা ধর্মের নামে অরাজকতা করে তাদের হাত থেকে ধর্মকে রক্ষা করতে হবে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আঘাত এসেছে, আমরা প্রতিঘাত করবই। আমি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল ফারুক খান এমপি বলেন, যারা ইসলাম ধর্ম পালন করে, ইসলাম ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। তাদের সকলের ব্যাপরে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। তিনি বলেন ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে হবে, একইসাথে এদের প্রতিহত করা হবে এখন থেকে।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের যগ্ম সাধারন সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, ঢাকা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোযার হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতার রাজনৈতিক প্রতিনিধি সাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
উল্রেখ্য গত সোমবার রাতে লকডাউনকে ইস্যু করে জনৈক এক আলেমকে আটকের গুজব রটিয়ে উপজৈরা পরিষদ, থানা ও উপজেলা ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন অফিস ভাংগচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। পরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় ৫৮৮ রাউন্ড শটগানের গুলি, ৩২ রাউন্ড গ্যাস গান, ২২টি সাউন্ড গ্রেনেড এবং ৭৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ ঘটনায় পুলিশ চার হাজার জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।